১৭৫ বলে রান নিতে পারেননি আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা
২১৫ রানে বোতলবন্দি আফগানিস্তান

আফগানিস্তানকে নিয়ে বাংলাদেশের ভয় না হলেও আতঙ্ক ছিল। এই আতঙ্ক ছিল আফগানিস্তানের স্পিন ত্রয়ী রশিদ-নবী-মুজিব। এদের ৩০ ওভার খেলাটাই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন এক পরীক্ষা। যে কারণে প্রয়োজন ছিল আফগানিস্তানের সংগ্রহকে বেশি বাড়তে না দেওয়া। টস জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের বেশি দূর যেতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। বোতলবন্দি করে ফেলেছেন। ৪৯.১ ওভার খেলে আফগানিস্তান ২১৫ রান করে অলআউট হয়েছে। বোলাররা তাদের কাজ করে রেখেছেন। এখন আফগান স্পিন ত্রয়ীকে মোকাবেলা করে বাকি কাজ করতে হবে ব্যাটসম্যানদের।
আফগানিস্তানের স্পিন ত্রয়ীর কথা চিন্তা করেই বাংলাদেশ সে পথে হাঁটেনি। সেরা একাদশে তিন পেসার নিয়ে নামে। মোস্তাফিজ-তাসকিনের সঙ্গে ফিরিয়ে আনা হয় শরিফুলকে। স্পিনে সাকিবের সঙ্গে মেহেদি হাসান মিরাজ। ভালো-মন্দের মিশেলে পেস আর স্পিনে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের উড়তে দেননি বোলাররা। একমাত্র মেহেদী হাসান মিরাজ ছাড়া বাকি যারা হাত ঘুরিয়েছেন, সবাই উইকেট পেয়েছেন। এমনকি মাত্র এক ওভার বল করে ৪ রান দিয়ে মাহমুদউল্লাহও তুলে নেন ১ উইকেট। মোস্তাফিজ ৯.১ ওভার বোলিং ৩৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৩.৮১ করে। শরিফুল ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ওভার প্রতি রান ছিল ৩.৮০। সাকিব ও তাসকিন দুইটি করে উইকেট নিলেও ওভার প্রতি রান একটির বেশিই দেন। সাকিব ৯ ওভারে ৫৫ রানে নেন ২ উইকেট। ওভার প্রতি ৫.৫৫ রান ছিল বোলারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি। তাসকিন ১০ ওভারে ৫০ রানে নেন ২ উইকেটে। তার ওভার প্রতি রান ছিল ৫.৫০। তবে ওভার প্রতি সবচেয়ে কম রান দেন কোনো উইকেট না পাওয়া মেহেদি হাসান মিরাজ। ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান দেন তিনি। ওভার প্রতি রান ছিল ২.৮০। পিচে পেসও ধরেছে আবার স্পিনও ধরেছে। ৩০০ বলের খেলায় আফগান ব্যাটসম্যানরা ১৭৫ বলে কোনো রানই নিতে পারেননি। সবচেয়ে বেশি ডট বল দেন মিরাজ ৪৩টি। এরপর মোস্তাফিজ ৩৭টি, শরিফুল ৩৫টি, তাসকিন ৩৩টি, সাকিব ২৫টি ও মাহমুদউল্লাহ ২টি।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানের ইনিংসে আঘাত হানতে খুব বেশি সময় নেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ইনিংসের তৃতীয় আর মোস্তাফিজের দ্বিতীয় ওভারেই রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৭) ফিরে যান তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে। শুরুর এই ধাক্কা পরবর্তিতে আফগান ব্যাটসম্যানদের রান সংগ্রহের গতিকে বাড়তে দেয়নি। সঙ্গে ছিল বাংলাদেশের বোলারদের আঁট সাঁট বোলিং। যে কারণে পরবর্তিতে একমাত্র নাজিবুল্লাহ জাদরান ছাড়া আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। নজিবুল্লাহ ৮৪ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৬৭ রান করে শরিফুলের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়েন। তিনি ফিফটি করেন ৭০ বলে। ওয়ানডেতে এটি ছিল তার ১৩তম ফিফটি। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল রহমত শাহর ৩৪।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ২১৫/১০, ওভার ৪৯.১ ( নাজিবুল্লাহ জাদরান ৬৭ , রহমত শাহ ৩৪, হাশতউল্লাহ শহিদী ২৭, মোহাম্মদ নবী ২০, ইব্রাহীম জাদরান ১৯, গুলবাদিন নাইব ১৭, রহমতউল্লাহ গুরবাজ ৭, রশিদ খান ০, মুজি-উর-রহমান ০, অতিরিক্ত মোস্তাফিজ ৩/৩৯, শরিফুল ইসলাম ২/৩৮, তাসকিন ২/৫০, সাকিব ২/৫৫ মাহমুদউল্লাহ ১/৪, মেহেদি হাসান মিরাজ ০/২৬)
এমপি/এএস
