নিউ জিল্যান্ডে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে চান এবাদত
গত ২০১৯ সালে নিউ জিল্যান্ড সফরে হ্যামিলটনে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পা রেখেছিলেন পেসার এবাদত হোসেন। কিন্তু অভিষেক যেমন রাঙাতে পারেননি, তেমনি পরিবর্তীতেও। যে কারণে দলে থাকলেও সেরা একাদশে আসন পাকাপোক্ত করে নিতে পারেননি। সব মিলিয়ে খেলেছেন ১২ টেস্ট। এবাদত অবশেষে নিজেকে রাঙাতে পেরেছিলেন সেই নিউ জিল্যান্ডেই প্রায় ৩ বছর পর।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে তিনি নিজেকে রাঙিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস সৃষ্টি করেন। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে যেকোনো ফরম্যাটে বাংলাদেশের প্রথম জয়। টেস্টের প্রথম ইনিংসে এবাদত তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি। নিয়েছিলেন মাত্র ১ উইকেট।কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস গুঁড়িয়ে দিয়ে দলকে ৮ উইকেটের জয় এনে দিতে রেখেছিলেন বিশেষ ভূমিকা। হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা। এরপর থেকেই এবাদত আছেন আলোর ঝলকানিতে।
বিপিএলে তাকে কিনে নিয়েছিল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। রঙিন পোষাকে আবার এবাদত নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। এরপরও খেলেছিলেন ৫টি ম্যাচ। সেখানে একেবারে মন্দ করেননি। নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। গড় ছিল ২২.৮৩। তার এই ছোট্ট নৈপুণ্য আবার নির্বাচকদের মনে ধরেছে। যে কারণে সাদা-আর লাল বলের মিশ্রনে এবাদতকে পরখ করে নিতে প্রথমবারের মতো জায়গা দেওয়া হয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের ওয়ানডে দল। এখন দেখার বিষয় তিনি সেরা একাদশে জায়গা করে নিতে পারেন কি না? তাকে জায়গা করে নিতে লড়তে হবে দলে থাকা আরও তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। সেরা একাদশে সুযোগ পেলে বলা যায় কঠিনেরেই জয় করা হবে তার।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে। বিপিএল শেষ করে বাংলাদেশ দল চট্টগ্রাম গিয়েছে রবিবার। সেখানে তিনি কথা বলেন সিরিজ নিয়ে। তার মনের সুপ্ত ইচ্ছে নিউ জিল্যান্ডে যেমন স্বাগতিকদের পেস বোলিং দিয়ে অসাধ্য সাধন করেছেন, এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষেও দলকে জেতাতে চান। আফগানিস্তানের আক্রমণের মূল শক্তি স্পিন বোলিং। রশিদ-নবী-মুজিবের স্পিন আক্রমণের তুলনায় বাংলাদেশের স্পিন শক্তি বেশ পিছিয়ে। তাই ধারণা করা হচ্ছে পেস আক্রমণ দিয়েই আফগানদের ঘায়েল করার রণ পরিকল্পনা থাকবে টিম ম্যানেজমেন্টের।
এবাদত বলেন, ‘আমরা পেস বোলাররা চেষ্টা করবে এখানে যে তিনটা ম্যাচ আছে, অন্তত একটা-দুইটা ম্যাচ জেতাতে। আমাদের ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্টে খুব ভালো সময় যাচ্ছে আমাদের সবার। নিজেদের পেস শক্তি দিয়ে দুই/একটা ম্যাচ জেতানোর কথা বললেও তার ইচ্ছে সিরিজ চেষ্টা করবেন ৩-০ ব্যবধান করতে।’
প্রথমবারের মতো দলে সুযোগ পাওয়ার পর আজই প্রথম মিডিয়াতে কথা বলেন তিনি। আলহামদুলিল্লাহ প্রথমে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছি। তবে সুযোগ পাওয়ার খবর শুনে তিনি সারপ্রাইজড হয়েছিলেন।
এবাদত বলেন, ‘সারপ্রাইজড আসলে প্রথম যখন শুনেছি যে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছি। আমি ভালো করার চেষ্টা করব। আমি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছি মাত্র ১১টা। বিপিএলে আমাদের দলে তামিম ভাই, মাশরাফি ভাই ও রিয়াদ ভাই ছিলেন। অনেক সাপোর্ট পেয়েছি উনাদের কাছ থেকে। এখন আবার সাদা বলে অনুশীলন করছি। ভালো করার চেষ্টা করব।’
নিউ জিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারানোর পর আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছেন আসলে আলহামদুল্লিাহ প্রথমে যে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছি। সারপ্রাইজড আসলে, প্রথম যখন শুনেছি যে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছি, এটার জন্য। তবে আমি ভালো করার চেষ্টা করব। আমি মাত্র লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছি ১১টা। এই প্রথম সুযোগ পেয়েছি ওয়ানডে দলে। গত বিপিএলে আমাদের দলে তামিম ভাই, মাশরাফি ভাই ও রিয়াদ ভাই ছিলেন। অনেক সাপোর্ট পেয়েছি উনাদের কাছ থেকে। এখন আবার সাদা বলে অনুশীলন করছি। ভালো করার চেষ্টা করব।’
নিউ জিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগে এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষেও একই কাজ করে দেখাতে চান।
তিনি বলেন, ‘চেষ্টা করব এখানে নতুন বল কাজে লাগানোর। বছরের শুরুটা আমরা খুব ভালোভাবে শুরু করেছি। নিউ জিল্যান্ডকে আমরা হারিয়েছি ওদের মাটিতে। তখন থেকেই আত্মবিশ্বাসী আছি। এরপর বিপিএল খেলেছি। বিপিএলটাও অনেক আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। সেই আত্মবিশ্বাস আমি আফগানিস্তানের সিরিজে কাজে লাগাতে চাই।’
এমপি/এমএমএ/