শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভারত ভ্রমণে শীর্ষ পর্যটকদের তালিকায় বাংলাদেশিদের আধিপত্য বছরের প্রথমার্ধে

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ভারতে ভ্রমণ করা পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন বাংলাদেশিরা। ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, এই ছয় মাসে মোট ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩৭৪ জন পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেন, যার মধ্যে ২১.৫৫ শতাংশ বাংলাদেশি। এই সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটকদের তুলনায় বেশি, যাদের হার ছিল ১৭.৫৬ শতাংশ।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট এর এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৩ সালের জুন মাসে ভারত ৭ লাখ ৬ হাজার ৪৫ জন পর্যটককে স্বাগত জানিয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, ২০১৯ সালের জুন মাসের তুলনায় এ হার ২.৮ শতাংশ কম ছিল। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পর্যটকের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু ২০১৯ সালের তুলনায় ৯.৮ শতাংশ কম।

পর্যটকদের মধ্যে শীর্ষ পাঁচ দেশ হল: বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, এবং অস্ট্রেলিয়া। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছিলেন। তবে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সেই স্থানটি দখল করেছে, যা দেশটির পর্যটন খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।

বাংলাদেশি পর্যটকরা ভারতে চিকিৎসা, শিক্ষা, এবং বাণিজ্যিক ভ্রমণের জন্যই সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করে থাকেন, যা ভারতীয় পর্যটন খাতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে ইঙ্গিত করে।

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ২১.৫৫ শতাংশ পর্যটক ছিলেন বাংলাদেশি। যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটকের সংখ্যা ছিল ১৭.৫৬ শতাংশ, যা দ্বিতীয় স্থানে ছিল। ২০১৯ সালের তুলনায় এই সময়কালে পর্যটক সংখ্যা সামান্য হ্রাস পেলেও, ২০২২ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশের পর্যটকরা ভারতের পর্যটন খাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে, যা দুই দেশের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করছে। তথ্যসূত্র: দ্য প্রিন্ট, ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়

Header Ad

২১ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে

ছবি: সংগৃহীত

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আগামী ২১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে। সেনানিবাসে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শহীদ জাহাঙ্গীর গেট থেকে স্টাফ রোড পর্যন্ত প্রধান সড়কে যানজট এড়াতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

--- সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত
--- দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত

এই সময়গুলোতে সেনানিবাসে অবস্থানকারী ব্যক্তি এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের যানবাহন ছাড়া অন্য সব যানবাহন চলাচল পরিহার করতে অনুরোধ করেছে আইএসপিআর।

সেনানিবাস এলাকায় যানজটমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং নিরাপত্তাজনিত কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

আইএসপিআর সেনানিবাসের আশপাশের এলাকায় যাতায়াতের বিকল্প পথ ব্যবহার করতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছে। অনুষ্ঠানের সফল বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেছে সংস্থাটি।

Header Ad

সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা জনগণ মেনে নেবে না: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মন্তব্য করেছেন, সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা স্পষ্ট হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিলে ভার্চ্যুয়াল বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, "বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিধ্বস্ত অবস্থায় দায়িত্ব নিয়েছে। গত ১৫ বছরের জঞ্জাল তিন মাসে দূর করা সম্ভব নয়। তবে সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা সামনে এলে জনগণ তা মেনে নেবে না।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "পতিত স্বৈরাচারের দোসররা সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র করছে। তবে জনগণের সঙ্গে সরকারের সুসম্পর্ক থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।"

ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, "জনগণের রায় ছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনার বৈধতা নেই। জনগণ আশা করে তারা নির্ভয়ে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে। সরকারের উচিত জনগণের ওপর আস্থা রাখা।"

টেক্সটাইল খাতের দুর্নীতি ও সমস্যার দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, "টাকা পাচার এবং দুর্নীতির কারণে এই খাত আজ বিপর্যস্ত। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে ১০০% রপ্তানিযোগ্য পণ্যের ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি ব্যবস্থা করবে।"

তারেক রহমান মন্তব্য করেন, "রাজনীতি রুগ্ন হলে অর্থনীতিও রুগ্ন হয়। গত ১৫ বছরে মাফিয়া সরকার দেশকে ঋণনির্ভর করে ফেলেছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে হবে।"

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "আহতদের চিকিৎসা অগ্রাধিকার তালিকায় নেই, যা লজ্জার। বাজার সিন্ডিকেট ও পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতাও জনগণের জন্য অগ্রহণযোগ্য।"

তারেক রহমান বলেন, "বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তোলা বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য। আমাদের ৩১ দফা পরিকল্পনা ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে। জনগণের জীবনমান উন্নয়নই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।"

এ সময় তিনি দেশের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন এবং বিএনপির সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন।

Header Ad

ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করলে ধরা পড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করলে তা ধরা পড়বে এবং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে আয়োজিত ‘পলিসি ডায়ালগ অন ফিন্যানসিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেমিনারে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "অর্থনৈতিক খাতে যেভাবে লুটপাট হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে কাজ চলছে। এখন কেবল উন্নয়ন দেখানোর প্রবণতা থেকে সরে এসে উন্নয়নের কৌশল পরিবর্তন করা জরুরি।"

রাজস্ব খাতে নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে আলাদা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মুখে রয়েছে। অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ফিজিবিলিটি টেস্ট করা হয়নি। এই অবস্থার পরিবর্তনে মাল্টিলেটারাল ও বাইলেটারাল সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে। তবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে না পারলে বিদেশি সহযোগিতাও কমে যাবে।"

টাকা পাচার রোধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, "পাচার হওয়া টাকা ফেরানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রাইভেট বা পাবলিক সেক্টর থেকে কেউ টাকা পাচার করলে তাকে ধরা হবে। অর্থনৈতিক খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ কার্যকর হবে।"

সেমিনারে আরও উল্লেখ করা হয় যে, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রচলিত ধারণায় পরিবর্তন আনার সময় এসেছে। অর্থ উপদেষ্টা জানান, প্রকল্পের কার্যকারিতা নিশ্চিত না করে প্রকল্প গ্রহণের যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।

এই সেমিনারে অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারের আলোচনায় বাংলাদেশে আর্থিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা ও করণীয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা উঠে আসে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২১ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে
সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা জনগণ মেনে নেবে না: তারেক রহমান
ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করলে ধরা পড়বে: অর্থ উপদেষ্টা
এখনই সন্তান নিতে চাননি কাঞ্চন, শোনেননি শ্রীময়ী
যত দ্রুত নির্বাচন, ততই জনগণের কল্যাণ: মির্জা ফখরুল
টিকটকার মুন্নি হত্যা: গণধর্ষণের পর হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২
আফ্রিদির বিয়ের পর দীঘি বললেন ‘আল্লাহ বাঁচিয়েছে’
জানা গেল পুরুষদের নিঃসন্তান থাকার পেছনে আসল কারণ
যেভাবে শাহরুখের দেখা পেলেন বাংলাদেশি ভক্ত
ইউটিউবারের কাছে হারলেন বক্সিং কিংবদন্তি মাইক টাইসন
উত্তরাঞ্চল থেকে উপদেষ্টা নিয়োগে আলোচনা হয়নি : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
নবান্ন উৎসবে মুখরিত চারুকলা
পল্লবীতে ২ ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, ১৫ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা
পরিচালকের নেশা মিশ্রিত চকোলেট খেয়ে বিপাকে অভিনেত্রী
ডেনমার্ককে খাদের কিনারায় রেখে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন
হোয়াইট হাউসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হচ্ছেন ক্যারোলিন লেভিট
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র সংস্কারই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধান উপদেষ্টা
সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম মারা গেছেন
আসছে আদর-বুবলীর ‘পিনিক’