মুনিম ও ইয়াসির আলীর অভিষেক

সব ঝল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথ চলা শুরু হয়েছে বিপিএল কাঁপানো মুনিম শাহরিয়ারের। মুনিম শাহরিয়ারের এই অভিষেক ছিল দীর্ঘ প্রতিপক্ষার পর। অনুর্ধ্ব-১৯ দলে যাদের সঙ্গে খেলেছিলেন, তাদের অনেকেই জাতীয় দলের ভিসা পেয়েছেন অনেক আগে থেকেই। কিন্তু মুনিমের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না। অপেক্ষার প্রহর লম্বা হতে হতে এক সময় খেলাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের উৎসাহে শেষ পর্যন্ত আর ছাড়তে পারেননি।
এবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে হঠাৎ করেই ঝড় তুলা শুরু করেন। আসরের মাঝপথে খেলার সুযোগ পান তিনি। ক্রিস গেইলের মতো মারদাঙ্গা ক্রিকেটারের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে সেই গেইলকেই তিনি দর্শক বানিয়ে বাজিমাত করতে থাকেন। তার এই হার্ডহিটিং ব্যাটিংই নির্বাচকদের দৃষ্টি তার দিকে নিয়ে আসে। তখনই এক প্রকার আন্দাজ করা গিয়েছিল যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেই তার দলে ডাক পাওয়া, অভিষেক হওয়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। যদিও আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সরাসরি মুনিমের খেলার কথা না বলে তাকে ভালোভাবে বিবেচনায় রেখেছেন বলে জানালে কিছুটা সংশয় থেকে গিয়েছিল। আবার তিনি মোহাম্মদ নাঈমকেও ভরসা রাখছেন বলে জানান। শেষ পর্যন্ত নাঈমও দলে আছেন। বিপিএলে মুনিম ৬ ম্যাচ খেলে ১৫২.১৩ স্ট্রাইক রেটে ১৭৮ রান করেন। ৫১ রানের ইনিংসটি ছিল তার সর্বোচ্চ। ১৫টি চার আর ১৩টি ছক্কা তিনি মেরেছিলেন। এবার জাতীয় দলের হয়ে বাংলাদেশের ৭৪তম ক্রিকেটার হিসেবে। অভিষেকে নিজেকে রাঙ্গানোর পালা।
ইয়াসির আলীর অভিষেক আবার মুনিম শাহরিয়ারের মতো নয়। কারণ জাতীয় দলের ঘ্রাণ তিনি ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকর পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওযানডেতেও অভিষেক হয়। যদিও তিনটি ওয়ানডেতেই তিনি দলে ছিলেন। ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলেন দুইটিতে। কিন্তু রান করেন ০ ও ১। তারপরও তার প্রতি টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রাখাতে তিনি হয়ে গেলেন বাংলাদেশের ৭৫তম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার।
এমপি/টিটি
