দেশে ১৪ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন: তথ্যমন্ত্রী
দেশে ২০০৯ সালে মাত্র ৫০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করত; এখন ১৪ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের সেবা পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প দিয়েছিলাম। তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ কী-এটা অনেকেই বুঝতে পারেনি। সে সময় বিষয়টি স্বপ্নের মতো মনে হয়েছিল। যা এখন বাস্তব হয়ে আমাদের সামনে এসেছে। ২০০৯ সালে মাত্র ৫০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করত, এখন দেশে ১৪ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের সেবা পাচ্ছে।’
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ পূর্তি ও জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ঢাবিতে দু’দিনব্যাপী কোড সামুরাই-আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন শীর্ষক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, খাদ্য উৎপাদন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও প্রযুক্তিখাতসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের এই অগ্রযাত্রায় জাপান এদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ উল্লেখ করে, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধাসমূহ কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত ও মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের কাজ করে যেতে হবে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হ্যাকাথনের মতো প্রতিযোগিতা আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। যা সর্বোপরি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ আয়োজনে জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোড সামুরাই কমিটির সদস্য ইয়াসুহিরো আকাশি, বেসিস-এর সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, মারুবেনি করপোরেশন বাংলাদেশ-এর ম্যানেজার হিকারি কাওয়াই, আইটি কোম্পানি অনপ্রুফ লিমিটেডের সিইও মিস ইজুমি হিরাইয়ামা, আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এমএমএ/