অ্যাপলের স্ট্রিমিং ও মিউজিক সার্ভিসের দাম বাড়লো
অ্যাপল সোমবার তার মিউজিক ও ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিসগুলোর দাম বাড়িয়েছে। ফলে স্ট্রিমিং প্রডাক্টগুলোর সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দাম বাড়ানোর সর্বশেষ নজির স্থাপিত হলো।
কোনো একক ব্যক্তির জন্য কোনো একটি অ্যাপল মিউজিক কেনার জন্য এখন ৯.৯৯ ডলার থেকে ১০.৯৯ ডলার দিতে হবে।
পাঁচজনের একটি পরিবারকে এই সেবা ব্যবহারের জন্য ১৪.৯৯ ডলার থেকে ১৬.৯৯ ডলার খরচ করতে হবে।
অ্যাপল টিভি+ প্রতি মাসে আগের ৪.৯৯ ডলার থেকে ৪০ শতাংশ দাম বাড়লো। ফলে মাসে গুনতে হবে ৬.৯৯ ডলার।
সিএনএন বিজনেসকে অ্যাপল ইনকরপোরেশন জানিয়েছে, ‘অ্যাপল মিজজিকের সেবাগুলোর দাম বাড়ার কারণ হলো, সেগুলোর দাম বাড়া। এর ফলে শিল্পী এবং গীতিকাররা তাদের গান ও সঙ্গীতের স্ট্রিমিং থেকে আরো বেশি আয় করতে পারবেন।’
এই কম্পানি আরো জানিয়েছে, ‘অ্যাপল+ খুব কম খরচে যাত্রা শুরু করার কারণ হলো, মাত্র কয়েকটি শো ও ছবি দিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম।’
সেই থেকে অ্যাপল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোতে তাদের সেবাগুলো বাড়িয়ে চলেছিল।
অ্যাপল এই বছর ‘কোডা’ ছবির জন্য অস্কারের বেস্ট পিকচার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে।
তবে নতুন দাম নির্ধারণে কতজন ক্রেতা তাদের স্ট্রিমিংয়ে সময় দেবেন সেই পরীক্ষাগুলো শুরু হতে পারে। আমেরিকানদের একটি বিপুল অংশকে এই দাম বাড়ানোতে যুক্ত হবার পরীক্ষায় ফেলছে অ্যাপল।
আগস্টে ডিজনি ঘোষণা করেছিল যে, তাদের প্রিমিয়াম সেবাগুলো ডিজনি+-এ প্রতি মাসে ৩ ডলার থেকে লাফিয়ে ১০.৯৯ ডলার হবে। প্রায় তিন বছর আগে এই সার্ভিসটি শুরু করার পর এই প্রথম ডিজনি দাম বাড়ালো। এই মাসের শুরু থেকে তাদের দাম বাড়ানো কার্যকর হয়েছে।
ডিজনির পর অ্যাপলের স্ট্রিমিংগুলোর দাম বাড়ানোর ফলে মার্কিন এবং পুরো বিশ্বের প্রযুক্তিগত খাত নাড়া খেয়ে গেল।
কম্পানিগুলো আয় বা মুনাফা বাড়ানোর নতুন পথগুলো খুঁজে নিচ্ছে এভাবে।
অ্যাপল নিজে স্ট্রিমিংখাতের প্রায় ১৮ শতাংশ দখল করে আছে। তারা এমন এক সময়ে তাদের এই সেবাখাতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে যখন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের আইফোনের বিক্রি কমে গিয়েছে।