বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশ্ব পর্যটক কাজী আসমা আজমেরী এখন মরিশাসে

১৩০ দেশ ভ্রমণ শেষ করে বিশ্ব পর্যটক কাজী আসমা আজমেরী ১৩১তম দেশে পা রাখলেন। তিনি এখন মরিশাসে। গত ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পাসপোর্টে মরিশাস ১৩১তম দেশ হিসেবে আরও একটি স্বর্ণ উজ্জ্বল ভিসা লাগালেন তিনি। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের খুলনা শহর থেকে আবারও বিশ্ব ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কাজী আসমা আজমেরী। খুলনা ট্রেন স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। কলকাতায় নিজের কিছু কাজ করে ১০ সেপ্টেম্বর মুম্বাই হয়ে এয়ার মরিশাসে মরিশাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।

এর মাঝে ৯ সেপ্টেম্বর সকালে কলকাতা থেকে আফ্রিকার জন্যে তৃতীয়বারের মতো yellow fever Vaccine সংগ্রহ করে নেন তিনি। এর আগে সাউথ আফ্রিকার ডাকাতের কবলে পড়ে সবকিছু খুইয়েছিলেন তিনি। এর মাঝে এই ভ্যাকসিনও ছিল। কলকাতায় অনলাইন সুবিধা না থাকায় ভ্যাকসিন সংগ্রহে অনেকটাই ভোগান্তি পোহাতে হয় তাকে।

দেশের সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে মরিশাসে একাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রথম দুই দিন সেন্ট লুইস থাকলেও ১৩ লাখ মানুষের ছোট্ট এই দেশটিতে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন শহর ও গ্রামে। সেই সঙ্গে সেখানকার স্কুল কলেজে তার ভ্রমণের গল্প শোনাচ্ছেন এবং মোটিভেশন স্পিক দিচ্ছেন বিভিন্ন জায়গায়। সেখানকার ইউনিভার্সেল কলেজে প্রায় তিনটি সেশনে প্রায় ২৫০ জন ছেলেমেয়েদের সঙ্গে তার ভ্রমণের গল্প ও ছেলে মেয়েদেরকে স্বপ্নবাজ হয়ে তোলার জন্য উৎসাহিত করেছেন।

আজমেরীকে মরিশাসের কথা জিজ্ঞেস করলেই তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই মরিশাস আমার অনেক পছন্দের একটি দেশ ছিল। যেখানে আমার হানিমুনে যাওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে একাই রওনা হয়েছি।

দেশটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ভারত থেকে এসে মনে হয়েছিল আমি আরেকটি ভারতের কমিউনিটিতে এসে পড়েছি, কিন্তু তারা অত্যন্ত আধুনিক চিন্তা চেতনার। অনেক উন্নত একটি দেশ। এই দেশে ফ্রান্স, ইংরেজি এবং হিন্দিসহ বিভিন্ন ভাষায় কথা বলা যায়।

মরিশাসে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মরত আছেন বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে। ভারতের মুম্বাই থেকে মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টার দূরত্বের এই দেশটি বাংলাদেশিদের জন্য তুলে আনতে পারে অনেক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। মরিশাস যদিও ট্যুরিজম নির্ভর একটি দেশ কিন্তু কোভিডের কারণে এখানকার ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি বেশ একটি ধাক্কা খেয়েছে। মরিশাস ট্যুরিজম আবারও উঠে আসবে ইউরোপ-আমেরিকার চমৎকার ডেস্টিনেশন হিসেবে।

এখানে ৬০ শতাংশ হিন্দু সম্প্রদায়, ২০ শতাংশ মুসলিম ও ২০ শতাংশ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করে। ব্রিটিশ সময়ে আখ চাষের উদ্দেশ্যে ভারত থেকে জাহাজে করে ভারতীয়দেরকে নিয়ে আসা হয়। তখন থেকেই ভারতীয়দের আধিপত্য রয়েছে এখানে। হয়তোবা তাই অনেক বাংলাদেশি টুরিস্টদের কাছেই মরিশাসকে ভারত ভারত লাগতে পারে। পোর্ট লুইস (Port Louis) শহর থেকে অনেকটা দূরে এয়ারপোর্ট হলেও এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ চমৎকার। এখানে রয়েছে বাস ও ট্যাক্সি সেবা। পোর্ট লুইস (Port Louis) রয়েছে মোটামুটি আধুনিকতার ছোঁয়া। ব্যাংক, অফিস-আদালত সবকিছুই রয়েছে এখানে।

এবার জানা যাক কীভাবে মরিশাসের ভিসা পাওয়া যায় বাংলাদেশি পাসপোর্টে?
মরিশাসের ভিসা নিতে হলে দিল্লি থেকে এপ্লাই করতে হয় যা মোটামুটি এক সপ্তাহ থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। ১০ ডলার থেকে ৩০ ডলার ভিসা ফি। দিল্লিতে দেওয়া হয় স্টিকার ভিসা। খুব সহজেই ফরম ফিলাপ করে তার সাথে কাগজপত্র জমা দিয়ে দিল্লি থেকেই ভিসা করা যায়। বেশ কিছু ট্রাভেল এজেন্সি মরিশাসের ভিসা করে থাকে। আমার জানা মতে, বনানীর এয়ার কনফিডেন্স তার মধ্যে অন্যতম। যদিও সাত থেকে দশ হাজার টাকা তারা ফি নেয়। তাতে দিল্লি আসার ঝামেলা থাকে না।

তবে আমি সাউথ আফ্রিকার প্রিটোরিয়া থেকে আমার ভিসাটা নিয়েছিলাম। আমার তিন সপ্তাহ সময় লেগেছিল। মাত্র ১০ ডলার খরচ হয়েছিল। তবে মাঝে মাঝে দেশভিত্তিক ভিসা ফি পরিবর্তন হয়ে থাকে। এই ভিসাটা ছিল সম্পূর্ণ পেপার ভিসা, যা মরিসাস মিনিস্ট্রি অব ডিপার্টমেন্ট এপ্রুভাল ছিল।

মরিশাস কেন মানুষের স্বপ্নের জায়গা হতে পারে?
আজমেরী বলেন, নীল সমুদ্র মরিশাসকে ঘিরে তুলেছে অনন্য করে। ওয়েলকাম থেকে শুরু করে বেশ কিছু রোমান্টিক হিন্দি মুভির শুটিং হয়েছে এই মরিশাসে।

মরিশাসের হোটেলে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা এবং দাম?
তিনি বলেন, নীল সমুদ্রের সঙ্গে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু রিসোর্ট। এর মধ্যে ইন্ডিয়ান রিসোর্টটি বেশ উল্লেখযোগ্য। র‍্যাডিসন ব্লু, জে ডাব্লু ম্যারিয়ট থেকে শুরু করে সস্তায় ও অনেক অ্যাপার্টমেন্ট এবং ভিলা ভাড়ায় নিয়ে নেওয়া যায়। বাংলাদেশি টাকায় ২২০০ থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে। মোটামুটি একটি এক রুমের সুন্দর ফ্ল্যাট কিংবা রুম ভাড়া করতে ২২০০ টাকা লাগে। যা প্রতিদিনের ভাড়া হিসেবে ধরা হবে। আর ফাইভ স্টার রিসোর্টগুলোতে মোটামুটি ১২০ ডলারে অনেক ভালো রুম পাওয়া যায়, যা কিনা সমুদ্রের তীর ঘেঁষা। 

খাওয়া-দাওয়া মরিশাসে?
আজমেরী বলেন, হানিমুনে গিয়ে যারা থাইল্যান্ডে হালাল খাবারের জন্য কষ্ট করেছেন তাদের জন্য মরিশাস চমৎকার একটি জায়গা হতে পারে। ২০ শতাংশ মুসলিম থাকায় হালাল খাবারের অভাব হয় না এখানে। চমৎকার ইন্ডিয়ান কারি এবং সকালে রুটি, পুরি, ভাজি অতুলনীয়‌। তার সাথেই রয়েছে ফ্রান্স কিচেনের আধিপত্য।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে চমৎকার খাবার পাওয়া যায় পোর্ট লুইসের ফ্রি মার্কেটে। বাংলাদেশি টাকায় ১৫০-৩০০ টাকার মধ্যে চমৎকার লাঞ্চ করা যায়। রেস্টুরেন্টে গেলে কিছুটা বেশি টাকা গুনতে হবে। তবে সাধ্যের মধ্যেই আছে অনেকটা ঢাকার মতন। ৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে খুব চমৎকারভাবে এই খাওয়া-দাওয়া করা যায় ভালো ভালো রেস্টুরেন্টগুলোতে। খাবারের মধ্যে চমৎকার এখানকার বিরিয়ানি, চিকেন কারি ও ভুনা।

কোন জায়গাগুলোতে বেড়াতে যাবেন মরিশাসের?
আজমেরী বলেন, সুন্দর নীল সমুদ্রে ঘেরা grand bay, Belle Mare Plage এ ঘুরতে মজাই অন্যরকম। Snokling ও scuba ড্রাইভিং পছন্দ করেন তাদের জন্য তো অনেক মজার।

তিনি আরও বলেন, Black River Gorges National Park, La Cambuse এখানকার নীল বিচ দেখার মজাই আলাদা। Tamarind Waterfalls, পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র এখানেই রয়েছে সুগার মিউজিয়াম যা সত্যি দেখার মতো। পট লুইসের ফ্রি মার্কেট খুবই চমৎকার দেখার জন্য। Chamarel রংয়ের ছোঁয়া দেখা যায়। তবে তা অনেকটাই নির্ভর করে আকাশ কতটা পরিস্কার রয়েছে।

কখন আসবেন?
এ বিষয়ে তিনি বলেন, এপ্রিল-মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যেকোনো সময় আসা যায়। আবহাওয়া অনেক ভালো থাকে।

চলাচলের জন্য যানবাহন?
শেষে তিনি বলেন, পাবলিক বাস রয়েছে, রয়েছে বিভিন্ন ট্যাক্সি।

এএজেড

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া