চুয়েটের শেখ রাসেল হলে তার কর্ণার চালু হলো
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ যথাযথ মর্যাদায় শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উদযাপিত হয়েছে।
তার জন্মদিনে ফুলের মালা উপহার দেওয়া হয়েছে।
চুয়েটে আছে ‘শেখ রাসেল হল’। সেখানে ‘শেখ রাসেল কর্ণার’ চালু করা হয়েছে।
সকালে কর্ণারের শুভ উদ্বোধন করেছেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, শেখ রাসেল হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রিয়াজ আকতার মল্লিকসহ অনুষদীয় সব ডিন ও হলটির আবাসিক শিক্ষকরা এবং ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
কর্ণারে শেখ রাসেলের জীবনী, পারিবারিক ছবি, তার বাবা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের উপর গ্রন্থাবলি, শেখ রাসেল সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর আবেগময় উক্তি ও শিক্ষার্থীদের জন্য পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
আজ ১৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার ২০২২ খ্রি. সকাল ১১.৩০ মিনিটে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল রুমে আলোচনা সভা করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
‘চুয়েট জাতীয় দিবস উদ্যাপন কমিটি’র সভাপতি ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম সভাপতি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ ডিন সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান।
আরও বক্তব্য রাখেন ‘চুয়েট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার কমিটি’ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, কর্মকর্তা সমিতির দপ্তর সম্পাদক মো. রুবেল মাহমুদ ও স্টাফ অ্যাসিয়েশন সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন।
আলোচনার শুরুতে ‘শেখ রাসেল দিবস’র প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) জনাব ফজলুর রহমান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ রাসেল ও ১৫ই আগস্টে শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চুয়েট জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ক্বারী নুরুল্লাহ।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “শেখ রাসেল নিষ্পাপ ও প্রাণচঞ্চল শিশুর প্রতিচ্ছবি। বর্তমানে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছি। শিশুরা যে পরিবেশে বেড়ে উঠছে, তাতে যেন ডিজিটাল প্রযুক্তি সহায়ক ভূমিকা রাখে। প্রযুক্তি তাদের প্রতিভা বিকাশের অন্তরায় যেন না হয়। শেখ রাসেল দিবসে আমরা এই প্রত্যাশা করি।”
চুয়েট ভিসি বলেন, ‘স্বাধীনতার ইতিহাসকে এদেশের কিছু প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। ঘাতকদের হাত থেকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিষ্পাপ শিশুটি পর্যন্ত রেহাই পায়নি। বঙ্গবন্ধু পরিবারের খুনী বাকি সদস্যদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বৃক্ষরোপণ করেছেন তারা।
লেখা ও ছবি : জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।
ওএফএস।