বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ | ১৯ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ছবি: সংগৃহীত

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বাংলাদেশ জন্মের সাথে রয়েছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গুরত্বপূর্ন সম্পর্ক। পৃথিবীর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন ইতিহাস নেই যে সেই বিশ্ববিদ্যালয় একটি দেশের জন্ম দিয়েছেন। তবে এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পূর্ববাংলার মুসলমানদের মধ্যে একটি সচেতন মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী শ্রেণি গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশকে জন্ম দিতে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নির্মাণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। সাংবাদিক এবং গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদও তার বইয়ে লিখেছেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাস আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস অবিচ্ছেদ্য।

এ ছাড়া স্বাধীনতার পর প্রতিটি গণতান্ত্রিক, মৌলবাদ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই সর্বদা ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশের প্রয়োজনে নিজেকে উৎসর্গ করাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নিজ দায়িত্ব হিসেবে কাঁধে তুলে নিয়েছে। যেকোনো সংকটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে দেশ ও জাতি এটিই আশা করে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকে কার্যক্রম বিশ্বজুড়ে সুনাম কুড়ালেও বিগত কয়েক দশক ধরে শিক্ষার্থীদের তীব্র আবাসন সংকট, গেস্টরুম সংস্কৃতি, গবেষণার অপ্রতুলতা এবং সেকেলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সেবার কারণে সমালোচনায় জর্জরিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন নির্ধারণ

গত ২৬ জুন অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন নির্ধারণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন এবং এই সম্পর্কিত মিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাডেমিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান এবং ফিজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান প্রস্তাব করা হয়েছে। এ দুটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত একাডেমিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নকালে অনেক বিভাগের শিক্ষার্থী সংখ্যা যৌক্তিক পর্যায়ে আনা হবে। সময়ের চাহিদা অনুযায়ী কিছু নতুন বিভাগও খোলা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর বাণী

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আজ প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ উপলক্ষে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য-‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চ শিক্ষা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধি চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই জাতির পিতার শিক্ষা দর্শনের আলোকে দেশের শিক্ষা খাতের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিজ্ঞান ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি। গবেষণা ও প্রযুক্তির জন্য অনুদান ১০০ কোটিতে উন্নীত করি। আমরা জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, বঙ্গবন্ধু বৃত্তি এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের প্রবর্তন করি।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। পাশাপাশি অভিনন্দন জানিয়েছেন বর্তমান ও সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে। উপাচার্য বলেন, জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের গৌরবগাথা নিয়ে শতবর্ষ পাড়ি দিয়েছে প্রাণপ্রিয় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, চিরগৌরবময় মুক্তিযুদ্ধসহ গণমানুষের সব লড়াইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা নেতৃত্ব দিয়েছে। জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশ সেবায় রেখেছে অনন্য অবদান।

বর্ণাঢ্য কর্মসূচি

বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে আজ সোমবার ১০৩তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সম্মুখস্থ পায়রা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রাসহকারে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সমবেত হবেন। স্মৃতি চিরন্তন চত্বর থেকে সকাল পৌনে ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহকারে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মুখস্থ পায়রা চত্বরে গমন করবেন।

সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সম্মুখস্থ পায়রা চত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা। উত্তোলন, পায়রা, বেলুন ও ফেস্টুন ওড়ানো, কেক কাটা এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সং ও উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছাড় এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আলোচনা সভায় অংশ নেবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নীলক্ষেত ও ফুলার রোড সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

Header Ad

ঈদ ও গ্রীষ্মের ছুটি শেষে আজ খুলল সব প্রাথমিক বিদ্যালয়

ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে আজ (৩ জুলাই) খুলেছে দেশের সব প্রাথমিক স্কুল। গত ১৩ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ছিল এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ২০ দিনের ছুটি শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে। বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে স্কুলের ছুটি বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই।

এর আগে, শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ঘোষিত ছুটি এক সপ্তাহ কমিয়ে গত ২৬ জুন থেকে খুলে দেওয়া হয় স্কুল-কলেজ। তবে প্রাথমিকে পূর্ব ঘোষিত ছুটি বহাল রাখা হয়। এদিকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারাদেশে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট। এ পরিস্থিতির মধ্যেই খুলছে প্রাথমিক স্কুল

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি ঘোষণা করে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে স্কুল এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।

অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি জানানো হয়।

দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৫৮

ফাইল ছবি

সৌদি আরব থেকে পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ হাজি। এ বছর হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি হাজির মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ জনে।

বুধবার (৩ জুলাই) ভোরে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বুলেটিনে বলা হয়, পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৮৩ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ১০৯টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৪১টি, সৌদি এয়ারলাইনস ৪২টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ জন হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।

এদিকে চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন এবং নারী ১৩ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৪৬ জন, মদিনায় চারজন, মিনায় ছয়জন ও জেদ্দায় দুইজন মারা গেছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।

এদিকে, চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।‌ এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪১ জন হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সবার পরিচয় প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজ যাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে নামাজে জানাজা হয়।

আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাওয়ার হুমকি পাকিস্তানের

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় নতুন সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পাকিস্তান হামলা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আরও বলেছেন, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিক নাগরিকদেরকে লক্ষ্যবস্তু করে যেসব সন্ত্রাসী দল হামলা চালাচ্ছে বলে ইসলামাবাদ অভিযোগ করে আসছে, তাদের ওপর এই বিমান হামলা করা হচ্ছে।

এর আগে, পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই বছরের মার্চ মাসে প্রতিবেশী দেশটিতে এমন একটি হামলার কথা স্বীকার করেছিলেন। আফগানিস্তানের তালেবান সরকার এই হামলাকে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছে।

খাজা আসিফ বলেছেন, ‘এটা ঠিক যে, আমরা আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা তা চালিয়ে যাব। আমরা তাদের কেক এবং পেস্ট্রি খেতে দেব না। যদি আক্রমণ করা হয়, আমরা পাল্টা আক্রমণ করব।’

পাকিস্তানের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামলার বৈধতা নিয়ে শঙ্কাও উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান আসন্ন হামলার বিষয়ে তালেবানকে আগে থেকে কিছুই জানায় না। তার ভাষায়: ‘এটি বিস্ময়ের উপাদানটি দূর করবে। কেন আমরা তাদের বলব, ‘প্রস্তুত হও, আমরা আসছি’?’

তালেবান বলেছে, এই ধরনের বক্তব্য ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’। একইসঙ্গে আন্তঃসীমান্ত হামলার ‘পরিণাম’ ভোগ করতে হবে বলেও পাকিস্তানকে সতর্ক করেছে তারা।

২০২১ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। পাকিস্তান অভিযোগ করে থাকে, পাকিস্তানি তালেবান বা টিটিপি নামে তালেবানের একটি দলের আফগানিস্তানে আশ্রয়স্থল রয়েছে।

খাজা আসিফ বলেছেন, ‘আফগানিস্তান টিটিপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনিচ্ছুক। তারা যাতে পাকিস্তানে হামলা চালাতে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার না করে সে বিষয়ে আমাদের অনুরোধ সত্ত্বেও।’

পাকিস্তান সম্প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী হামলা দমনের লক্ষ্যে একটি নতুন সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা কথা করেছে। এই অভিযানে প্রধানত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সক্রিয় গোষ্ঠীগুলোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে সামরিক বাহিনী।

সমালোচকদের পাশাপাশি দেশটির শেহবাজ সরকারের অভ্যন্তরে কিছু সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে, বেইজিংয়ের চাপের পরে নতুন এই সামরিক অপারেশন শুরু করা হয়েছে। মূলত পাকিস্তানে অবস্থানরত চীনের ২৯ হাজার নাগরিকের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন বেইজিং।

বিপুল সংখ্যক এই চীনা নাগরিকদের মধ্যে ২৫০০ জন চীন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর প্রকল্পে কাজ করছেন। এটি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ।

চলতি বছরের মার্চ মাসে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করা চীনা প্রকৌশলীদের গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ চীনা প্রকৌশলী নিহত হন।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানায়, হামলাটি চালানোর বিষয়ে প্রতিবেশী আফগানিস্তানে পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং আত্মঘাতী হামলা চালানো ব্যক্তিটিও একজন আফগান নাগরিক।

তবে সাম্প্রতিকতম সামরিক অভিযানগুলো চীনের চাপের কারণে হয়েছে বলে যে গুঞ্জন রয়েছে তা অস্বীকার করেছেন খাজা আসিফ। তবে তিনি বলেছেন, এই অভিযানগুলোর মাধ্যমে পাকিস্তানে চীনা প্রকল্প এবং চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে হুমকি মোকাবিলা করবে তার দেশ।

সর্বশেষ সংবাদ

ঈদ ও গ্রীষ্মের ছুটি শেষে আজ খুলল সব প্রাথমিক বিদ্যালয়
দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৫৮
আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে যাওয়ার হুমকি পাকিস্তানের
কোপার কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ ভিনির
কোপার শেষ আট নিশ্চিত করলো ব্রাজিল
দুপুরে ১৭ জেলায় ঝড়ের আভাস
রাফায় ২ মাসে ৯০০ হামাস যোদ্ধাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
হাসপাতালে নবজাতককে রেখে পালালেন তরুণী
লবণ দেওয়া চামড়ার ৯০ শতাংশ বিক্রি, ক্ষতের দাগে নষ্ট ১০ শতাংশ
অপু বিশ্বাসকে কড়া হুঁশিয়ারি বুবলীর
ইসরায়েল-আমেরিকা-ব্রিটেনের চার জাহাজে হামলার দাবি হুথির
দুর্নীতির মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি
বন্যার শঙ্কা, প্রস্তুত থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে ধর্মীয় সমাবেশে পদদলনে নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে
কার্ড প্রকাশ, বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন দিঘী!
টাঙ্গাইলে নিখোঁজের ৪ দিন পর প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার
দাতাগোষ্ঠীর থেকে ১১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব এসেছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১১ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
চুয়াডাঙ্গায় ইটভাটা শ্রমিকের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ
ঢাকায় কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বেড়েছে মানুষের ভোগান্তি