সেই স্বাধীনতা সংঘকে হারিয়ে মোহামেডানের প্রথম জয়

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে নবাগত স্বাধীনতা সংঘ চমক সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু সেই চমক তারা ধরে রাখতে পারেনি মোহামেডানের বিপক্ষে। তাদের ১-০ গোলে হারিয়েই মোহামেডান লিগে প্রথম জয়ের মুখ দেখেছে। মোহামেডানের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন সুলেমান দিয়াবাত।
প্রথম ম্যাচে তারা শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। দুই ম্যাচে মোহানেডানের পয়েন্ট ৪। সমান ম্যাচে স্বাধীনতা সংঙ্গের পয়েন্ট ৩। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট করে আছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও সাইফ স্পোর্টিংয়ের। ৪ করে পয়েন্ট মোহামেডান ছাড়া আছে আবাহনী লিমিটেড ও চট্টগ্রাম আবাহনীর।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড, একটি ঐতিহ্য। অপরদিকে স্বাধীনতা সংঘ নবাগত। বলা যায় নবীন-প্রবীনের লড়াই। মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াই কিন্তু দারুণভাবে জমে উঠেছিল।
মোহামেডান ঐতিহ্যবাহী দল হলেও আগের সেই শক্তি আর নেই। এখন শিরোপার জন্য তারা লড়াই করতে পারে না। প্রিমিয়ার লিগ শুরু হওয়ার পর জিততে পারেনি শিরোপা। আবার স্বাধীনতা সংঘের ছিল বসুন্ধরাকে হারানোর স্মৃতি। তাই মোহামেডানেরও ভয় ছিল স্বাধীনতা সংঘকে নিয়ে। ৭৭ মিনিট পর্যন্ত তারা মোহামেডানকে আটকে রেখেছিল।
এরপর আর পারেনি। থ্রো ইন থেকে মোসেোনভিকির হেডে বক্সে সৃষ্ট জটলায় নিশানা ভেদ করেন দিয়াবাত। শেখ রাসেলের বিপক্ষেও তিনি গোল করেছিলেন।
যে মোহামেডান দিয়াবাতের গোল জয়ী হয়েছে, সেই দিয়াবাতই একাধিক সুযোগ নষ্ট করেছেন গোল করার আগ পর্যন্ত। প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে একাধিক গোলে জয়ী হওয়া বিচিত্র ছিল না মোহামেডানের। যেমন ১৪ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের ক্রস থেকে টোকা দিলেই গোল পেয় যেতেন দিয়াবাত। কিন্তু সে কাজটুকু তিনি করতে পারেননি। ২৪ মিনিটে ফাঁকা পোস্টে তার হেড বাইরে দিয়ে চলে যায়।
স্বাধীনতা সংঘের সুযোগ ছিল ৩৬ ও ৩৯ মিনিটে। দুইটি সুযোগই কাজে লাগতে পারেননি বসনিয়া-হার্জেগোভিনার স্ট্রাইকার নেদো তুর্কোভিচ। ইয়াসমিন মেসিনোভিকিকে ফাঁকি দিয়ে জায়গা করে নিয়েও নেদো তুর্কোভিচ সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে বল তুলে দেন। অপর সুযোগ ছিল রাফাল জাবোরোভস্কির ক্রস থেকে নেয়া হেড বাইরে চলে যায়।
৮৪ মিনিটে স্বাধীনতা সংঘের হাসান মুরাদ দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে লালকার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন। বাকি ৬ মিনিট ১০ জনের স্বাধীনতা সংঘকে পেয়েও কোনো কাজে লাগাতে পারেনি মোহামেডান।
এমপি/এমএমএ/
