এলিমেনেটরে চট্টগ্রাম-খুলনার টিকে থাকার লড়াই

লিগ পর্ব শেষ। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এখন শিরোপার স্বপ্নে বিভোর চারটি দল। তা যেমন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ফরচুন বরিশাল, তেমনি চারে থেকে প্লে অফ রাউন্ডে খেলতে আসা খুলনা টাইগার্সও। আজ সোমবার থেকে শুরু হবে সেই লড়াই। প্রথমে প্লে অফ রাউন্ডের এলিমেনেটরে মুখোমুখি হবে তিন ও চারে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্স। জয়ী দল টিকে থাকবে। হেরে যাওয়া দলের ঘণ্টা বাজবে বিদায়ের। দ্বিতীয় খেলা কোয়ালিফায়ার-১। ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের খেলায় যে দল জয়ী হবে তারাই পৌঁছে যাবে ফাইনালে। হেরে যাওয়া দলের বিদায় ঘণ্টা বাজবে না। সম্ভাবনা টিকে থাকবে। তারা কোয়ালিফায়ার-২ খেলবে এলিমেনেটরে বিজয়ী দলের সঙ্গে। এখানে যারা জয়ী হবে তারা ১৮ তারিখ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।
লিগ পর্বে পরস্পরের মোকাবিলাতে চট্টগ্রাম ও খুলনা ছিল সেয়ানে সেয়ানে। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। প্রথম মোলাকাতে চট্টগ্রাম জয়ী হয়েছিল ২৫ রানে। মিরপুরে চট্টগ্রাম খেলতে নেমে ৭ উইকেটে করেছিল ১৯০ রানের বিশাল পুঁজি। খুলনা তার জবাব দিতে পারেনি। ৯ উইকেটে ১৬৫ রান করে পেয়েছিল চলতি আসরে প্রথম হারের স্বাদ। পরের ম্যাচে আবার নিজেরাই মোকাবিলা করেছিল। ভেন্যু ছিল চট্টগ্রাম। এবার প্রতিশোধ নেয় খুলনা। ম্যাচ জিতেছিল ৬ উইকেটে। এবার আর আগে ব্যাট করে চট্টগ্রাম রানের পাহাড় গড়তে পারেনি। ৮ উইকেটে ১৪৩ রান করে। খুলনা এবার সেই রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে ৬ উইকেটে। বল বাকি ছিল ৮টি।
দুই দলই প্লে অফে এসেছে সমান ১০ পয়েন্ট করে নিয়ে। নেট রান রেটে চট্টগ্রামে তিনে স্থান পায়। আবার দুই দলকেই শেষ ম্যাচ জিতে আসতে হয়েছে প্লে অফে। দুই দলের সামনেই ছিল বিশাল রান ডিঙানোর টার্গেট। লক্ষ্য অতিক্রমে কারোরই কঠিন বাধার মুখে পড়তে হয়নি।
চলতি যে আসরে সর্বোচ্চ রানের যে কয়টি ইনিংস হয়েছে, সর্বোচ্চ ইনিংসসহ তার কয়েকটির মালিকানা চট্টগ্রামের। রান সংগ্রহকারীরা তালিকায় দুইয়ে থাকা উইল জ্যাকস আছেন দারুণ ফর্মে। চার ফিফটিতে তার রান ৩৯৮। সবার উপরে থাকা তামিম ইকবালের রান তার থেকে ৯ বেশি। খুলনারও বিদেশি কালেকশন উইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার। বই প্রয়োজনীয় মুহুর্তে, যা ছিল প্লে অফে উঠার লড়াই, সেই ম্যাচে কুমিল্লার পাহাড় সমান ৫ উইকেটে করা ১৮২ রান নির্বিঘ্নে পাড়ি দিয়েছিল এই ফ্লেচারের অপরাজিত ১০১ রানে ভর করে। সঙ্গে ছিল মেহেদি হাসানের ৭৪ রান। দুই জনের উদ্বোধনী জুটিতে ১৮২ রান এবারের আসরে যেকোনো জুটির চেয়ে বেশি।
ব্যাটিয়েং দুই দলের দুই বিদেশি এগিয়ে থাকলেও বোলিংয়ে আবার সে রকমটি নয়। চট্টগ্রামের হয়ে দলকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হ্যাটট্রিক করা বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ৬ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে তিনি আছেন পাঁচে। আর খুলনার হয়ে এই কাজটি করে চলেছেন লঙ্কান থিসারা পেরেরা। তার সংগ্রহ মৃতুঞ্জয়ের মতোই সমান ১৩ উইকেট। তিনি আছেন ছয়ে। আইপিএলের নিলামে প্রথমবারের মতো নাম থাকা, যদিও নিলামে নামই উঠেনি, সেই শরিফুল ইসলাম আছেন চট্টগ্রাম দলে। নিয়েছেন ১২ উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ ১১ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের বোলিং আক্রমণকে শক্তিশালী করে তুলেছেন। খুলনার কামরুল ইসলাম রাব্বি ৭ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে দলকে ভালোই সাপোর্ট দিয়ে চলেছেন।
এমপি/টিটি
