বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নিঃস্ব হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে

রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণা ও স্থানীয় দূতাবাসগুলোর অসহযোগিতায় দেশে ফেরত আসা প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকে পাঁচ বছরের ভিসায় বিদেশ গেলেও চলে আসতে হচ্ছে ছয় মাস বা এক বছরের মাথায়। সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এভাবে ফিরে এসেছেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্ব পালন করা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য ও ফিরে আসা শ্রমিকরা জানান, সম্প্রতি এয়ারপোর্ট দিয়ে বিদেশ ফেরতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। অনেকে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরছেন। অবস্থা এমন হয়েছে যে নিঃস্ব হয়ে ফিরে আসার কারণে অনেক শ্রমিক ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে পর্যন্ত যেতে পারছেন না টাকার অভাবে।

এ প্রসঙ্গে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান শুধু সৌদি আরবের উদাহরণ দিয়ে ভয়াবহতা বোঝানের চেষ্টা করেন। অভিবাসন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা ব্র্যাকের এই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ৬ লাখ ১২ হাজার মানুষ সৌদি আরব গেছে। এর মধ্যে দেড় লাখ মানুষই ফেরত এসেছে। গত ৫ বছরে ২০ লাখ মানুষ সৌদি আরব গেছে। সেখান থেকে বছরে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক সৌদি আরব থেকে ফেরত এসেছে কাজ না পেয়ে।

কারণ হিসেবে শরিফুল হাসান বলছেন, এজন্য আমাদের দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলা দায়ী। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করছে, কেমন কাজ দিচ্ছে এগুলো দেখার বিষয়। যারা যাচ্ছেন তারা ওই সমস্ত কাজ পারেন কি না এবং নির্ধারিত কোম্পানির অধীনে কাজ পাবেন কি না— তা না যাচাই করেই মানুষ যাচ্ছে। এবং যথারীতি কাজ না পেয়ে তারা ফেরতও আসছেন।

দূতাবাসগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শরিফুল হাসান বলেন, দূতাবাসগুলোকে শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। অনেকের কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও তারা ফিরে আসছেন অথবা ওই দেশের পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে কিছু দিন জেলে রেখে ফেরত পাঠাচ্ছে। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর শ্রমিকরা দূতাবাসে যোগাযোগ করলে তেমন প্রতিকার পাচ্ছেন না।

জানা যায়, প্রায় প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মানুষ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ফেরত আসছে। এক্ষেত্রে এই শ্রমিকদের খুবই সামান্য পরিমাণ সহযোগিতা করে থাকেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও এপিবিএন। পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় এক্ষেত্রে নিঃস্ব এ সব শ্রমিককে সহযোগিতা করতে পারে না কর্তৃপক্ষ।

ফিরে আসা শ্রমিকরা জানান, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো তাদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ নিয়েছে। কিন্তু এজেন্সিগুলো সঠিক ভিসা দেয়নি। যে কাজের ভিসা নিয়ে তারা বিদেশে গেছেন, সে কাজ বা বেতন কিছুই পাননি। বাধ্য হয়েই অন্য কাজ খুঁজতে গেলে তাদের আটক করে সৌদি পুলিশ। তখন তাদের কোনো কথা না শুনে তাদের জেলে পাঠানো হয়।

সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত আসা কর্মী যশোরের কামাল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা বৈধপথে সৌদি গিয়েছি। কিন্তু দেখা গেল রিক্রুটিং এজেন্সি সঠিক ভিসা দেয়নি। ফলে ওই দেশের পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করল এবং প্রায় একমাস কারাগারে রাখল। এরপর আমাদের এদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হল। এর মধ্যে আমাদের লোকজন বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে তারা কিছু করেনি।

কামালের দাবি, রিক্রুটিং এজেন্সির ঘাপলার কারণেই এমনটা হয়েছে। দূতাবাস এক্ষেত্রে পাশে থাকলে আমাদের এভাবে নিঃস্ব হয়ে ফিরতে হতো না।

ফেরত আসা আরেকজন শ্রমিক চট্টগ্রামের টিপু বলেন, এজেন্সির প্রতারণার কারণে বিদেশ থেকে ফেরত আসতে হয়েছে আমাদের। আমার মতো অসংখ্য শ্রমিক এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিপদে পড়লে বাংলাদেশ দূতাবাসেরও সহযোগিতা পাওয়া যায় না।

প্রবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে এমন প্রতারণার জন্য এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে টিপু বলেন, যাতে করে আমাদের মতো এভাবে অন্যদের প্রতারণার শিকার হতে না হয়।

চট্টগ্রামের বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী হাবিব ইসলাম ওরফে সোহেল। পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর আশায় রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গিয়েছিলেন সৌদি আরব। ছয় বছর পর দেশে ফেরার কথা থাকলেও কিছুদিনের মধ্যেই ফিরেছেন শূন্য হাতে।

সোহেল জানান, আকামা, পাসপোর্ট সব আছে। তারপরও পাসপোর্ট, মোবাইল সব কেড়ে নিয়ে গাড়িতে করে তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয় সৌদি পুলিশ। সেখান থেকে খালিহাতে পাঠানো হয় দেশে।

প্রবাসীদের দাবি, তাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তা সত্ত্বেও নানা অজুহাতে সৌদির কারাগারে পাঠানো হয় তাদের। সেখানে একই রুমে গাদাগাদি করে রাখা হয় কয়েকশ প্রবাসীকে। পরে তাদের জোরপূর্বক এক কাপড়ে দেশে ফেরত পাঠায় সৌদি সরকার।

সম্প্রতি এক কাপড়ে প্রায় আড়াই শতাধিক শ্রমিককে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সাউদিয়া এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে এ সব শ্রমিক ফেরত আসেন।

ফিরে আসা এসব শ্রমিক ছয় থেকে দশ মাস আগে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক পাঠানোর জন্য পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় বিদেশে গিয়ে এ সব শ্রমিক প্রতিশ্রুত কাজ পান না। কাউকে কাউকে আবার ভিজিট ভিসা দিয়ে পাঠানো হয়। ফলে অবধারিতভাবে তাদের ফিরে আসতে হয়।

 

সৌদি থেকে ফেরত আসা চট্টগ্রামের ফিরোজ বলেন, একটি এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে গেলাম। আকামাসহ সকল প্রকার বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও দেশে ফেরত আসতে হলো। এয়ারপোর্টে এসে মানুষের কাছে ধার করে গ্রামের বাড়িতে যেতে হয়েছে। বাংলাদেশ দূতবাসের কর্মরত ও ওই দেশের পুলিশের হাতপায়ে ধরেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

ফেরত পাঠানো একাধিক প্রবাসী জানান, জেলে প্রায় এক মাস ধরে আটকে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়।

দেশে ফেরত আসা একাধিক প্রবাসী শ্রমিকের দাবি- এক রুমে প্রায় এক থেকে দেড়শ লোককে আটকে রাখা হয়। খাবার ছিল না, পানি ছিল না। একজনের ওপর আরেকজন শুয়ে থাকতে হতো। তাদের কাছে কোনো টাকা নেই। এখন বিমানবন্দরে এসে নেমেছেন, কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার মতো ভাড়ার টাকাও নেই।

ফেরত পাঠানো আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আমার এখনও আকামা আছে আট মাসের। তারপরও আমাকে এসে সৌদি পুলিশ ধরল। বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সহযোগিতা করেনি।

ফেরত পাঠানো এই শ্রমিকদের কেউ ১০ মাস, কেউ এক বছর, দু-বছর, কেউবা আবার ছয়-সাত বছর সৌদিতে থাকলেও তাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য শ্রমিক দেশে প্রবেশ করছে। অনেক সময় তাদের প্রবাস জীবনের গল্প শুনে আমাদের খুব খারাপ লাগে। ফেরত আসা শ্রমিকদের আমরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

জিয়াউল হক আরও বলেন, দুঃখ-কষ্ট নিয়ে ফেরত আসা শ্রমিকদের বিষয়ে জানতে পারলে নিজেদের সাধ্য মতো তাদের সহযোগিতা করে থাকে এপিবিএন। কিছু কিছু সময় এজেন্সির প্রতারণার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করে থাকি।

আরইউ/আরএ/

Header Ad

ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ শতাধিক

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলের দক্ষিণে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ১০০ তে পৌঁছেছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ১২৬ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকর্মীরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রাজিলের রিও গ্র্যান্ডে দো সুলেতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট জলাবন্ধতায় ৪০০ এর বেশি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার (৮ মে) পর্যন্ত ১ লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যাদুর্গত প্রদেশটিতে ১২৬ জনের হদিস মিলছে না। সেইসঙ্গে ব্রাজিলের জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার উচ্চ ঝুঁকি বিরাজ করছে এখনও। কারণ আবারও ভারী বর্ষণ শুরু হতে পারে।

ইতোমধ্যে রিও গ্র্যান্ডে দো সুলেতে সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে এবং বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ হয়ে গেছে। এমনকি ইন্টারনেট সংযোগ এবং টেলিফোনেও যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। বন্যা কবলিত এলাকায় দেড় লাখ সেনা, ফায়ারফাইটার, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জন্য।

বায়ার্নকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ২টি গোলই করেছেন জোসেলু। ছবি: সংগৃহীত

বায়ার্ন মিউনিখ নয়, ওয়েম্বলির টিকিট কাটল রিয়াল মাদ্রিদ। আরো একবার অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখল দলটা। আরো একবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তারা। ‘বার্নাব্যুতে ৯০ মিনিট অনেক লম্বা সময়’ এই কথাটি রিয়াল সমর্থকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। কথাটি ঠিক যে কতটা সত্য তার প্রমাণ পেল জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ।

বুধবার (৮ মে) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জোসেলুর জোড়া গোলে ২-১ গোলে জিতে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনাল নিশ্চিত করলো ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৫৭ শতাংশের অধিক সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে রিয়াল মাদ্রিদ । প্রতিপক্ষের ৭ শটের বিপরীতে তারা নেয় ১৯ শট।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৬৮ মিনিটে আচমকা লিড পায় বায়ার্ন। পাল্টা আক্রমণ থেকে হ্যারি কেনের বাড়ানো বল নিয়ে বাঁ-পায়ে নিশানাভেদ করেন কানাডিয়ান ফুটবলার আলফানসো ডেভিস।

এর কিছুক্ষণ পর ডেভিসের পায়ে লেগে বল বাভারিয়ানদের জালে জড়ালে সমতায় ফিরতে বসেছিল রিয়াল। তবে এ সময় জশুয়া কিমিচ ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে রেফারি গোল বাতিল করেন।

ম্যাচের ৮১ মিনিটে ফেদেরিকো ভালভার্দের পরিবর্তে জোসেলুকে মাঠে নামান কোচ আনচেলত্তি। সাত মিনিট পরই বাঁ-পায়ের শটে এ স্পেনিয়ার্ড বল জালে জড়িয়ে সমতা টানেন। অতিরিক্ত সময়ে আবারও গোল করেন হোসেলু। কিন্তু বাধ সাধে তার অবস্থান। পরে ভার রিভিউ দেখে রেফারি নিশ্চিত হন, অফসাইড নয়; সেটি গোলই। তাতে আনন্দের জোয়ার উঠে বার্নাব্যুতে।

আগামী ১ জুন ১৫তম শিরোপার লক্ষ্যে মাঠে নামবে রিয়াল। সেখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে মঙ্গলবার পিএসজিকে বিদায় করা বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

২৫ বছর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এই রায় ঘোষণা করবেন।

গত ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।

স্ত্রী পারভীন সুলতানা দিতি ও দুই সন্তানের সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী

চলতি বছর ২৮ জানুয়ারি এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাদিয়া আফরিন শিল্পী বলেন, মামলাটির বেশির ভাগ সাক্ষী মারা গেছেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও আদালতে এসেছে। আদালতে যারা এসেছেন, তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমেই প্রক্রিয়া সমাপ্ত করা হয়েছে।

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল।

২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। তারও সাত বছর পর ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত এলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ শতাধিক
বায়ার্নকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ
৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
হজের প্রথম ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়লেন ৪১৯ হজযাত্রী
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
বগি লাইনচ্যুত: ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আবু সাঈদ
গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
দুই দিনের ঢাকা সফরে এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
ছেলে-পুত্রবধূর অপমান সইতে না পেরে বৃদ্ধ মা-বাবার বিষপান
৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ হতে পারে আগামীকাল
জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট: প্রধানমন্ত্রী
ফের আলিয়া ভাটের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস!
‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক সিরাজ গ্রেপ্তার, দুই দিনের রিমান্ডে
এক লাফে ডলারের দাম বাড়ল ৭ টাকা
আজ বিশ্ব গাধা দিবস, পালন করা হয় যেভাবে...
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০-৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসি
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাইকার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা