ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এলেন সিমেক ইনস্টিটিউটে
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ অনুমোদিত ‘সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি বাংলাদেশ (এসআইটিবি) বিশ্বমানের দক্ষতা ও সামাজিক শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নে কাজ করছে।
এসআইটিবিতে ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবদন্তী উপাচার্য অধ্যাপক ড. গঙ্গাপ্রসাদ প্রাসেন শিক্ষা ও গবেষণা চুক্তিতে সফর করেছেন।
তার প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডিন অধ্যাপক ড. শ্যামল দাস, অধ্যাপক ড. আশীষ নাথ, অধ্যাপক ড. সমীর কুমার শীল, অধ্যাপক ড. জয়ন্ত চৌধুরী।
সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি বাংলাদেশ (এসআইটিবি) ঢাকার উত্তরায়।
আলোচনাকালে অধ্যাপক ড. গঙ্গাপ্রসাদ প্রাসেন বলেছেন, ‘জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, শিক্ষা ও দক্ষতা এবং স্বাবলম্বীতা অর্জনে সাফল্য পেতে হলে টেকসই উন্নয়নের দিকে আরো মনোযোগ দিতে হবে।’
ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধান সরকারী ও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরো জানিয়েছেন ‘শিক্ষা ও গবেষণায় যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন সম্পর্ককে আরো ইতিবাচক পরিনতি দেয়া সম্ভব হবে।’
‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে উন্নয়ন, সংকট ও সম্ভাবনায় আমাদের অনেক মিল রয়েছে। দু’দেশের গবেষকেরা একসঙ্গে আরো কাজ করার সুযোগ লাভ করলে আঞ্চলিক উন্নয়নও জোরদার হবে।’
তারা সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি বাংলাদেশ (এসআইটিবি)’র ‘আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্র’ ভালোভাবে পরিদশন ও উন্নয়নের নানা পরামর্শ এবং ভবিষ্যত সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন। করণীয় জানিয়েছেন।
এসআইটিবি’র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম তাদের সঙ্গে আলোচনায় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এসআইটিবি ও বাংলাদেশের শিক্ষার উন্নয়নে দীপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে আহবান জানিয়েছেন।
সিমেক আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. সঞ্জীব রায় জানিয়েছেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা পূরণে একত্রে কাজের কোনো বিকল্প নেই। আঞ্চলিক সম্পর্ক ও যৌথ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দু’দেশের গবেষকেরা যাতে কাজ করতে পারেন, সেসব গবেষণা সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর আমরা জোর দিচ্ছি।’
এই সফরে আরো অংশ হয়েছেন-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিউল ইসলাম আফ্রাদ, ব্র্যাকের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাপস রঞ্জন চক্রবর্তী, সিমেকের শরীফুর রহমান, জামাল উদ্দিন আহমেদ ও শায়লা জাফরিন প্রমুখ।
ওএফএস।