ভিসার ‘স্টার্ট-আপ’ শুরু হয়েছে
‘ভিসা-ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিসেস প্রোভাইডার’ ঘোষণা করেছে, আবার একটি উন্মুক্ত স্টার্ট-আপ করছেন তারা ভারত জুড়ে। গতকাল শুক্রবার ৪ নভেম্বর ২০২২ থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু করেছেন তারা। আবেদন করতে হবে ‘দি ভিসা এক্সিলারেটর প্রগ্রাম ২০২৩’র মাধ্যমে। এই বিপুল ও বিরাট কর্মযজ্ঞে আবেদনের মেয়াদ শেষ হবে ১০ জানুয়ারি, ২০২৩ সালে।
ভিসার এক্সিলারেটর প্রগ্রামের টানা তৃতীয় আসর বসছে।
দি ভিসা এক্সিলারেটর প্রগ্রামের মাধ্যমে নিবাচিত করা হয়, ছোট ছোট স্টার্ট-আপগুলোকে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও।
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কেবল উদ্যোক্তাদের বিকশিত করা হয় না, অনলাইন কার্ড পেমেন্ট শিল্পখাতের সবচেয়ে জটিল সমস্যাগুলোর অনেকগুলোতেই সমাধান করা হয় এবং ভবিষ্যতের নতুন কার্যধারাও লাভ করা সম্ভব হয়।
ভিসা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের তাদের এক্সিলারেটর প্রগ্রামটির মাধ্যমে ওয়েব ৩.০ (ওয়েব ৩ নামেও পরিচিত-এটি একটি ধারণা যেটি নতুনভাবে ওয়াল্র্ড ওয়াইড ওয়েবের সঙ্গে সংযুক্ত হয়, এই ধারণাটি বিকেন্দ্রীকরণ, ব্লক চেইন টেকনোলজিস ও টোকেননির্ভর প্রযুক্তিগুলোর ক্ষেত্রে কাজ করে), বৈশ্বিক মানি মুভমেন্ট, দৃঢ়ভাবে যুক্ত অর্থনীতির কাঠামোগত খাত, বণিক গোষ্ঠী ও ছোট ব্যবসায়গুলোকে সক্রিয় করা এবং উন্মুক্ত ব্যাংকিংগুলোর সমাধান প্রদান করা হবে।
ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় ভিসার প্রধান সন্দীপ ঘোষ বলেছেন, ‘ভারত থেকে স্টাট-আপগুলোর মাধ্যমে আমরা কিছু ব্যতিক্রমী আইডিয়া লাভ করেছি। সেগুলো আগের প্রতিযোগীদের দলগুলো প্রদান করেছে। পাশাপাশি তারা অনেকগুলো নব পণ্যধারাও উদ্ভাবন করেছেন। এবারও আমাদের আশাবাদ বিরাট যেহেতু আমরা স্টার্ট-আপগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, তৃতীয় প্রতিযোগিতার এই দলগুলোর মাধ্যমে আগের মতোই আমরা প্রকল্পটির একই ধরণের সু-গতিবেগ লাভ করব।’
দি ভিসা এক্সিলারেটর প্রগ্রামটি ২০১৯ সালে শুরু হয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং ভবিষ্যতমুখী স্টার্ট-আপ প্রতিযোগিতার অন্যতম হতে সমর্থ্য হয়েছে।
২০২২ সালের পাঁচটি স্টার্ট-আপ তাদের এই প্রতিযোগিতাতে সেরা হয়েছে। তাদের ধারণাগুলোকে প্রকল্পটিতে ভিসার পণ্য ও ব্যবসায় উন্নয়ন দলগুলোর সঙ্গে কাজের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে। তারা জীবন ও নতুন ব্যবসায়িক ধারণা পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
২০২১ ও ২০২২ সালের মোট নয়টি দল ভিসার সঙ্গে তাদের ক্রেতা ও অংশীদারদের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
অতিরিক্ত হিসেবে ভিসা ছয়টি অংশীদারীত্বে ভিসা যুক্ত হয়েছে এবং বাণিজ্যিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে বাছাই স্টার্ট-আপগুলোর সঙ্গে।
ভিসা এক্সিলারেটর প্রগ্রামের মাধ্যমে ভিসা বিপুল কার্ড এবং অনলাইনভিত্তিক পেমেন্ট শিল্পে যেন মূল্যবোধ তৈরি হয়, সেদিকেও জোর দিয়ে চলেছে।
ভারত থেকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ‘ডিজিট সিকিউর-ওমনি চ্যানেল টাচলেস পেমেন্টস প্ল্যাটফর্ম’ নামের একটি নতুন গেটওয়ে তৈরি হয়েছে। লিংকটি হলো-Digit Secure – Omni-Channel Touchless Payments Platform.
দ্বিতীয় প্রতিযোগিতা থেকে ‘পারফিওস’ নামের দ্বিতীয় গেটওয়ে তৈরি করেছে ভিসা। ‘পারফিওস : ফিনানাশিয়াল ডাটা অ্যানালাইসিস টুলস অ্যান্ড সফটওয়ার সলিউশন। লিংক হলো-Perfios: Financial Data Analysis Tools & Software Solution.
গেলবারের প্রতিযোগীদের মধ্যে বাংলাদেশের টালিখাতাও দারুণ বলে জানিয়েছে ভিসা। তারা বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ছোট, ছোট ব্যবসায়গুলোকে অর্থায়নের উদ্দেশ্য সাধনের শক্তি প্রদানের জন্য তাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কাজ করছেন। টালিখাতা অ্যাপের লিংকটি হলো-https://www.tallykhata.com.
ভিসার সঙ্গে সহযোগিতা ও নিজের উদ্যোগটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে ‘টালিখাতা’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত খান বলেছেন, ‘ভিসার সঙ্গে অংশীদারিত্ব ছিল খুবই প্রভাবশালী উদ্যোগ। একেবারে শুরুর শিডিউল কাঠামো থেকে সমাধান এবং ভোক্তাদের অংশগ্রহণ সবকিছুই অনন্য। আমরা অন্যদের মতো একটি প্রমাণিত ধারণা থেকে শুরু করেছিলাম। ভিসার প্রতিযোগিতায় জয়লাভের পর ছয় মাসের ব্যবসায়িকভাবে প্রমাণের সময় পেয়েছি। ভিসার নেতৃত্ব, তাদের পণ্য বিশেষজ্ঞদের সাহায্য, তাদের মাধ্যমে ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির শিক্ষা, পরে কাজে রূপান্তর এবং বাজারে প্রবেশ আমাদের অত্যন্ত শক্তিশালী বিশ্বাসযোগ্যতাও প্রদান করেছে।’