র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা অবস্থানে লিটন

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ সেরা পুরস্কার জিতে ক্যারিয়ারের সেরা র্যাঙ্কিংয় উঠে এসেছেন ওপেনার লিটন দাস। তিনি অবস্থান করছেন ৩২-এ। উন্নতি ঘটেছে তিন ধাপ। লিটনের উন্নতির দিনে অবনতি ঘটেছে দলনেতা তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজের।
ব্যাটিংয়ে সাকিবের অবস্থানের কোনো হেরফের না হলেও বোলিংয়ে দুই ধাপ অবনতি ঘটেছে। আবার লিটনের মতোই উন্নতি ঘটেছে মাহমুদউল্লাহরও।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে একটি শতক (১৩৬), একটি হাফ সেঞ্চুরি (৮৬) ও ১। ২২৩ রান করে তিনি ছিলেন সিরিজে সবার উপরে।তার র্যাটিং পয়েন্ট ৫৯২। সিরিজ শুরুর আগে মুশফিক ছিলেন ১১তে। একটি অর্ধশতক (৮৬) ছাড়া বাকি দুই ম্যাচে তিনি রান পাননি। মোট রান ৯৬। ফলে নেমে গেছে দুই ধাপে নিচে। অবস্থান করছেন ১৩ নম্বারে। তার র্যাটিং পয়েন্ট ৭১০।
দলনেতা তামিম ইকবাল কাটিয়েছেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সিরিজ। তিন ম্যাচে তার রান ছিল ৮, ১২ ও ১১। তার অবনতি ঘটেছে দুই ধাপ। অবস্থান করছেন ২৩ নম্বারে। মাহমুদউল্লাহ ৮, অপরাজিত ৬ ও অপরাজিত ২৯ রান করেও নিজের অবস্থানের এক ধাপ উন্নতি ঘটিয়ে ৩৯ থেকে ৩৮-এ উঠে এসেছেন। ১০, ২০, ৩০ তিন ম্যাচে ছিল সাকিবের রান। এই রান করেই সাকিব ব্যাটিংয়ে তিনি নিজের ২৫তম স্থান ধরে রাখতে পেরেছেন।
ব্যাটিংয়ে উন্নতি-অবনতি ঘটলেও বোলিংয়ে সবার অবনতি ঘটেছে। অথচ তিন ম্যাচের দুইটিতেই আফগানদের অলআউট করেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। শেষ ম্যাচে তারা নিতে পেরেছিলেন ৩ উইকেট। মিরাজ-সাকিব-মোস্তাফিজ সবারই অবনমন হয়েছে।
র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচে থেকে বাংলাদেশের বোলারাদের মাঝে সেরা অবস্থানে ছিল মিরাজের। সিরিজে তিনি উইকেট নেন ৩টি। অবনমন হয়েছে দুই ধাপ। সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন সাকিব।
তিনি নিয়েচিলেন ৫ উইকেট। কিন্তু তার অবনমন হয়েছে দুইধাপ। ১০ থেকে নেমে গেছেন ১২ তে। প্রথম ম্যাচে মোস্তাফিজ ৩ উইকেট নিলেও এরপর আর সে রকম ঝলক দেখাতে পারিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে ১ উইকেট পেলেও শেষ ম্যাচে কোনো উইকেটই পাননি। তিনি পনের থেকে নেমে গেছেন ষোলতে।
এমপি/এমএমএ/
