ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটকের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ১ হাজার ৬৯৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব তথ্য জানান।
সরকারি দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির বিষয়টির সত্যতা রয়েছে। ভারতের সঙ্গে আইপি ট্রানজিট লিজ প্রদান সংক্রান্ত একটি চুক্তি ২০১৫ সালের ৬ জুন স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী দেশটির পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোর জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ বাংলাদেশ থেকে লিজ দেওয়া হয়। বিএসসিসিএল বর্তমানে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি বিএসএনএলকে ত্রিপুরায় ২০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার জানান, টেলিটকের কাছে সরকারের পাওনা ১ হাজার ৬৯৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা ৩জি স্পেকট্রাম এসাইনমেন্ট ফি বাবদ। স্পেকট্রাম চার্জ বাবদ ২৭ কোটি ১৫ লাখ, রেভিনিউ শেয়ার বাবদ ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ ও এসওএফ বাবদ ৪৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, গ্রামীণফোনের কাছে ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৫ টাকা ও রবি আজিয়াটার কাছে ৭২৯ কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। ২০২১ সালের নিলামে বরাদ্দকৃত তরঙ্গের দ্বিতীয় কিস্তি এবং ২০২২ সালের তরঙ্গ নিলামের ডাউন পেমেন্ট বাবদ বাংলালিংকের ২৭৩ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ২৯২ টাকা পাওনা আছে। সিটিসেলের কাছে পাওনা রয়েছে ১২৮ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৩ টাকা।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন বিটিআরসি গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইস্যুকৃত বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা কলসেন্টার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটধারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৭৯টি। এ ছাড়া অপারেশনাল কলসেন্টারের সংখ্যা ৬৮টি। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক কলসেন্টার ৪৫টি ও অভ্যন্তরীণ কলসেন্টারের সংখ্যা ২৩টি।
তিনি আরও জানান, ডাক অধিদপ্তরের প্রচলিত অর্থে কোনো কলসেন্টার নেই। দেশের ডাকঘরগুলোকে কলসেন্টারে রূপান্তরের পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। সব ডাকঘরে এ ধরনের কলসেন্টার তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন। ডাক বিভাগের প্রতিটি ইউনিটের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার নাম ও টেলিফোন নম্বর ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে।
এনএইচবি/এসজি