বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

স্মৃতি

বিকেল বেলা চেয়ার নিয়ে বসে আছি বাড়ির বাইরের আঙ্গিনায়। হঠাৎ দেখি স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়ে বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হাতে হাত রেখে প্রেমালাপ করে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে মনে পড়ে গেলো আমার কলেজ জীবনের সেই ১৯৮৮ সালের স্মৃতির কথা। সেই সময় প্রেম করতে হৃদয় গহিনে নাড়া দিলেও লাগতো বড় ভয়, লোক সমাজে কি জানি কি কয়

মনের অজান্তে বলে ফেললাম ওগো প্রেয়সী আজও মনে পড়ে তোমার কথা,তোমার কথা মনে করে পাচ্ছি সারা জীবন ব্যথা। পাশেই বসা ছিল আমার বড় এক চাচাতো ভাইয়ের নাতি নাম আসাদ।সেও কলেজে পড়ে, বলছে ও কবি দাদু তোমার কথা শুনেছি আমি চমকে উঠলাম কি বলতে কি বলে ফেললাম বললাম- না ও কিছু না। কবি দাদু আমি কিন্তু শুনেছি তুমিও নিশ্চয় বয়সকালে প্রেম করেছিলে। দাদা সত্যি বলতো তুমি কি কখনও প্রেম করনি। আমার সেই স্মৃতির কথা মনে করে চোখ যেনো ছলছল করে চোখের কোণায় পানি ভাসছে।

বললাম হ্যাঁ দাদুভাই।

বললো কোথায় আর ওই মেয়েটির নাম কি ছিল।

রূপালী - যেমন নাম তেমন ছিল রূপে গুণে ভরপুর আর সে পড়তো দশম শ্রেণিতে।আমি কলেজের হোস্টেলে থাকতাম।আমার রুমমেট ছিল তিনজন।

হঠাৎ একদিন কাজের বুয়া আসেনি আর ঐ দিন ছিল শুক্রবার কলেজ বন্ধ থাকায় রুমমেট সবাই বাড়ি গিয়েছিল। তাই আমি নিজেই রান্নার কাজে ব্যস্ত এমন সময় মেয়েটি পাশে দিয়ে যাচ্ছে আমার চোখে চোখ পড়তেই ও নিজে থেকেই বলে ফেললো আপনাদের কাজের বুয়া আসেনি।ইতস্ততঃ হয়ে বললাম না আসে নি। আপনি কি রান্না করতে পারেন? বললাম একটু একটু।মেয়েটি ছিল সরলমনা বলল দেন আমি রান্না করে দিচ্ছি। আমি বললাম না না ও জোর করে রান্না করে দিচ্ছে এমন সময় ওর ছোট বোন শিউলি এসে বলল আপু তোমাকে আম্মু খুঁজছে। রূপালী বলল আমি যে এখানে আসছি তা মাকে বলোনা প্লীজ লক্ষী বোনটি একথা বলে মুচকি হাসি দিয়ে রূপালী তার বোনকে নিয়ে চলে গেলো। দুই বোন মিলে পরের দিন আবার আসলো শিউলি পড়ে পঞ্চম শ্রেণীতে একটি অংক করার উছিলায়। দুই বোন মিলে রান্না করে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় বাই বাই বলে বিদায় জানালো, ওর চাহনি, মুচকি হাসে ও রূপের ঝলকানি যেন আমার মনে ভাসতে লাগলো কিছুই ভালো লাগছে না। দেখলাম নাতি আসাদ মনোযোগে শুনতেছে এমন সময় আমার মেয়ে জুঁই ডাকছে আব্বু আম্মু তোমাকে বাসায় আসতে বললো নাতিকে বললাম বাকি কথা আরেক দিন।

আমার গৃহিণী বলল এতক্ষণ আসাদের সাথে কি কথা হলো,বললাম খোশগল্প গিন্নি বললো ও আচ্ছা।

ঠিক পরেরদিন আসাদ ওই জায়গায় আসলো আমার স্মৃতিময় কথা শুনতে, কবি দাদু বাকি কথা কর না শুরু। শোনো দুই দিন পর রুপালী স্কুলে যাচ্ছে সাথে ওর ছোট বোন শিউলিও। জানালার পাশে দিয়ে যাওয়ার সময় একটি গোলাপ ফুল ছুঁড়ে দিয়ে হাত ও চোখের ভাষায় বলে গেলো ভালোবাসি।একদিন বিকেল বেলা ওর এক উপজাতি বান্ধবী নাম রেবা ও ছোট বোন শিউলিকে নিয়ে বেড়াতে এসে পানি খাওয়ার উছিলায় সবাই ঘরে ঢুকলো। বন্ধুরা ইতিমধ্যে বুঝে গেছে তাই সুযোগ দিয়ে ওরা বেড়াতে বাইরে চলে গেলো। রূপালী শিউলীকে বলল তুমি বাড়ি যাও মা আবার খোঁজবে তাই শিউলী মুচকি হেসে বাই বাই বলে চলে গেলো। চানাচুর বাদাম খেতে খেতে গল্প রেবা বললো আপনাদের দু'জনকে বেশ মানিয়েছে তাই আপনাদের ভালোবাসা চিরস্থায়ী হোক।আমি বললাম আমরাতো গরীব মানুষ। রূপালী বলল কে গরীব আর কে ধনী গায়ে তো লেখা নাই আমি তোমাকে ভালোবাসি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না আমি তখন বললাম আই লাভ ইউ টু।

এভাবে চললো মাস তিনেক শীতের শেষে বসন্তের আগমন মনটা করছে উড়ো উড়ো বিকেলে চেয়ার নিয়ে বসে রূপালীদের বাসার দিকে তাকিয়ে আছি। পিছন থেকে শিউলী এসে দুচোখ ধরে দুলাভাই বলে সম্বোধন করে বলল মা আপনাকে এখন আমার সাথে যেতে বলছে।

আমি যেনো বিস্মিত মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি আমতা আমতা করে না না বললাম শিউলী নাছোড়বান্দা কিছুতেই ছাড়লো না। গিয়ে দেখলাম ডাইনিং টেবিলে নাস্তা ও ফলের সমারোহ তার মা আসলো সালাম দিয়ে আন্টি বলে ডাকলাম নাস্তা খাওয়ার ফাঁকে ফ্যামিলিতে কে কে আছে বিভিন্ন জিঙ্গাসাবাদ করলো এক পর্যায়ে আন্টি বললো দেখ বাবা আমাদের বড় ছেলে নেই তুমি আজ থেকে আমার ছেলে হয়ে থাকবে আর রূপালীকে আমি তোমার হাতে তুলে দিতে চাই। বললাম আন্টি আমি তো বর্তমানে বেকার তাই কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে তাছাড়া রুপালি এস,এস,সি পাস করুক আর দেখি আমি কিছু করতে পারি কিনা। আন্টি বলল আর নয় আন্টি বলো মা, লজ্জায় যেনো লাল হয়ে গেলাম সামনে ছিল শিউলী ব্যাচকি দিল। ঠিক আছে মা আজ আসি। এখন বন্ধু মহল সবাই জানে আমি হলাম এই বাড়ীর জামাই। ভালো কিছু রান্না হলে প্রায়ই বাসা থেকে শিউলী দিয়ে যায় আর মাঝে মধ্যে রূপালীও নিয়ে আসতো। ফাইনাল পরীক্ষা আরেক দিকে বিয়ের জন্য চলছে পিরাপিরি কি করবো ভেবে উঠতে পারছিনা সম্পর্কে যেনো চলছে টানাপোড়নের খেলা না পারছি সইতে না পারছি কইতে। ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি আসলাম আর ওদিকে জানতে পারলাম রূপালীর বিয়ের পাকা কথা ছেলে নাকি কাপড়ের ব্যাবসা করে।

রূপালীর একটি চিঠি আদৌ বুকের ভিতর কান্নার ঝড় বয়ে বেড়ায়। চিঠি পাঠিয়েছিল রক্তের ছাপ দিয়ে বলে ছিল আমাকে বাঁচাও তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না, তুমি রাজি থাকলে আমি তোমার সাথে পালিয়ে যাবো তার ওই আকুতি আমার চোখের পানি ছলছল করে বের হয়েছিল কিন্তু কি করব বেকার। বাপের আর্থিক অবস্থাও ভালো ছিল না।সবে ইন্টার মিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছি কিছুদিন পর রিজাল্ট হলো পাশও করলাম।জানতে পারলাম রূপালীর বিয়ে হয়ে গেছে তাই হৃদয়টা যেনো পাথর হয়ে গেলো - মনমরা কিছুই ভালো লাগেনা শেরপুর সরকারি কলেজে বি,এ ভর্তি হলাম পাস করলাম সরকারি চাকরি হলো সেই চট্টগ্রামে পোস্টিং প্রায় তিন চার মাস পরপর বাড়ি আসতাম বুঝলে নাতি। তখন ছিল রেডিওর যুগ বিরহের গান শুনতাম আর মাঝে মধ্যে কবিতা লিখে সময় পার করতাম আর এখনকার মতন মোবাইল ছিলনা বাবা চিঠি লিখতো সাত/ আট দিন পরে পেতাম আমি লিখলেও সেভাবেই পেত আর তীর্থের কাকের মতন চেয়ে থাকতাম কবে আসবে চিঠি এই অপেক্ষাটাও যেনো অনেক আনন্দের ছিল।

যাই হোক বাড়ি আসলাম পঁচানব্বই সালের মে মাসে বাবা আর মামা মিলে পঁচিশে মে বৃহস্পতিবার নয়আনী বাজার শেরপুর টাউনে তোমার দাদীর সাথে বিয়ে ঠিক করে এসে আমাকে বললেন মেয়ে দেখতে যাব। যাওয়ার সময় বন্ধু সম্রাটকে পেলাম নিউমার্কেট মোড়ে ওরে বললাম চল বন্ধু মেয়ে দেখতে যাব ও এমনিতেই রাজি হয়ে গেলো।

গিয়ে দেখলাম বিয়ের সমস্ত ব্যবস্থা করেই তারা আমাকে মেয়ে দেখার কথা বলে নিয়ে আসছে কারণ আমি বিয়ের বাপারে উদাসীন ছিলাম।

এখানে মজার ব্যাপার কি জানো বিয়ের পর জানতে পারলাম তোমার দাদীও নাকি কলেজ থেকে ফেরার পথে ওর এক বান্ধবীর নিকট জেনেছিল তোর বিয়ে তুই কোথায় থেকে আসলি ও বলেছিল কি বলিস আমার বিয়ে আর আমি জানতাম না।

তোমার দাদী চিঠি দিত সাত/ আট দিন পরে পেতাম যেনো সেই চিঠির মধ্যে ভালোবাসার নিবেদন, মনে হতো না মাছুমা আমার স্ত্রী মনে হতো এক যুগের প্রেমিকা।

 এখনতো মোবাইলের যুগ চিঠির প্রয়োজন নেই বললেই চলে কপোত কপোতির কথ হয় দিবারাত্রি।

আজকে তোমাদের চিঠির দিন শেষ,

মোবাইল নেমে সুখে আছ বেশ।

 

ডিএসএস/ 

Header Ad

নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন

নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনসহ ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ১২টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আরুণাভ চক্রবর্ত্তী এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার আজ দিন ধার্য করেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকী।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।

খালাস প্রাপ্তরা হলেন- তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, ফারুক আব্বাসী, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

বিচারক রায়ে বলেন, এ মামলার সিডি (কেইস ডকেট) পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয় সিডি গায়েব করা হয়েছে। আদনান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল থেকে ধরা পড়েন। তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন তবে তা অনেকটা গাঁ বাঁচিয়ে দেওয়ার মতো। সোহেল চৌধুরী কোনও অখ্যাত ব্যাক্তি ছিলেন না অথচ তিনি খুন হলেন। ট্রাম্পস ক্লাবের ম্যানেজার বলেছেন জেনেছি সোহেল চৌধুরী নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। অথচ এ ঘটনায় আহত অপর একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। যারা পুলিশের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের অনেকেই মারা গেছেন তাই তাদের পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। জবানবন্দি গ্রহণ করা ম্যাজিস্ট্রেটরাও আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি। যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারাও পক্ষপাতদুষ্ট ও সত্য গোপনের চেষ্টা করেছেন।

তিনি বলেন, এত বছর ধরে মামলার বিচার না হওয়ায় মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রভাব পড়ে। প্রতিটি মৃতের আত্মা বিচার চায়। আদনান সিদ্দিকী কয়েকজনের নাম বলেছেন নিজের গাঁ বাঁচিয়ে। যে নিজের গাঁ বাঁচিয়ে সাক্ষ্য দিতে পারে সে অন্যের নামও অসত্য বলতে পারে। তবে যাদের নাম বলেছে তাদের কাছ থেকে কোনো রিকোভারি হয় নাই। তারা যে সেখানে ছিল সেটা বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও যাদের নাম বলেছে আদনান সিদ্দিকী তাদের মধ্যে একজনও যদি সেখানে না থাকে বা একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে থাকে তাহলে তার ভাষ্য অনুযায়ী আসামিদের গুরুদণ্ড দেওয়া ঠিক হবে না।

এছাড়া আসামি আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাপ্ত সাক্ষ্য পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। বান্টির বক্তব্যে ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরীর নাম এলেও ঘটনাস্থলে তাদের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়নি বিধায় তাদের খালাস দেওয়া হলো।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

সবশেষ ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত। বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের এক পাইলট নিহত

নিহত পাইলট অসীম জাওয়াদ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অসীম জাওয়াদ নামে এক পাইলট মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত কো-পাইলট উইং কমান্ডার সোহান চিকিৎসাধীন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা।

তিনি বলেন, বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে এলে তাদের উদ্ধার করে বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অসীম জাওয়াদ নামে একজনের মৃত্যু হয়। অন্যজনের অবস্থা মোটামুটি ভালো।

এর আগে এক বার্তায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ (YAK 130) প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরে বিমানের দুজন পাইলটকে উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরে এটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এসময় বিমানে থাকা দুজন পাইলট প্যারাশুট দিয়ে নেমে যান। একপর্যায়ে বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়।

দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই সার্জেন্ট জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির অবস্থান। দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি সেখান থেকে উড়াল দিয়েছিল বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে গণভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গেও দেখা করবেন বিনয় মোহন কোয়াত্রা। এ ছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিশেষ ফ্লাইটে তিনি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বলে জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়, সংক্ষিপ্ত সফরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব একটি বিশেষ ফ্লাইটে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা আসেন।

আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কোয়াত্রার সঙ্গে আলোচনায় সীমান্ত হত্যা গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

কোয়াত্রার সফরে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে নানা বিষয় আছে। স্বাভাবিকভাবে নানা বিষয় আলোচনা হবে। তিনি আসার পর আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

গত ২০ এপ্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্র-সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার। তবে অনিবার্য কারণে তার পূর্বনির্ধারিত সেই সফর স্থগিত করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের এক পাইলট নিহত
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক
২১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ রানেই অলআউট
পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
সন্ধ্যার মধ্যে ৬ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা
ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ শতাধিক
বায়ার্নকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ
৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
হজের প্রথম ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়লেন ৪১৯ হজযাত্রী
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
বগি লাইনচ্যুত: ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আবু সাঈদ
গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
দুই দিনের ঢাকা সফরে এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
ছেলে-পুত্রবধূর অপমান সইতে না পেরে বৃদ্ধ মা-বাবার বিষপান
৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ হতে পারে আগামীকাল
জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট: প্রধানমন্ত্রী
ফের আলিয়া ভাটের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস!