৫ বছর পর আবারও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাইল্যান্ডের সেই গুহা
ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমার সীমান্তের কাছে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ থাম লুয়াং গুহা থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহা। দেশটির চিয়াং রাই প্রদেশের ‘থাম লুয়াং’ গুহাটিতে ২০১৮ সালের ২৩ জুন ১২ জন কিশোর এবং তাদের ফুটবল কোচ আটকা পড়েছিল। পরে তাদের শ্বাসরুদ্ধকর উদ্ধারের পর গুহাটি বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পায়। ওই ঘটনার পর গুহাটি পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এবার সেই গুহাটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে শুধু সীমিত সংখ্যক পর্যটক গাইডের সাহায্যে গুহার ২ এবং ৩ নম্বর কোন পরিদর্শন করতে পারবে। গুহাটি খুন নাম নাং নন ন্যাশনাল পার্কের একটি অংশ। গুহায় প্রবেশের জন্য রেজিস্ট্রেশন ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুর হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে তিনদিন মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার এবং দিনে দু’বার সকালে ও বিকেলে প্রবেশ করতে পারবে পর্যটকরা। তারা গুহার ৭০০ মিটার গভীরে দুই থেকে চার ঘণ্টার জন্য যেতে পারবে। সেখানে পর্যটকরা স্ট্যালাকটাইট, পাথর এবং গর্ত দেখতে পাবে। যার কারণে সেই ফুটবল দলটিকে উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছিল।
গুহায় প্রবেশ করতে থাই পর্যটকদের জনপ্রতি ৯৫০ বাথ এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য জনপ্রতি এক হাজার ৫০০ বাথ পরিশোধ করতে হবে। তবে সরঞ্জাম এবং দুর্ঘটনা বীমার জন্য ফি অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। পর্যটকদের অবশ্যই তাদের ভ্রমণের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে নিবন্ধন করতে হবে। আবহাওয়ার অবস্থা দেখে সাত দিনের মধ্যে আবেদনকারীদের জানানো হবে তারা যেতে পারবে কিনা। পর্যটকদের পার্কে আসার সময় তাদের পরিচয়পত্র এবং রেজিস্ট্রেশনের কাগজ দেখাতে হবে। যারা আগে থেকে নিবন্ধন করেননি তারা গুহার ২ ও ৩ নম্বর কোনে প্রবেশ করতে পারবে না।
২০১৮ সালে গুহায় আটকা পড়া খুদে ফুটবলারদের বয়স ছিল ১১ থেকে ১৬ বছর। কোচ এক্কাপোল জানথাওংয়ের বয়স ছিল ২৫ বছর। নয় দিন সেখানে আটকে থাকার পর ২ জুলাই ব্রিটিশ ডুবুরি রিচার্ড স্ট্যানটন ও জন ভলানথেন তাদের সন্ধান পান। ফুটবল দলটি প্রবেশের কিছুক্ষণ পরেই ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয় এবং গুহা আংশিকভাবে প্লাবিত হয়। ফলে তাদের বেরোনোর পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং গুহার গভীরে আটকা পড়ে। তিনদিন ধরে শিশুদের উদ্ধার করেন ৯০ জন ডুবুরি। প্রথম দিন চারজন, পরদিন চারজন এবং শেষ দিন চার ফুটবলার ও তাদের কোচকে গুহা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। গুহার ভিতরে বন্যার পানি কমতে শুরু করলে আস্তে আস্তে সবাইকে বের করে আনা হয়। তাদের শ্বাসরুদ্ধকর উদ্ধারের পর গুহাটি বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পায়। সূত্র : দ্য স্ট্রেইট টাইমস