বসুন্ধরা অ্যারেনায় শেখ রাসেলকে হারাল আবাহনী

আগের দিনই মহাধুমধাম করে দেশের ক্লাব ফুটবলে প্রথমবারের মতো নিজেদের মাঠ বসুন্ধরা অ্যারেনায় খেলতে নেমে বাংলাদেশের ফুটবলে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। সেই ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস জয়ী হয়েছিল ৩-০ গোলে। হারিয়েছিল বাংলাদেশ পুলিশকে।
একই স্টেডিয়াম শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রেরও হোম ভেন্যু। এই ক্লাবেরও পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে বসুন্ধরা কিংস। একটি স্টেডিয়াম দু’টি ক্লাবের হোম ভেন্যু। হোম ভেন্যু বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে স্মরণীয় করে রাখতে পারেনি। উল্টো বড় হার দিয়ে শুরু করতে হয়েছে। তারা হেরেছে চলতি মৌসুমে ডাবল জয়ী আবাহনীর কাছে ৩-১ গোলে।
আবাহনীর হয়ে জুয়েল, মিলাদ শেখ ও জীবন এবং শেখ রাসেলের হয়ে ইসমায়েল রুতি গোল করেন। আগের তিন ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ প্রতি ম্যাচে গোল করেছিলেন দোরিযেলতন। এই ম্যাচে তিনি গোল করতে পারেননি।
চার ম্যাচে তিন জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী এককভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে। শেখ রাসেলের এটি ছিল প্রথম হার। ৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬।
নিজেদের মাঠে আগের দিন বসুন্ধরা কিংস যে দাপট দেখিয়েছিল, আজ শেখ রাসেল তা দেখাতে পারেনি। খেলার সবকটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। আবাহনী প্রথম গোল পায় ৪৯ মিনিটে। কলিন্দ্রেসের কর্নার থেকে দোরিয়েলতেন হেড থেকে আর্বা হেড করে গোল করেন জুয়েল। ৬১ মিনিটে আবাহনীর হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন ইরানি ফুটবলার মিলাদ শেখ। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে তিনি শেখ রাসেলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে হার মানান। ৩ মিনিট পর শেখ রাসেল একটি গোল পরিশোধ করে। মাচাদোর কাছ থেকে বল পেয়ে পর্তুগীজ ইসমায়েল রুতি গোল করেন। ৬৮ মিনিটে মাচাদো অজতা ড্রিবলিং করতে গিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন। তার সামনে ছিলেন শুধুমাত্র গোলরক্ষক। কিন্তু তিনি শট না নিয়ে ড্রিবলিং করতে গেলে বল তার পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। এরপরই আবাহনী করে তৃতীয় গোল। ৮৪ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবন বক্সের ভেতর বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করেন।
এমপি/আরএ/
