রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জন্মদিনে কামরুল হাসান শায়ক ঢাকাপ্রকাশকে বললেন

‘আগামী বইমেলা নিয়ে প্রকাশকরা মহাসংকটে’

কামরুল হাসান শায়ক বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতে এক অবিসংবাদিত নাম। আন্তর্জাতিক মানের প্রকাশনা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড দেশের প্রথম চেইন বুক স্টোর পিবিএস এবং বিশ্বমানের প্রিন্টিং প্যাকিজিং ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে প্রকাশনা শিল্পে তার অবদান বিস্ময়কর এবং অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পকে সমষ্টিগতভাবে বিশ্বমানে উন্নীত করে আন্তর্জাতিক প্রকাশনাপ্রবাহে সংযুক্ত করার লক্ষে তিনি প্রায় তিন দশক ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনে (আইপিএ) বাংলাদেশের স্থায়ী সদস্যপদ অর্জন এবং এশিয়া প্যাসেফিক পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনে বাংলাদেশের প্রকাশকদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় তিনি অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন।

আজ ৬ সেপ্টেম্বর কামরুল হাসান শায়কের জন্মদিন। এ উপলক্ষে 'ঢাকাপ্রকাশ'-এর পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় আগামী অমর একুশে বইমেলা নিয়ে তার ভাবনার কথা।

কামরুল হাসান শায়ক বলেন, হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ইতিহাসে এক নতুন সংযোজন ‘অমর একুশে বইমেলা’। প্রকাশক হিসেবে আমি অত্যন্ত গর্বিত যে, এই বইমেলার গোড়াপত্তন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রগতিশীল কয়েকজন প্রকাশক। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি ভাষার মাসে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। সেই সময় ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে মুক্তধারা প্রকাশনীর চিত্তরঞ্জন সাহা মুক্তিযুদ্ধকালীন কোলকাতায় শরণার্থী লেখকদের (আবদুল গাফফার চৌধুরী, আনিসুজ্জামান প্রমুখ) মুক্তধারা কর্তৃক প্রকাশিত ৩২টি বই, স্ট্যান্ডার্ড পাবলিশার্সের রুহুল আমিন নিজামী তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রগতি প্রকাশনীর কিছু বই এবং বর্ণ মিছিল প্রকাশনীর তাজুল ইসলাম নিজেদের প্রকাশিত কিছু বই নিয়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে পাটের চট বিছিয়ে তাতে থরে থরে বই সাজিয়ে সর্বপ্রথম অমর একুশে বইমেলার সূচনা করেন।

১৯৭৪ সালে অমর একুশেকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে দেশি-বিদেশি প্রখ্যাত লেখক-শিল্পীদের অংশগ্রহণে স্বাধীন দেশে প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেই সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন চিত্তরঞ্জন সাহা, রুহুল আমিন নিজামী এবং তাজুল ইসলাম ছাড়াও আরও সাত আট প্রকাশক বইমেলায় অংশগ্রহণ করেন। এই বইমেলা জনমনে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। ৭২ থেকে ৭৬ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে থাকে, ক্রমশ মেলায় প্রকাশক, লেখক এবং পাঠকের অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে। ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক ড. আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমিকে প্রকাশকদের এই বইমেলার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত করেন।

১৯৭৯ সালে বইমেলা সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বাংলা একাডেমির সঙ্গে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি যুক্ত হয়। ১৯৮৩ সালে কাজী মনজুরে মাওলা যখন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক তখন তিনি বাংলা একাডেমিতে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় প্রথম আনুষ্ঠানিক 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা'র আয়োজন করেন। কিন্তু উদ্বোধনের দিন স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষাভবনের সামনে ছাত্রদের মিছিলে ট্রাক তুলে দিলে দু'জন ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় সে বছরের জন্য বইমেলা স্থগিত হয়ে যায়।

১৯৮৪ সাল থেকে বাংলা একাডেমির আয়োজনে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সার্বিক সহযোগিতায় সাড়ম্বরে 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা' শুরু হয়। এ বছর প্রায় ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এই বইমেলায় অংশগ্রহণ করে। ২০০২ সালে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতিও 'অমর একুশে গ্রন্থমেলার সঙ্গে সহযোগিতায় যুক্ত হয়। ১৯৮৪ থেকে ২০১৩ সালের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় 'অমর একুশে বইমেলা' লেখক, প্রকাশক এবং পাঠকের আশ্চর্য রসায়নে বাঙালির প্রাণের সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের পদভারে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের সীমিত পরিসরে বইমেলা করা অসম্ভব হয়ে ওঠে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পরামর্শে ২০১৪ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলাকে সম্প্রসারিত করা হয়।

২০১৮ সালে 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার নাম পরিবর্তন করে বলেন, আজ থেকে 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা'র নাম আরও সহজতর হবে 'অমর একুশে বইমেলা'।

আজ অমর একুশে বইমেলা বাঙালি জাতির মাসব্যাপি সাংস্কৃতিক উৎসবের এক মহামহীরুহে পরিণত হয়েছে। এই বইমেলাকে কেন্দ্র করে লেখক-প্রকাশক-পাঠক যেন ভাষার মাসে এক ঐক্যতানে জেগে ওঠে। বই কেনা এবং পড়ার সংস্কৃতি শ্বাশত বাঙালির গৌরবময় ঐতিহ্য— প্রতি বছর অমর একুশে বইমেলা এই সাংস্কৃতিক বার্তাই যেন আমাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে যথার্থই বলেছেন, জ্ঞান চর্চা ও পাঠের বিস্তারে অমর একুশে বইমেলার গুরুত্ব অপরিসীম। জাতির মনন গঠনে এই বইমেলা সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রেখে চলছে।

'অমর একুশে বইমেলা-২০২৩' নিয়ে আমরা প্রকাশকরা আছি মহাসংকটে। নতুন বই প্রকাশের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন অধিকাংশ প্রকাশকই। নতুন বই প্রকাশের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তারা। কারণ, পর পর দু’বছর করোনার ছোবলে প্রকাশনা শিল্পের ভয়াবহ ভঙ্গুর পরিস্থিতির মধ্যে কোনোরকম প্রণোদনা পায়নি তারা। উপরন্তু এ বছর প্রকাশনার সব কাঁচামালের দাম বেড়েছে প্রায় শতকরা পয়তাল্লিশ ভাগ। এমনতেই বইয়ের বিক্রি সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, তার উপর বাড়তি দাম আরোপ হলে পাঠক তো আরও বইবিমুখ হবেন। পুরাতন বই রিপ্রিন্ট করলেও বইয়ের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। নিচে কিছু কাঁচামালের ২০২২ সালের জানুয়ারি এবং বর্তমান মূল্য তুলনা করলেই বিষয়টি খুব সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। যেমন-
৩২" হোয়াইট প্রিন্ট ৭০ জিএসএম কাগজ জানুয়ারি'২২ এ প্রতি কেজির মূল্য ছিল ৯০ টাকা, বর্তমানে মূল্য ১৩০ টাকা।
৩০" হোয়াইট প্রিন্ট ৭০ জিএসএম কাগজ জানুয়ারি '২২ এ প্রতি কেজির মূল্য ছিল ৯০টাকা, বর্তমানে মূল্য ১৩০ টাকা।
১০০ গ্রাম অফসেট ডিডি কাগজ (লোকাল) এর জানুয়ারি '২২ এ প্রতি রিমের মূল্য ছিল ২৫৩০ টাকা, বর্তমানে মূল্য ৩৫২৫ টাকা।
প্রিন্টিং কালি ওয়েব জানুয়ারি '২২ এ প্রতি পাউন্ডের মূল্য ছিল ৭০ টাকা, বর্তমান মূল্য ১০৫ টাকা।
প্রিন্টিং কালি শিট জানুয়ারি '২২ এ প্রতি পাউন্ডের মূল্য ছিল ২৭৫ টাকা, বর্তমান মূল্য ৩১৫ টাকা।
প্রিন্টিং প্লেট ওয়েব ৮২০" ×৫৯০" জানুয়ারি '২২ এ প্রতিটির মূল্য ছিল ২৫২ টাকা, বর্তমান মূল্য ২৯৫ টাকা।
প্রিন্টিং প্লেট শিট ৬০৫" × ৭৬০" জানুয়ারি ২২ এ প্রতিটির মূল্য ছিল ১৬২ টাকা, বর্তমান মূল্য ২৩০ টাকা।
বাইন্ডিং গ্লু জানুয়ারি '২২ এ প্রতিকেজির দাম ছিল ৪২৫ টাকা, বর্তমান মূল্য ৪৫০ টাকা।

এ ছাড়াও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে গেছে। কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো অনিবার্য হয়ে উঠেছে। সামগ্রিক বিবেচনায় প্রকাশকদের পাশে এই মুহূর্তে সরকার যদি সদয় হয়ে বিশেষ বরাদ্দ ও অন্যান্য সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে না আসে তাহলে আসন্ন 'অমর একুশে বইমেলা'র মতো এমন একটি জাতীয় আয়োজনে নতুন বইয়ের প্রকাশ অত্যন্ত সংকুচিত হয়ে পড়বে, পুরাতন রিপ্রিন্ট বইয়ের দাম বাড়বে; এর ফলে আগামী বইমেলায় বিপর্যয়ের আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। এ ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ জরুরি।

সামগ্রিক বর্তমান চিত্র উপস্থাপনের পর নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন প্রস্তুতিটা প্রকাশকদের কেমন চলছে! তারপরও সফল 'অমর একুশে বইমেলা'র জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

আরএ/

Header Ad

হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত

মশিউর রহমান ও জুয়েল রানা। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান ও ডিএমপির সাবেক এডিসি জুয়েল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিবির সাবেক ডিসি (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ও বর্তমানে পুলিশ সুপার হিসেবে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মশিউর রহমানকে নিউমার্কেট থানার মামলায় গ্রেফতার করে ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেহেতু, মশিউর রহমানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের এডিসি (সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)) জুয়েল রানাকে নিউমার্কেট থানার মামলায় গ্রেফতার করে ১৮ অক্টোবর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সেহেতু, জুয়েল রানাকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ১৮ অক্টোবর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন জুয়েল রানাকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

এর আগে, ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে ডিবি পুলিশ কাফীকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ রয়েছে।

Header Ad

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯

প্রতীকী ছবি

বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুর তাণ্ডব। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে; যা এ বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। একই সময় ১ হাজার ৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে; যা এ বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলো ৪৫৯ জনের।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।

Header Ad

আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত

ঋষভ পান্ত। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে শুরুতে রেকর্ড গড়ে বিক্রি হয়েছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। তাকে ২৬.৭৫ কোটি রুপিতে কিনেছিল পাঞ্জাব কিংস। কিন্তু সেই রেকর্ডও টেকেনি বেশিক্ষণ। আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছেন ঋষভ পান্ত। তাকে ২৭ কোচটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের মেগা নিলাম। আর যেখানে ২৭ কোটি রুপিতে পান্থকে দলে নিয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্ট। সেই সঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে দাবি খেলোয়াড় হলেন পান্থ।

২ কোটি রুপি ভিত্তি মূল্যতে নিলামে উঠে ছিলেন পান্থ। শুরুতে তাকে নিয়ে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে লড়াই করতে থাকেন লখনৌ। এই দুই দলের লড়াইয়ে লখনৌ বিজয়ী হলেও, দ্বিতীয় ধাপে পান্থকে দলে নিতে মাঠে নামে সানারাইজার্স হায়দরাবাদ। এখানেও শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে লখনৌ।

কিন্তু তার জন্য দলটিকে খরচ করতে হয়েছে ২৭ কোটি রুপি। যা আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ। সুতরাং আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় এখন পান্থ।

গত আসরের নিলামে মিচেল স্টার্ককে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে দলে ভিড়িয়ে রেকর্ড গড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু এবারে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে শ্রেয়াস আইয়ারকে দলে নিয়ে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। এর একজন পরেই নিলামে ওঠা পান্থের নাম। সেখানেই জাতীয় দলের সতীর্থকে পিছনে ফেলেছেন তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল