বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

৩ বছর বন্ধ শাহজালালের কনকোর্স হল, দুর্ভোগে যাত্রী ও স্বজনরা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ কনকোর্স হল বন্ধ ৩ বছর ধরে। করোনার কারণে বন্ধ হওয়া কনকোর্স হল করোনা কেটে গেলেও খুলে দেওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাই সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও স্বজনরা।

বিদেশগামী ও আগমনী যাত্রীর স্বজনদের জন্য ৩০০ টাকার বিনিময়ে কনকোর্স হল থেকে তাদের স্বজনদের অভ্যর্থনা ও বিদায় জানানোর সুযোগ থাকলেও গত প্রায় তিন বছর এটি বন্ধ রয়েছে। অথচ প্রতিদিন এ বিমানবন্দর দিয়ে অন্তত ২০ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। আর যাত্রীর সঙ্গে সর্বনিম্ন অন্তত ২/৩ জন স্বজন থাকেন। সেক্ষেত্রে বিমানবন্দরে প্রায় ৪০/৫০ হাজার লোকের সমাগম ঘটে।

কনকোর্স চালু থাকলে যাত্রীর স্বজনরা তাদের নির্ধারিত ব্যক্তিদের সহজেই রিসিভ করে বাইরে আনতে পারতেন। আর এটি বন্ধ থাকার কারণে খুঁজে স্বজনদের পাওয়াই কষ্টকর হয়ে যায়। এছাড়াও ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রীর স্বজনদের অপেক্ষা করতে হয় বাইরে প্রখর রোদে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, কনকোর্স হল খুলে দেওয়ার এখনো পরিকল্পনা হয়নি। পরিকল্পনা হলে জানতে পারবেন।

কামরুল ইসলাম আরও বলেন, এই মুহূর্তে দর্শনার্থীদের জন্য বিমানবন্দরের হলটি খোলার কোনো পরিকল্পনা নেই। বিভিন্ন জেলা থেকে বিমানবন্দরে যাত্রীদের অভ্যর্থনা জানাতে আসা স্বজনদের বসার জন্য বিকল্প পরিকল্পনা রয়েছে। বিমানবন্দরের সামনে ছোট পরিসরে কয়েকটি ছাউনি তৈরি করা হবে।

কামরুল ইসলাম আরও জানান, যাত্রী ও স্বজনদের সুবিধার্থে বিমানবন্দরের কাছেই নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশে একটি আবাসিক হোস্টেল নির্মাণ করেছে ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ড। সেখানে একজন যাত্রী মাত্র ২০০ টাকার বিনিময়ে নিরাপদে রাত্রীযাপন থাকতে পারবেন। যাত্রীরা সময়মতো ফ্লাইট ধরতে আগের দিন এসে এখানে অবস্থান করতে পারবেন।

বিমানবন্দরে দায়িত্বপালনকারী এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক পলাশ বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ যদি কনকোর্স হল খুলে দেয় সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার কোন সংকট হবেনা বলে মনে করি। আমরা শতভাগ নিরাপত্তা বিধানে প্রস্তুত রয়েছি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বন্ধ করে দেওয়া হয় দর্শনার্থী সম্মেলনের কনকোর্স হল। এরপর প্রায় তিন বছর হতে চললেও এখনও খোলা হয়নি হলটি। যাত্রীর বা স্বজনদের জন্য বিমানবন্দরে করা হয়নি কোনো বসার ব্যবস্থাও।

যাত্রীর স্বজনরা জানান, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলেও যাত্রীর স্বজনদের জন্য বসার ব্যবস্থা নেই। এতে রোদ-বৃষ্টি কিংবা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।

তাদের দাবি, বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখলেও প্রবাসী কিংবা তাদের স্বজনদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বিমানবন্দরে বসার জায়গাও নেই। নানাভাবে হয়রানির অভিযোগও তাদের।

প্রবাসী মোতালেব জানান, তিনি দুবাইয়ের একটি বাগানে কাজ করেন। গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। দুই মাসের ছুটি শেষে কাজের জন্য আবার দুবাই রওনা হয়েছেন। বিমানবন্দর বহির্গমন কনকোর্স হল পর্যন্ত এসে তাকে বিদায় জানান স্বজনরা। কিন্তু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল পর্যন্ত যেতেই গেটে আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের বাধা। প্রিয়জনকে বিদায় জানাতে টার্মিনালের গেট কিংবা টিকিট কেটে কনকোর্স হলে যেতে পারেননি স্বজনেরা।

বিমানবন্দরে আসা এক যাত্রীর স্বজন জরিনা বেগম জানান, মালয়েশিয়া থেকে তার ছেলে আসবেন। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায়। সকাল সাড়ে ১১টায় মালয়েশিয়ার একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা। সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ছেলের দেখা পাননি।

দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছেন টাঙ্গাইলের রোকেয়া খাতুনের স্বামী প্রবাসী আওলাদ হোসেন। তার জন্য রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন রোকেয়াসহ কয়েক স্বজন। কিন্তু কোথাও বসার জায়গা নেই। তাই প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে তারা অবস্থান নেন বিমানবন্দরের গাড়ি পার্কিং এলাকার একটি বটগাছের নিচে।

শুধু আওলাদের স্বজনরাই নন, নিত্যদিন এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিমানবন্দরে আসা প্রবাসীদের স্বজনরা।

বিমানবন্দরে যাত্রী নিতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, তিনি তার এক ভাইকে রিসিভ করতে এসেছেন। তার ভাই সৌদি আরব থেকে ৫ বছর পর দেশে আসছেন। সে কোন গেট দিয়ে বেরুবে তা তিনি বুঝতে পারছেন না।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, যদি আগমনীর ক্যানোপিতে দর্শনার্থী প্রবেশ উন্মুক্ত থাকতো তাহলে তিনি ভেতরে যেতে পারতেন। তার ভাইকে সহজেই নিয়ে আসতে পারতেন। কিন্তু বন্ধ থাকার ফলে তারা গ্রাম থেকে ২ জন এসেছেন। তিনি রয়েছেন টার্মিনাল-১ এ আর তার আরেক আত্নীয় রয়েছেন টার্মিনাল-২ এ। পরে টার্মিনাল-১ থেকে তাদের ভাইকে পেয়ে বাসায় নিয়ে যান।

যাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, অনেক স্বল্প-শিক্ষিত ব্যক্তি বিদেশ যাচ্ছেন কিংবা বহু বছর পর দেশে আসছেন। তারা কিভাবে যাবেন, কোন দিক দিয়ে আসবেন এসব কিছু ভালোভাবে বুঝতে পারেন না। এ কারণে ভেতরে প্রবেশের যে সুবিধা সেটি পুনরায় চালু করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। দেশি যাত্রীদের পাশাপাশি যারা বিদেশি যাত্রী রয়েছেন তারাও পড়ছেন নানা সমস্যায়। কনকর্স হল খোলা থাকলে বিভিন্ন হোটেলের প্রতিনিধিরা বিদেশি অতিথিদের নামের কাগজ নিয়ে গ্রিন চ্যানেলের বাইরে থাকতেন। নাম দেখে ওই যাত্রী নির্দিষ্ট লোকের সঙ্গে দেখা করে তার ঠিকানায় চলে আসতে পারতেন। কিন্তু বর্তমানে এই সুবিধা না থাকায় তারাও পড়ছেন নানা সমস্যায়।

এতো গেলো দেশের বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের সমস্যা। বহির্গমনের ক্ষেত্রেও নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। দেখা যাচ্ছে অনেক বয়স্ক যাত্রী তাদের লাগেজ নিয়ে কাউন্টার পর্যন্ত যেতে পারছেন না। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার মতও কেউ নেই। অথচ বহির্গমন কনকর্স হল খোলা থাকলে বৃদ্ধ ও রোগীদের সাহায্যার্থে আসা ব্যক্তি ক্যানোপি পর্যন্ত যেতে পারতেন। বর্তমানে এই সুবিধাও বন্ধ।

যাত্রী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, এমনিতেই তারা বিমানবন্দরে আসছেন। ক্যানোপির বাইরে অবস্থান করছেন। এক্ষেত্রে যদি নিরাপত্তার সমস্যা না হয় তবে ক্যানোপির ভেতরে কি সমস্যা। যখন একটি লোক ক্যানোপির ভেতরে প্রবেশ করবেন তাকে যথাযথ তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করালে সমস্যা কোথায়। দেশের বাইরে অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোতে এই সমস্যা নেই। অথচ আমাদের বিমানবন্দরে এই সমস্যা। তারা দ্রুত কনকর্স হলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

স্বজনরা জানান, বর্তমানে করোনা সংকট কেটে গেছে। এছাড়াও ভেতরে প্রবেশের সময় শতভাগ চেকিং এমনকি আর্চওয়ে গেট পার হয়েই ভেতরে যেতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি যে রয়েছে সেটিও শতভাগ সম্পন্ন হচ্ছে। পাশাপশি ভেতরে ঢুকতে টাকাও পাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আয়েরও একটি ব্যবস্থা হচ্ছে। তাই দ্রুত খুলে দেয়ার দাবি তাদের।

এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক পলাশ বলেন, এটি সম্পূর্ণ সিভিল এভিয়েশনের এখতিয়ার। তারা যা ভালো মনে করবেন সেটিই করবেন। আমাদের নিরাপত্তার যে বিষয়টি আছে আমরা সেটি শতভাগ পালন করছি।

আরইউ/এএস

Header Ad

যুগ্ম সচিব মর্যাদার ৩ জনকে বদলি

ছবি: সংগৃহীত

যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বদলি করে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (যুগ্মসচিব), বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, বরিশাল এর যুগ্মসচিব মো: আহসান হাবীবকে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) এর পরিচালক পদে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব জসিম উদ্দিন হায়দারকে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে পদায়ন করা হয়েছে।

 

এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালযয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমানকে বাংলাদেশ টেলিভিশন এর উপমহাপরিচালক করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই'র বাকবিতন্ডায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে ভাংচুর, আহত ৫

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টিকেট নিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্য ও রেলওয়ের টিটিই'র মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে টিটিই, গার্ড ও এক সেনা সদস্যসহ পাঁচ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া এই ঘটনায় ট্রেনের কর্তব্যরত গার্ড রুমের দরজা, জানালা ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে সেনা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। আর ঘটনার পর প্রায় ১ ঘন্টা ৫০ মিনিট বিলম্বে ট্রেনটি সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়।

আর এতেই দূর্ভোগে পড়ে প্রায় দুই হাজার যাত্রী। অনেক যাত্রীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায়। আবার প্রায় দুই শত যাত্রীকে দেখা যায় তারা ট্রেন ছাড়ার জন্য বিক্ষোভ করতে করতে স্টেশন মাস্টারের রুমের দিকে এগিয়ে যায়।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৫ টার দিকে বগুড়ার সান্তাহার জংশন রেলওয়ে স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে এঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টায় ফুলবাড়ি স্টেশনে পৌঁছে। এ সময় ওই ট্রেনের শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) 'গ' বগিতে থাকা সেনা সদস্য আল আমিন সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে ছুটিতে নিজ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠে। সেই ট্রেনে আরও ১০-১২ জন সেনা সদস্য ছিল। ওই ট্রেনের দায়িত্বরত টিটিই রাসেল হোসেন টিকেট চাইলে দেখাতে ব্যর্থ হয়। এরপর টিটিই'র চাহিদামতো টিকেট বাবদ ৭ শত টাকা দিয়ে দেয় সেনা সদস্য। টাকার বিনিময়ে টিকেট চাইলে টিকিট দিতে অস্বীকৃতি জানান সেই টিটিই। আর এতেই সেখানে এক পর্যায়ে ওই টিটিইর সাথে তাদের বাকবিতন্ডা বাঁধে। ওই ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আব্দুল মালেক, গার্ড আব্দুস সাত্তার বিষয়টি সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন।

এরপর ট্রেনটি সান্তাহার স্টেশনে পৌঁছলে ওই ট্রেনের বিভিন্ন বগিতে যাত্রা করা ১০-১২ সেনা সদস্য একত্রিত হয়ে ওই ট্রেনের গার্ড, টিটিই ও অ্যাটেনডেন্টসহ ৪-৫ জনকে কিল, ঘুষি ও চেয়ার দিয়ে মারপিট করে আহত করেন। পাশাপাশি ট্রেনের দরজা, জানালা ভাংচুর করেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এ ঘটনায় এক সেনা সদস্যও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

খবর পেয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশ, আদমদীঘি থানা পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের উদ্ধার করে। আহত টিটি ও গার্ডকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ও বেশ কিছু সেনা সদস্যকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এ বিষয় নিয়ে পুলিশ বা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে একাধিক সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সহকারী পুলিশ সুপার, রেলওয়ে পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে আসার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শী এক ট্রেন যাত্রী বলেন, টিটিই জানতোনা সে সেনাবাহিনীর সদস্য। টিকেট না থাকায় তার কাছে টিকেট চায় কর্তব্যরত টিটি। তখন সে সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে বলে আমার কাছে টিকেট নেই। টিটিই তার কাছে সাত শত টাকা চাইলে টিকেটের মূল্য বাবদ সেনাবাহিনীর ওই সদস্য টিটিকে টাকা দিয়ে দেয়। এরপর টিকেট চাইলে টিকেট দিতে গড়ি মসি করে টিটিই। মূলত টিকেট না দেওয়ায় শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। তিনি একটু ক্ষোভ নিয়েই বললেন, প্রায় সকল ট্রেনেই কিছু দূর্নীতিবাজ টিটিই থাকে।

যাত্রীরা ক্ষোভ নিয়ে বলেন, সরকারি লোকদের গন্ডগোলের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছি আমাদের মতো প্রায় দুই হাজার সাধারণ যাত্রীরা। এই ঘটনার পর প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে এই সান্তাহার স্টেশনে। কখন যে এর সমাধান হবে কিছুই বলতে পারছি না। তবে এর দ্রুত সমাধান চাই আমরা যাত্রী সাধারণেরা।

এরিপোর্ট লেখা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সান্তাহার রেলওয়ে থানায় সেনাবাহিনীর ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

সারা দেশে আরও ২ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

নিজস্ব ছবি : ঢাকা প্রকাশ

তীব্র গরমে সারা দেশে আরও ২ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ নিয়ে সপ্তমবার হিট অ্যালার্ট দিয়েছে সংস্থাটি।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য এই হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে রবিবার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছিল।

সর্বশেষ সংবাদ

যুগ্ম সচিব মর্যাদার ৩ জনকে বদলি
টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই'র বাকবিতন্ডায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে ভাংচুর, আহত ৫
সারা দেশে আরও ২ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
জমি নিয়ে বিরোধ: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার, শিগগিরই নির্মাণ শুরু : সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গাইবান্ধায় ট্রাকের ধাক্কায় পাওয়ার টিলার চালক নিহত
আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : সেতুমন্ত্রী
মে মাসে আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
জায়েদ খানের উপস্থাপনায় মঞ্চ মাতাবেন জেমস
আইপিএল থেকে কত টাকা পাচ্ছেন মুস্তাফিজ?
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দিলেন স্বামী
গণমাধ্যমের যে কোনো সমালোচনাকে সরকার স্বাগত জানায়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বললেন নরেন্দ্র মোদি
দেশে নির্মাণ হচ্ছে স্বর্ণ কারখানা
টাঙ্গাইলে প্রতীক পেয়েই প্রার্থীদের প্রচারণা
ওমরাহ পালন করতে সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল
সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
রোনালদোর পর সিকান্দার রাজাও সংবাদ সম্মেলনে কোমল পানীয়র বোতল সরালেন