শোক দিবসে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভিন্ন ধর্মী আয়োজন
একটি ছেলে চাকরি প্রার্থী। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছে। পাকিস্তানি সেনা অফিসার বাঙালি চাকরি প্রার্থীর ফাইল ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলে দিল “বাঙলার বাচ্চা তোরা আবার চাকরি করতে আসছিস ! ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের আগে বাঙালি জাতিকে কিভাবে প্রহসনের শিকার হতে হতো সেই চিত্র তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) গাজীপুরের শ্রীপুরের চকপাড়া ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে একটি ছোট নাটকের আয়োজন করা হয়। এই নাটকে অভিনয় করেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পুরো নাটকজুড়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্য ও হত্যা পরবর্তী দেশের অবস্থা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। শিশুদের মধ্যে কেউ পাঠ নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর আবার কেউ নিয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
এ ব্যপারে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম জানায়, আমরা অভিনয়টি করতে পেরে আনন্দিত হয়েছি। মনে হয়েছে আমরাই বুঝি যুদ্ধ করছি।
কথা হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. রেজাউল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, শৈশব থেকে এই স্কুলটি দেখছি। শিশুদের মধ্যে সচেতনতার জায়গা তৈরিতে এমন উদ্যোগ প্রথম নেওয়া হলেও বাচ্চারা খুব ভালো করেছে ও তাদের শেখাও হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা বেগম জানান, আমরা এমন ভিন্নধর্মী কাজ করে হলেও চাই যে বাচ্চারা নতুন কিছু শিখুক। তারা যদি নিজ থেকে উদ্যোগী হয়ে শেখে তবে সেই শিক্ষার সদূর প্রসারী একটা ভাবনা তাদের মধ্যে ক্রিয়াশীল থাকবে বলে মনে করি। নাটক, বৃক্ষরোপণ এবং আবৃত্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ দেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা নিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন কবি রাহাত রাব্বানী ও ক্ষুদে লেখক এবং পরিবেশ কর্মী নিতু চৌধুরী। পুরো নাটকটি পরিচালনা করেন উক্ত বিদ্যালয়ের কর্মচারী সুমন মাহমুদ ও তার দলের সদস্য আলম মোল্লা। শিশুদের নিয়ে নাটকটি রচনা করেন লেখক, কলামিস্ট সাঈদ চৌধুরী। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চকপাড়া ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ফারহানা বিনতে রেজা ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শহিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাব্বির হোসেন, সদস্য সাজ্জাদুল করিম ও এলাকার গন্যমান্য মানুষ।
এসআইএইচ