সম্পদ দান করে দেবেন আমাজনের জেফ বোজেস
আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বোজেস বলেছেন, তিনি তার জীবদ্দশায় নিজের বেশিরভাগ সম্পদ মানব সেবায় বিলিয়ে দেবার পরিকল্পনাগুলো করছেন।
সিএনএনকে দেওয়া একটি আলাপে তিনি জানিয়েছেন। তাদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি উত্তর দিয়েছেন, ‘হ্যাঁ’। এই প্রথম ৫৮ বছরের মাল্টি-বিলিয়নিয়ার জনসমক্ষে এমন একটি অঙ্গীকার করলেন।
জেফ বোজেস কোনোদিনও ‘গিভিং প্লেজ’ বা ‘প্রতিশ্রুতি প্রদান’র কার্যক্রমে স্বাক্ষর করেননি। এই উদ্যোগটি ২০১০ সালে মাকিন বিলিয়নিয়ার ওয়ারেন বাফেট ও বিল গেটস শুরু করেছেন।
তাদের গিভিং প্লেজ কার্যক্রমের অন্যতম লক্ষ্য হলো, বিলিয়নিয়ারদের তাদের সম্পদের অর্ধেকের বেশি মানবসেবায় দিতে উৎসাহিত করা।
ব্লুমবার্গের হিসেবে, জেফ বোজেসের সম্পদের মূল্য এখন ১২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফলে তিনি বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি। একবার সম্পদের মূল্যে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী হয়েছেন।
তার সম্পদ তার প্রতিষ্ঠান আমাজনের সঙ্গে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত বলে গেল বছর স্টক মার্কেটে মূল্য কমে যাওয়ায় নিজের অবস্থানটি হারিয়েছেন।
এ ছাড়া, তিনি দি ওয়াশিংটন পোস্ট খবরের কাগজের মালিক। দি ব্লু অরিজিন স্পেস কম্পানি নামের মহাকাশ সংস্থার মালিক। তার আছে দি বোজেস আর্থ ফাউন্ডেশন। সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে শুরু করেছেন।
বিশ্বখ্যাত এই উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী চান যে, তার দান যতটা কার্যকরভাবে সম্ভব ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সেই সুযোগগুলো তৈরি করছি।’ এই সময় তার সঙ্গে জীবনসঙ্গী লরেন সানচেস ছিলেন।
তারা দুজনে মার্কিন কান্ট্রি মিউজিশিয়ান ডলি পার্টেনকে ১শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তাদের ‘চ্যারিটি প্রাইজ’ বা দাতব্য পুরস্কার হিসেবে সম্প্রতি প্রদান করেছেন। তাকে তার দাবত্য সেবার জন্য তারা পুরস্কৃত করেছেন।
তাদের পুরস্কার অনুসারে, তিনি তার টাকাগুলো ইচ্ছে হলে কোনো সংস্থাকে প্রদান করতে পারেন।
নিজের ‘দ্য ডলিউড ফাউন্ডেশন’র মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতির মধ্যে থাকা উত্তরাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেন ডলি পার্টেন।
ওএফএস/