কেবল দুজনের ফোন নিজেই ধরতেন রানি এলিজাবেথ
‘ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ ২’ মারা গিয়েছেন শান্তিতে স্কটল্যান্ডে। তিনি টানা ৭০ বছর রাজ্য শাসন করেছেন। চলে গিয়েছেন ৯৬ বছর বয়সে। তবে শেষবেলায় তিনি ভালো ছিলেন না। তার চিকিৎসা করা হচ্ছিল, জানিয়েছে রাজ পরিবার। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী কুইন কনসর্ট ক্যামিলা পার্কার রানির মৃত্যুস্থান বালমোরাল প্রাসাদে গিয়েছেন। এরপর তারা লন্ডনে ফিরেছেন। টুইটারে এই তথ্যগুলো রাজ পরিবার জানিয়েছে। এরপর রাণির মৃত্যুতে ব্রিটিশ ও সারা বিশ্বের মানুষের শোক প্রকাশ চলেছে।
তার জীবনের নানা দিক একে, একে প্রকাশিত হয়েছে। এক্সপ্রেস ইউকে জানিয়েছে, মোটে দুজন মানুষকে ফোন করার জন্য একটি গোপনীয় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন রানি এলিজাবেথ ২। মহামাণ্য রানির এই বিশেষ ফোনটি হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচার জন্য সুরক্ষিত। মোবাইলটি জোড়া লাগিয়েছে এমআই ১৬। সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস নামের গোয়েন্দা সংস্থাটি সাধারণভাবে ‘এমআই ১৬’ নামে পরিচিত। তাদের পুরো মানে হলো, ‘মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স, সেকশন ৬’। তারা ব্রিটেনের বৈদেশিক গোয়েন্দা বাহিনী। তারা রানির যে ফোনটি তৈরি করে দিয়েছেন-এই তথ্যটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি রাজ পরিবার বিশেষজ্ঞ জনাথন স্যাসিডোটির মারফত।
ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের ফোনগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য সবসময় কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলেন। তবে একমাত্র দুজন মানুষ যখনই ফোন করতেন, তাদের ফোনগুলোর উত্তর তিনি নিজেই দিতেন। তারা হলেন তার মেয়ে প্রিন্সেস অ্যান ও তার রেসিং ম্যানেজার জন ওয়ারেন। রাণির ঘোড়দৌড় প্রীতি ছিল। স্যাসিডোটি আরো বলেছেন, এই ওয়ারেন রানির একজন বন্ধুর নাতি। তার নানার নাম হলো ‘আর্ল অব কেনাভেন’। তিনি মারা গিয়েছেন। তার বাড়ি হলো ব্রেকশায়ারের ‘হাইক্লেয়ার ক্যাসেল’। এই জমিদার দুর্গটি টিভির দর্শকদের কাছে ‘ডাউন টাউন অ্যাবে’ নামে বিখ্যাত। ব্রিটেনের রানি ঘোড় দৌড়ের প্রতি ভালোবাসা ছিল। এই তথ্যটি সবার জানা।
জন ওয়ারেন কেবল রানি এলিজাবেথের ঘোড়াগুলোর দায়িত্বে ছিলেন না, তিনি সেগুলোর প্রশিক্ষণ প্রদানও করতেন। এই ঘোড়াগুলোর প্রজাতি উৎপন্নের দায়িত্বও ছিল তার ওপর। এলিজাবেথ মারা যাবার পর এই অজানা তথ্যগুলো আমাদের জানা হলো। আরো জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের রাজ পরিবারের কয়েকজন সদস্যের ফোন হ্যাক হয়েছিল। ২০০৫ সালে তার পুত্রবধূ কেট মিডলটনের ফোন ১৫৫ বার হ্যাক হয়েছে। ফলে রানি মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতেন।