ফাইনালের আগে বরিশাল ২ কুমিল্লা ১

শিরোনাম দেখে অনেকেই অবাক হতে পারেন! কারণ এই জাতীয় শিরোনাম সাধারণত ফুটবলের খেলাগুলোতে হয়ে থাকে। সেখানে আজকের (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের ফাইনালে এ রকম শিরোনাম! যেখানে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ও বরিশাল। আসলে এটি দুই দলের ফাইনালের আগে মুখোমুখি সাক্ষাতের ফলাফল। বরিশাল জিতেছিল দুইবার, কুমিল্লা একবার।
ডাবল লিগের খেলা। পরে ফাইনাল। এখান থেকেই উঠবে দুইটি দল। যে কারণে ফাইনালের আগেই দুই প্রতিপক্ষের কমপক্ষে দুইবার করে দেখা হয়ই। এমনকি সেটা তিনবারও হতে পারে। তবে আজ বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও ফরচুন বরিশালে তিনবার মুখোমুাখি হয়েছে। দুইবার লিগে, আরকেবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে। লিগে দুই দলই একবার করে জয়ী হয়েছিল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতেছিল বরিশাল। তাই বরিশাল এগিয়ে আছে ২-১ ব্যবধানে। তবে এটি শুধুই একটি পরিসংখ্যান। এর সঙ্গে আজকের ফাইনালের কোনো যোগসূত্র থাকবে না।আজ যে দল জিতবে তারাই চ্যাম্পিয়ন হবে। বরিশাল জিতলে ৩-১ হবে না কুমিল্লা জিতলে ২-২ হবে।
আগের তিন সাক্ষাতে কুমিল্লা জিতেছিল প্রথমবার। পরের দুইবার জিতেছে বরিশাল। প্রথমবার ঢাকায়। কুমিল্লা তখন দুর্দান্ত ফর্মে। বরিশালের অবস্থা নাজুক। সেই নাজুক অবস্থা বুঝা যায় তাদের হারের ধরন দেখে। হেরেছিল ৬৩ রানে। তাদের হার দেখে মনে হবে কুমিল্লা আগে ব্যাট করে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করেছিল। কিন্তু আদতে তা নয়। কুমিল্লার সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ১৫৮। মাহমুদুল হাসান জয় ৩৫ বলে করেন ৪৮ রান। এ ছাড়া করিম জানাতের ব্যাট থেকে এসেছিল ১৬ বলে অপরাজিত ২৯ রান। সাকিব আবারো নেন ২টি উইকেট। ব্রাভো নিয়েছিলেন একটি বেশি। জবাব দিতে নেমে বরিশাল গুটিয়ে গিয়েছিল ১৭.৩ ওভারে মাত্র ৯৫ রানে, যা ছিল চলতি আসরে সর্বনিম্ন সংগ্রহ। তাদের এই সংগ্রহে মুক্তি পেয়েছিল সিলেট। তারাও এই কুমিল্লার বিপক্ষে করেছিল ১৯.১ ওভারে ৯৬ রান। নাহিদুল ৪ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা। ২টি করে উইকেট নিয়েছিলেন শহীদুল, তানভীর ও করিম জানাত।
পরের মোলাকাত হয় হয়েছিল সিলেটে। এবার আগে ব্যাট করেছিল বরিশাল। তারা ৫ উইকেটে করেছিল ১৫৫ রান। মুনিম শাহরিয়ার ২৫ বলে করেন ৪৫ রান। সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছিল ৩৭ বলে ৫০ রান। পরে বরিশালের আটোসাটো বোলিংয়ের সামনে পড়ে কুমিল্লা ২০ ওভার খেলে করে ৯ উইকেটে মাত্র ১২৯ রান। নাঈম হাসান নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট ছিল সাকিব ও ব্রাভোর দখলে। ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন সাকিব।
তৃতীয় দেখা হয়েছিল প্রথম কোয়ালিফায়ারে। দুই দলই ছিল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। বরিশালের ১৫, কুমিল্লার ১৩। এবার আগে ব্যাট করে বরিশাল। মুনিম শাহরিয়ার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তাদের শুরুটা ছিল উড়ন্ত। কিন্তু সেই শুরুটা পরে আর ধরে রাখতে পারেনি বরিশাল। ফলে ৮ উইকেটে করে মাত্র ১৪৩ রান। ৩০ বলে ৪৪ রান করেন মুনিম শাহরিয়ার। শহীদুল ইসলাম ২৫ রানে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট ছিল মঈন আলীর। জবাব দিতে নেমে কুমিল্লা ছিল অতিমাত্রায় সাবধানী। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে রান এসেছিল বিনা উইকেটে ৩৬। ১০ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫৯। এতে করে বেড়ে যায় চাপ। এই চাপ পরে আর কাভার দিতে পারেনি তারা। এমনকি ডু প্লেসি, মঈন আলীও। ফলে ঢাকা ২০ ওভার খেলেও ৭ উইকেটে ১৩৩ রান করে হার মেনেছিল ১০ রানে। লিটন ৩৫ বলে ৩৮, মাহমুদুল হাসান জয় ৩০ বলে ২০, ডু প্লেসি ১৫ বলে ২১, মঈন আলী ১৫ বলে ২২ রান করেন। মুজিব উর রহমান ৩৩ রানে, শহীদুল ১৬ রানে ও মেহেদী হাসান রানা ১৫ রানে নেন ২টি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা হন মেহেদী হাসান রানা।
এমপি/এসআইএইচ
