শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪ | ২১ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

হাসপাতালে নবজাতককে রেখে পালালেন তরুণী

ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্য বিশিষ্ট হাসপাতালে নবজাতককে রেখে পালিয়েছেন এক তরুণী। ভর্তির ২ ঘণ্টা পর সেই তরুণী নবজাতকটিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রেখে পালিয়ে যায়।

এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। সোমবার (১ জুলাই) সকাল ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। ভর্তির কাগজে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী উল্লেখ করা হয়েছে। অভিভাবকের জায়গায় জয় লেখা রয়েছে এবং বাচ্চার নাম লেখা রয়েছে বেবি।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রকিবুল ইসলাম চয়ন বলেন, গতকাল সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের একটি সদ্য ভূমিষ্ঠ মেয়ে বাচ্চাটি কে বা কারা রেখে পালিয়ে গেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নবজাতকের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার খোঁজ নিতেও কেউ আসেননি। বাচ্চাটি বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আছে। তবে বাচ্চাটি সুস্থ আছে।

শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত এক নার্স বলেন, সোমবার সকাল ৮টায় এক তরুণী নবজাতককে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। মা পরিচয় দিয়ে নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সকাল ১০টার দিকে নবজাতককে মাকে আর তার পাশে দেখা যায়নি। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কোনো অভিভাবক বাচ্চাটির কাছে আসেনি। পরবর্তী সময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোঁজখবর নিলেও সেই বাচ্চার কোন অভিভাবক পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঠাকুরগাঁও শিশু কল্যাণ পরিবারকে খবরটি জানান।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, বাচ্চাটি কে বা কারা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে খবর দেয়। আমরা ঠাকুরগাঁও শিশু পরিবারকে ইতোমধ্যেই জানিয়েছি। তাদেরকে নিয়ে বাচ্চার বিষয়ে কথা হয়েছে। এই মুহূর্তে বাচ্চার একজন অভিভাবক দরকার। তাই আমরা বাচ্চাটিকে কারো কাছে দিতে চাই। এরই মধ্যে কয়েকজন কাগজসহ আবেদন করেছে। ঠাকুরগাঁও শিশু পরিবারসহ পরবর্তীতে আমরা কাগজ যাচাই বাছাই করে যাকে দেওয়ার মতো হয় তাকে বাচ্চাটি দিয়ে দেব।

Header Ad

দাবি আদায়ে আন্দোলনে অনড় কোটাবিরোধীরা

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে বহাল থাকলেও তা প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে৷ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বিভাগ জানান কোটা বাতিলে হাইকোর্টের আদেশ অপরিবর্তিত থাকবে৷ আদালতের এই সিদ্ধান্তের পরও কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন৷ টানা তিন দিন ধরে তারা শাহবাগে আছেন৷

আদালতের রায়কে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার বিরোধী দাবি করে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে কোটার সমাধান করবেন বলে তারা জানিয়েছেন৷

আপিল বিভাগের বৃহস্পতিবার আদেশ কোটা বহাল রাখতে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বজায় থাকবে কিনা এ বিষয়ে শুনানিতে আপিল বিভাগ বলেন, আপাতত হাইকোর্টের রায় যেভাবে আছে, সেভাবে থাকুক৷ রায় প্রকাশ হলে আপনারা নিয়মিত আপিল দায়ের করেন৷ আমরা শুনবো৷

রিটকারীদের পক্ষে এডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, আমাদের সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী দেশে না থাকায় আমরা শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেছিলাম৷ কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানির জন্য তাড়া দিচ্ছিলেন৷ তিনি বলছিলেন-এটা নিষ্পত্তি না হলে নিয়োগ আটকে যাচ্ছে৷

আদালত তখন জানতে চান, এত আন্দোলন কিসের, রাস্তায় কী শুরু হয়েছে? আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন রাষ্ট্রপক্ষে বলেন- না না৷ এটা আমাদের কিছু নয়৷

আন্দোলন ছড়িয়েছে বিভিন্ন জেলায় কোটাবিরোধী এই আন্দোলন এখন ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ার খবর প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো৷ বৃহস্পতিবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা৷ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান৷ আন্দোলনের নেমেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরাও৷ বৃহস্পতিবার তারা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন৷

এর আগে ২০১৮ সালে আন্দোলনের মুখে সরকার কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে৷ পরিপত্র জারি করে সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কর্পোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কোটা বাতিল করা হয়৷ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে৷ সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম গ্রেড (আগের ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেড (আগের ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে৷

নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, উপজাতি পাঁচ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের এক শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়৷

এই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ বাতিল চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাত জন ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন৷ গত ৫ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট৷ রায়ে সরকারের পরিপত্র বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখার আদেশ দেয়া হয়৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ৪ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দেয় চেম্বার জজ আদালত৷

কোটার বিরুদ্ধে যুক্তি কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের একজন আসিফ মাহমুদ বলেন, হাইকোর্ট জনগণের দাবি ও প্রত্যাশার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে৷ আমরা শুরুতেই বলেছি এই রায় আমরা মানি না৷ আর আপিল বিভাগ শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে৷...আমরা মনে করি আমরা রাজপথে থেকেই কোটার একটা সমাধান নিয়ে ফিরব৷

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো কোটা থাকার এখন আর কেনো যুক্তি নাই৷ কারণ এখন যারা এই সুবিধা পাচ্ছেন তারা তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের৷ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের এখন আর এই সুবিধা নেয়ার বয়স নাই৷ তাদের নাতি-পুতিরা পাচ্ছেন৷ এটা হতে পারে না৷ মুক্তিযুদ্ধে তাদের যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ওই কোটা ছিলো৷ এখন তো আর দরকার নেই৷

আসিফ মাহমুদ জানান, শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি নয়, অন্য গ্রেডের চাকরিতেও তারা কোটার অবসান চান৷ এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ ভাগ কোট রাখার পক্ষে তারা৷

কোটার পক্ষে যে যুক্তি মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, আমরা আদালতের কাছে রিট করেছিলাম ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে৷ আদালত মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ ভাগ কোটা বহাল করেছে৷ আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি৷ আশা করি আপিল বিভাগেও আমরা ন্যায়বিচার পাবো৷ বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে কোটাবিরোধীদের পূর্ণাঙ্গ আপিল করতে বলেছেন৷ তাই আমরা দাবি করছি সরকার ২০১৮ সালের পরিপত্র যেন হাইকোর্টের রায় মেনে অবিলম্বে বাতিল করে৷

তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ ভাগ কোটা ছাড়া অন্য কোটার জন্য তারা রিট করেননি৷ ফলে আদালতের রায় অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া আর কোনো কোটা নেই৷ যারা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে তারা এখন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলেরই দাবি করছে৷ তারা আদালতের রায়ও মানতে চান না দাবি করে তিনি বলেন, এর পেছনে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আছে৷ তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে মাঠে নামাচ্ছে৷ তারা ২০১৮ সালের আগেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলেরই আন্দোলন করেছিলো৷ তাদের সব আপত্তি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে৷

আইজিপি পদে আরো এক বছর থাকছেন আবদুল্লাহ আল মামুন

পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক শাখার উপ-সচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তার চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে তার পূর্বের চুক্তির ধারাবাহিকতায় ও অনুরূপ শর্তে আগামী ১২ জুলাই ২০২৪ অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ১ বছর মেয়াদে বাংলাদেশ পুলিশ-এর পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

এর আগে গত বছরের ৯ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে প্রথম দফায় আইজিপি হিসেবে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়াদ দেড় বছর বাড়িয়েছিল সরকার।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বিসিএস ৮ম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে যোগ দেন। গত বছরের মে মাসে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন।

কর্মজীবনে আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করার মাধ্যমে তিনি বিশ্ব শান্তিরক্ষার জন্য উজ্জ্বল অবদান রেখেছেন।

তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর সার্কেল এএসপি, সিরাজগঞ্জের রাইগনজ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের অতিরিক্ত এসপি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিএমপি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এএসপি, এডিসি (ডিএমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া নীলফামারী জেলার সুপারিনটেনডেন্ট পুলিশ (ডিপি), ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (ডিসি), এআইজি (এস্টাবলিশমেন্ট) এবং ঢাকা সদর দপ্তরের এআইজি (গোপনীয়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও ডিআইজি হন।

অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন।

বেঁচে থাকতেই ৫০০ মানুষকে নিজের 'চল্লিশা' খাওয়ালেন মারফত আলী

বেঁচে থাকতেই ৫০০ মানুষকে নিজের 'চল্লিশা' খাওয়ালেন মারফত আলী। ছবি: সংগৃহীত

সাধারণ মানুষ মারা যাবার পর তার পরিবারের স্বজনরা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও চল্লিশার আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এই প্রচলিত প্রথার ব্যতিক্রম ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে।

এই গ্রামের কৃষক মারফত আলী (৭০) মৃত্যুর আগেই ৫ শতাধিক লোকের আয়োজনে নিজের চল্লিশা করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মারফত আলী। ছবি: সংগৃহীত

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে রাজেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা মারফত আলী নিজ বাড়িতে এই মেজবানির আয়োজন করেন। এতে এক লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু এবং ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি খাসি জবাই করে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।

বড়হিত ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুস সালাম জানান, এলাকায় বিত্তশালী কৃষক মারফত আলী দুই বিয়ে করেছেন। তার দুই সংসারে রয়েছে ৩ মেয়ে ও ৬ ছেলে। ইতোমধ্যে তিনি মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা কেউ বিয়ে করে হয়েছেন আলাদা আবার কেউ করছেন লেখাপড়া। এখন মারফত আলী নিজের জমিজমা সন্তানদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে দেওয়ার চিন্তা করছেন। এর মধ্যে তার মাথায় আসে তিনি মারা গেলে সন্তানরা যদি মেজবানি না করেন, তাই তিনি নিজের মেজবানি জীবিত অবস্থায় করেছেন। এজন্য তিনি বাড়ির ভেতরে ডেকোরেটর দিয়ে সামিয়ানা টানিয়ে পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষকে দাওয়াত খাইয়েছেন।

মারফত আলী বলেন, এখন যুগ পাল্টে গেছে। মারা যাওয়ার পর কেউ মনে রাখে না। ইদানিং শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছি। নামাজ ছাড়া এখন তেমন কোনো কাজকর্ম করি না। তাই মরার আগে নিজের চল্লিশা (মেজবানি) নিজেই করেছি।

দাওয়াত খেতে আসা আব্দুল কদ্দুস বলেন, জীবিত ব্যক্তি নিজের চল্লিশার আয়োজন করেছেন, এটা আগে আমি কোথায় দেখিনি। তবে খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছি।

মারফত আলীর ছেলে মো. সুজন মিয়া বলেন, বাবার ইচ্ছা তিনি জীবিত অবস্থায় মেজবানি করবেন। তাই আমরাও সম্মতি দিয়ে এই মেজবানির আয়োজন করেছি। তবে বাবা না থাকলেও আমরা তার আত্মার শান্তির জন্য এটা করতাম।

মেয়ে রেনুয়ারা বলেন, বাবার ধারণা তিনি মারা গেলে যদি আমরা তার মেজবানি না করি। তাই তিনিই এই মেজবানির আয়োজন করেছেন। এতে আমাদের সবার সম্মতি ছিল।

সর্বশেষ সংবাদ

দাবি আদায়ে আন্দোলনে অনড় কোটাবিরোধীরা
আইজিপি পদে আরো এক বছর থাকছেন আবদুল্লাহ আল মামুন
বেঁচে থাকতেই ৫০০ মানুষকে নিজের 'চল্লিশা' খাওয়ালেন মারফত আলী
অপহরণ নাটক: সেই রহিমা-মরিয়মদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
সেন্টমার্টিনে মিয়ানমারের ২ সেনা ও ৩১ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে টানা পঞ্চম জয় পেলেন রুশনারা আলী
‘ক্যারিয়ার অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন শাহরুখ খান
ছাদখোলা বাসে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বর্ণাঢ্য বরণ, প্রচণ্ড ভিড়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা!
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ জয়
নাগরভিটা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
কবরস্থানে জায়গা না দেওয়ায় ঘরের বারান্দায় মায়ের দাফন
টানা চতুর্থবার জিতলেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক
টাইব্রেকারে ইকুয়েডরকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
দিনাজপুরে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৫
ইউরোপ যেতে নৌকা ডুবে প্রাণ হারালেন ৮৯ অভিবাসী
পরীক্ষার হলে ছাত্রের পকেটে মিলল গাঁজা, ৬ মাসের কারাদণ্ড
সৌদিতে নিহত নওগাঁর ৩ প্রবাসীর মরদেহ দ্রুত আনতে সরকারের সহযোগিতা চায় স্বজনেরা
গাইবান্ধা বন্যায় ৬৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ
বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ ফি একলাফে ২০ থেকে ১০০ টাকা
ব্যয় কমাতে সরকারের নতুন নির্দেশনা, কী করা যাবে-করা যাবে না