অবশেষে সত্যিই টাইপ-সি আইফোন!
বিষয়টি অবাক করার মত কিংবা অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য। এ বিষয়ে অ্যাপল একপ্রকার সরাসরি ঘোষণাই দিল। নিজেদের একগুয়েমি ছেড়ে টাইপ-সি তে স্থানান্তর হচ্ছে আইফোন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাপলের বিপণন প্রধান গ্রেগ জোসওয়াক বলেছেন আইফোনের চিরাচরিত লাইটিং পোর্ট এর স্থলে টাইপ-সি পোর্ট স্থানান্তর করবে অ্যাপল। যদিও এই সিদ্ধান্তে তারা খুশি নন।
উক্ত সাক্ষাৎকারে অ্যাপলের সফটওয়্যার বিভাগের সহ-সভাপতি ক্রেগ ফেদেরিঘিও উপস্থিত ছিলেন তবে তারা কেউই ঠিক কবে থেকে এ পরিবর্তন ঘটবে সে বিষয়ে খোলাসা করে কিছু বলেননি।
বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া বা এই পরিবর্তনের সময় সম্পর্কে কিছু না বলার কৌশল হিসেবে অ্যাপল কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরোপীয়রা তাদের গ্রাহকদের জন্য সময় নির্ধারন করছে। তবে জোসওয়াক নিশ্চিত করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে নীতিমালা তার সঙ্গে অ্যাপল একাত্মতা ঘোষণা করেছে।
২৪ অক্টোবর ইইউ সদস্য দেশগুলির মন্ত্রীরা সাধারণ চার্জার আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন যার অর্থ হল ২০২৪ সালের মধ্যে মোবাইল ফোন এবং ট্যাবলেটসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোতে টাইপ-সি চার্জিং পোর্ট থাকতে হবে। ইইউ আইন প্রণেতাদের যুক্তি, এ নীতিমালা গ্রাহকদের অপচয় কমাবে, প্রতিবার একটি ডিভাইস কেনার সময় একটি নতুন চার্জার কিনতে হবে না। এর ফলে নতুন চার্জার উৎপাদন ও চার্জার বর্জ্য কম হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অপর এক গণমাধ্যম সিএনবিসি'ও সম্প্রতি তাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছিল আগামী ২০২৩ সালে যে আইফোনগুলো বাজারে আসবে সেগুলোতে টাইপ-সি পোর্ট ব্যবহার করা হবে এবং তা কেবল ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ গুলোর জন্যই নয় বরং সারা বিশ্বেই অ্যাপল তার এ পরিবর্তন পরিচয় করিয়ে দিবে।
এদিকে অ্যাপল এই পরিবর্তনের বিষয়ে খুব একটা কিছু না বললেও, তারা বেশ অসন্তুষ্ট সেটা বোঝা যাচ্ছে। এমন ধরণের আইনি চাপ তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। অ্যাপলের দাবি, চার্জার কেন্দ্রিক জটিলতা তারা অনেকটাই সমাধান করে এনেছিলো, কিন্তু ইইউ'র এমন সিদ্ধান্তে এখন বিশ্বব্যাপী অনেক ই-বর্জ্য তৈরি হবে।
এমন পাল্টাপাল্টি অবস্থানে অবশেষে হার স্বীকার করে নিল আইফোন। ধারণা করা হচ্ছে সম্প্রতি লঞ্চ হওয়া আইফোন ফোরটিন সিরিজের ফোনগুলোই লাইটিং পোর্টের শেষ ব্যবহার।