ড্র করে প্রথম পয়েন্ট হারাল শেখ জামাল
জিতলেও মন ভরাতে পারেনি বসুন্ধরা

দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেলেও বসুন্ধরা কিংসের খেলায় যেন সেই প্রথম ম্যাচে স্বাধীনতা সংঘের কাছে ২-১ গোলে হারের ছাপ রয়ে গেছে। খেলায় নেই ছন্দ। কোনো রকমে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে ১-০ গোলে হারিয়ে। এর আগে উত্তরা বারিধারাকেও তারা হারিয়েছিল ১-০ গোলে। আজ টঙ্গির আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে বসুন্ধরার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ৫৮ মিনিটে ব্রাজিলয়ান স্ট্রাইকার রবিনিয়ো। তিন ম্যাচে বসুন্ধরার ছিল দ্বিতীয় জয়। বিপরীতে মুক্তিযোদ্ধ সংসদের তিন ম্যাচে ছিল টানা তৃতীয় হার। এদিকে পয়েন্ট হারানোর তালিকায় যোগ হয়েছে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পাওয়া শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবও। তারা আজ মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করেছে। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামাল আছে শীর্ষে। বসুন্ধরার পয়েন্ট ৬। দুই ড্র-তে পুলিশের পয়েন্ট দুই। মুক্তিযোদ্ধা এখনও কোনো পয়েন্ট পায়নি।
খেলায় বসুন্ধরা একমাত্র গোলে জয়ী হলেও এটি ২-০ ব্যবধান হতে পারতো। কিন্তু পেনাল্টি পেয়েও তারা গোল করতে পারেনি। ৭৮ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি থেকে ভ্রানিয়াসের নেওয়া শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়।
জয়-পরাজয়ের ব্যবধানই বলে দেয় বসুন্ধরা ভালো খেলতে পারেনি। যদিও দলকে ছন্দে ফেরাতে কোচ অস্কার ব্রুজেন সেরা একাদশে দুইটি পরিবর্তন এনেছিলেন। ইয়াসিন আরাফাত ও আতিকুর রহমানব ফাহাদের পরিবর্তে সুযোগ খেলতে নামেন রিমন হোসেন ও মাসুক মিয়া জনি। কিন্তু তাতেও নিজেদের চেনা রূপে ফিরতে পারেনি বসুন্ধরা। ২৬ মিনিটে রবিনিয়োর কাটব্যাক থেকে তৌহিদুল ইসলাম সবুজ টোকা দিতে ব্যর্থস হয়ে সুযোগ নষ্ট করেন। ৪৪ মিনিটে গোলরক্ষক রাজিবকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি রবিনিয়োর। তার চেষ্টা আটকে দেন গোলরক্ষক রাজিব। বলা যায় এই রাজিবের কারণেই বসুন্ধরা গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। ৫৮ মিনিটে বসুন্ধরা পায় গোলের দেখা। বিশ্বনাথের থ্রো-ইন থেকে দিদারুল হেড করে ক্লিয়ার করলেও বল পেয়ে যান সোহেল রানা। তিনি বল বাড়িয়ে দেন রবিনিয়োকে। বল পেয়ে রবিনিয়ো তিনজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে ঠেলে দেন। গতবারের লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা রবিনিয়োর এবারের লিগে ছিল তার প্রথম গোল। এরপর ৭৮ মিনিটে মিস করে তারা সেই পেনাল্টি।
খেলায় মুক্তিযোদ্ধার উল্লেখ করার মতো আক্রমণ ছিল ২১ মিনিটে। মাঝমাঠে সোহেল রানার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে জাপানি সোমা ওতানজ। তারপর নেন দুরপাল্লার তীব্র শট। কিন্তু বসুন্ধরার গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো সেই আটকে দেন। ৭৮৬ মিনিটে কর্ণার থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের শাসসের নেয়া হেড গোলে প্রবেশের আগে গোল লাইন থেকে নিশ্চিত রক্ষা করেন নবাব।
এমপি/এএস
