বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণার অন্তরায় সিটি নির্বাচন!

৫টি সিটি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে নেতা-কর্মীরা নিজেরা অথবা আত্মীয়-স্বজনদের দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। একারণেই দলটির নতুন কর্মসূচি নেই। এ নিয়ে দলে এক ধরনের অস্বস্তি রয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর লিয়াজোঁ কমিটির ধারাবাহিক বৈঠক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পরও নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসেনি। সরকারবিরোধী বিএনপি জোট সরাসরি এসব নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিভিন্ন জায়গায় গোপন ও প্রকাশ্যে ভোটের মাঠে জড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কায় দায়িত্বশীল নেতারা। শুধু তাই নয়; কোনো কোনো জায়গায় নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে তৃতীয় কোনো পক্ষকে সমর্থন দিয়ে মাঠে রয়েছেন দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে গভীর চিন্তায় দলটির হাইকমান্ড।

সিটি ভোট বয়কটের ঘোষণা দিলেও বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে দল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নির্বাচনে গেলে তারা প্রার্থী হতে চান। আর দল শেষ পর্যন্ত ভোটে না গেলে খালি মাঠ ছেড়ে দিতেও নারাজ তাদের কেউ কেউ। সেক্ষেত্রে নিজে প্রার্থী না হলেও এলাকায় অবস্থান ধরে রাখতে কৌশলের অংশ হিসেবে ছেলে কিংবা পরিবারের অন্য কাউকে দিয়ে ভোট করানোর পরিকল্পনা করছেন।

তবে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণে সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতিবন্ধকতা নয় বলে দাবি করছেন দলটির দায়িত্বশীল নেতারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো ভাবনা নেই। বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করছে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচিতে মাঠে থাকছে। শিগগিরই নতুন কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে বিএনপি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির সঙ্গে ১০ দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিকরা ঈদুল আজহার পর সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে যেতে চান। তবে এর আগ পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচির পরিবর্তে নিয়মতান্ত্রিক সাদামাটা কর্মসূচির পক্ষে মতামত দিয়েছে মিত্ররা, যেখানে জনগণ সম্পৃক্ত হবে। সমমনা দলগুলোর নেতারা জেলা, মহানগরে ফের সমাবেশ, ঢাকা থেকে বিভাগ অভিমুখী রোডমার্চ, ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। বিএনপির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি হিসেবে এসব প্রস্তাবনা দেন তারা। আর বিএনপিও ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচিতে মাঠে থেকে চলমান আন্দোলন আরও বেগবান করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অক্টোবরের মধ্যে আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ দিতে চায় দলটি।

এ লক্ষ্যে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। তবে কর্মসূচি প্রণয়নে মিত্রদের কাছ থেকে প্রস্তাবনা নেওয়ার পর সুশীল সমাজ ও পেশাজীবী নেতাদেরও মতামত নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত বিএনপির। তারপর সবার মতামত সমন্বয় করে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র মতে, নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন নিয়ে কাজ করছেন দলটির দায়িত্বশীল নেতারা। তবে চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার আগে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, মতানৈক্য মিটিয়ে ফেলতে চান তারা। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামতে পারলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই তৃণমূলের দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনে সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। সাংগঠনিক সম্পাদকরা মাঠ জরিপের মাধ্যমে কোথাও কোনো দূরত্ব, মূল দলের সঙ্গে অঙ্গসংগঠনের সমন্বয়হীনতা থাকলে তা চিহ্নিত করে এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে প্রতিবেদন দেবেন। পরে সে অনুযায়ী তৃণমূলে দলের সমন্বয়হীনতা, মতানৈক্য নিরসনের উদ্যোগ নেবে হাইকমান্ড। বিগত আন্দোলনে সফলতা না পেলেও এবার সফল হতে চায় দলটির হাইকমান্ড। দাবি আদায় করেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে চায় বিএনপি।

গত ২৬ এপ্রিল দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করে বিএনপির হাইকমান্ড। বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে অনেক জেলা, মহানগর ও উপজেলায় মূল দলের সঙ্গে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে, সে বিষয়টি তুলে ধরে সাংগঠনিক সম্পাদকদের মাঠ জরিপের মাধ্যমে তা চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নতুন কর্মসূচি নির্ধারণে সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতিবন্ধকতা নয়; আমরা তো সিটি নির্বাচনে যাচ্ছি না। শুধু সিটি নির্বাচন নয়, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই দেশের জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। জনগণ চায় এই সরকারকে বিদায় করে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একটি নির্বাচিত সরকার গঠিত হোক। আমরা সেই লক্ষ্যেই আন্দোলন করছি; এবং আন্দোলনের মাধ্যমেই এই অনির্বাচিত সরকারকে বিদায় করে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে, নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সকল দলের অংশ গ্রহণে একটি নির্বাচন হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।

এদিকে প্রায় ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া বেশ কজন প্রভাবশালী নেতা দায়িত্বে থাকলেও বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে তেমন কার্যকর ভূমিকা দেখাতে পারেনি ঢাকা মহানগর বিএনপি। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও এ বিষয়ে অসন্তুষ্ট। তাদের অভিযোগ, ঢাকার নেতাদের ব্যর্থতার কারণেই দেশব্যাপী জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয় না। ফলে ঢাকা মহানগর বিএনপি নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করে হাইকমান্ড।

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ ঢাকাপ্রকাশ কে বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু হলো রাজধানী। এ জন্য আমরা ঢাকাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। অতীতের ব্যর্থতা ঘোচাতে নবোদ্যমে কাজ শুরু করেছে হাইকমান্ড। আন্দোলনের জন্য রাজধানীতে সংগঠনকে একেবারে তৃণমূল থেকে সংগঠিত করার পরিকল্পনা রয়েছে দলের। সেই কাজ শেষ পর্যায়ে।

আরইউ/এসএন

Header Ad

জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : সেতুমন্ত্রী

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সব অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানের সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনও মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না।’

বিএনপির সমালোচনা করে বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি সবসময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধ কোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল। যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না।’

বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যে কোনও উপায়ে ক্ষমতা দখল করা অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট-তন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনোদিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ায়নি। বরং বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা, সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষক হত্যা এবং বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে বন্দুকের জোরে মানুষকে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি।

বিএনপি আদমজী জুট মিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষসহ সব মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।’

মে মাসে আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

ফাইল ছবি

সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ে এপ্রিল মাস জুড়ে তীব্র গরমে পুড়েছে সারা দেশ। তীব্র গরমে নাস্তানাবুদ সব বয়সের মানুষ। এদিকে তাপপ্রবাহের ফলে গরমরে তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘটছে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনা। এদিকে চলতি মাসে আবহাওয়া কেমন থাকবে তা জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) চলতি মাসের আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়ে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান।

তিনি বলেন, মে মাসের তাপমাত্রা এপ্রিল মাসের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে। মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না। তাপপ্রবাহ এত দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে না।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মে মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে। দুই থেকে তিন দিন বজ্র–শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে। চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও এ বার্তায় বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (সিলেটসহ হাওর অঞ্চলে) নদনদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। কিছু কিছু জায়গায় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের হার ২৭৭ দশমিক ৩ মিলিমিটার। তবে গত এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮১ ভাগ কম বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় বৃষ্টি কম হয়েছে ৯১ শতাংশ। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এপ্রিলে কোনো বৃষ্টিই হয়নি।

সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিল মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এমন অবস্থা গত ৭৬ বছরে হয়নি বলেও জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস।

এদিকে মাসব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহের পর আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

জায়েদ খানের উপস্থাপনায় মঞ্চ মাতাবেন জেমস

জেমস ও জায়েদ। ছবি: সংগৃহীত

উপমহাদেশের নন্দিত গায়ক নগরবাউল জেমস এবার মঞ্চ মাতাবেন লন্ডনে। আর ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, আগামী ২৬-২৭ মে লন্ডনের মাইল অ্যান্ড স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় এই আয়োজনে দুদিনই মঞ্চ মাতাবেন রকস্টার জেমস। পাশাপাশি সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা, প্রীতম হাসান, সাব্বির জামান, দোলাসহ লন্ডনের প্রবাসী অনেক শিল্পী সংগীত পরিবেশন করবেন। থাকছে যাত্রাপালা ও মেলার আয়োজনও।

জেমস ও জায়েদ। ছবি: সংগৃহীত

নেক্সট স্টেজ ইভেন্ট আয়োজিত এই দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠান হাস্যরসে উপস্থাপনা করবেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ বলে নিশ্চিত করেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান।

সর্বশেষ সংবাদ

জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : সেতুমন্ত্রী
মে মাসে আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
জায়েদ খানের উপস্থাপনায় মঞ্চ মাতাবেন জেমস
আইপিএল থেকে কত টাকা পাচ্ছেন মুস্তাফিজ?
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দিলেন স্বামী
গণমাধ্যমের যে কোনো সমালোচনাকে সরকার স্বাগত জানায়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বললেন নরেন্দ্র মোদি
দেশে নির্মাণ হচ্ছে স্বর্ণ কারখানা
টাঙ্গাইলে প্রতীক পেয়েই প্রার্থীদের প্রচারণা
ওমরাহ পালন করতে সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল
সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
রোনালদোর পর সিকান্দার রাজাও সংবাদ সম্মেলনে কোমল পানীয়র বোতল সরালেন
রাঙামাটিতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৩ জনের
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
ঢাবির সিনেট সদস্য হলেন গাইবান্ধা-৫ আসনের এমপি মাহমুদ হাসান
আরও কমলো এলপি গ্যাসের দাম
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন
আগেই মিষ্টি কিনেছিলেন রিঙ্কুর বাবা, কিন্তু জায়গা হলো না বিশ্বকাপে
ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করল কলম্বিয়া