নিউ জিল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটে হার বাংলাদেশের মেয়েদের
আসলে ৫০ ওভারের ম্যাচ; কিন্তু বৃষ্টির কারণে নেমে এসেছিল ২৭ ওভারে। অনেকটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের মেয়েরা করেছিল ৮ উইকেটে ১৪০। একেবারে মন্দ নয়। অন্তত জিততে না পারলেও লড়াই করার মতো; কিন্তু স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ডের মেয়েরা এই রানকে খুবই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে তুলে। ন্যূনতম কোনো রকমের লড়াই করারই সুযোগ দেয়নি। মাত্র ২০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে তারা লক্ষ্য পাড়ি দেয় ১৪৪ রান করে। আসরে নিউ জিল্যান্ডের এটি প্রথম জয়। প্রথম ম্যাচে তারা হেরেছিল উইন্ডির্জে কাছে ৩ রানে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় হার। প্রথম ম্যাচে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরেছিল ৩২ রানে।
নিউ জিল্যান্ডের ডানেডিনের ইউনির্ভাসিটি ওভাল মাঠে বৃষ্টির কারেণ যথাসময়ে শুরু হতে পারেনি খেলা। ৪ ঘন্টা পরে যখন খেলা শুরু হয় তখন ম্যাচের আয়ু নেমে আসে ২৭ ওভারে।এ রকম কন্ডিশনে টস জয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টস জেতা মানেই বোলারদের হাতে বল তুলে দেয়া।প্রতিপক্ষকে অল্পরানে আটকে রাখার ফন্দি। নিউ জিল্যান্ড টস জেতার পর সে পথেই অধিনায়ক হাঁটেন সোফি ডিভাইন; কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সেই জালে আটকা পড়েননি। দুই ওপেনার শামীমা সুলতানা ও ফারজানা হক দলকে বলে বলে রান এনে দিতে থাকেন। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৯ রান আসে ৫৬ বলে। শামীমা ৩৬ বলে ৪ চারে ৩৩ রান করে আউট হওয়ারি পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা (১১) ও রুমানা হক (১) দ্রুত আউট হলে রান সংগ্রহে একটু ভাটা পড়ে। ওপেনার ফারজানা হক দলের রান বাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তিনি শবনম মুস্তারিকে নিয়ে যোগ করেন ২৮ রান। কিন্তু বলের ব্যবহার ছিল অনেক বেশি ৬.৫ ওভার। ২১ বলে ১৩ রান করে আউট হন শবনম। এদিকে ফারজানা হক প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৬০ বলে তুলে নেন প্রথম ফিফটি। তার ইনিংসে ছিল একটি মাত্র বাউণ্ডারি। হাফ সেঞ্চুরি করার পরপরই তিনি ৫২ রানে আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশ দল স্লগ ওভার আর কাজে লাগাতে পারেনি। শেষ ৪ ওভারে তারা ৩ উইকেট হারিয়ে যোগ করে মাত্র ১৯। নিউ জিল্যান্ডের অ্যামি স্যাটারতওয়েথওটে ২৬ রানে নেন ৩ উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সুজি বেটসের মারমুখি ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বোলাররা কোনো রকম প্রতিরোধই গড়তে পারেননি। ৬৮ বলে ৮ চারে অপরাজিত ৭৯ রান করে তিনি দলকে জয়ী করে ফেরেন। দলীয় ৩৬ ও ব্যক্তিগত ১৪ রানে অধিনায়ক সুফি ডিভাইন সালমা খাতুনের বলে বোল্ড হওয়ার পর সুজি বেটস ও অ্যামেলিয়া মিলে ১০৮ রান যোগ করেন ১৩.২ ওভারে। অ্যামেলিয়া ৩৭ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা সুফি বেটস অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংস খেলার পথে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে এক হাজার রান র্স্পশ করলেন। তবে তার এক হাজার রান ছিল সবচেয়ে দ্রুত মাত্র ২১ ইনিংসে।সালমা ৩৪ রানে নেন ১ উইকেট।
এমপি/টিটি/এসএ/