সিডন্সকেই দেয়া হলো ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব

দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাশওয়েল প্রিন্স ব্যাটিং কোচ থাকা অবস্থাতেই জাতীয় দলের সাবেক কোচ জেমি সিডন্সকে ব্যাটিং পরামর্শক কোচ হিসেবে নিয়ে আসা হয়। তবে জেমি সিডন্সকে শুধুমাত্র জাতীয় দলের জন্য বিসিবি নিয়ে আসেনি, তাকে যে কোনো জায়গাতে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা ছিল বিসিবির।
বাংলাদেশে আসলেও জেমি সিডন্স তিনি কাজ শুরু করেনি। বিপিএলের ম্যাচ দেখেই সময় পার করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই অ্যাশওয়েল প্রিন্স পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলে বিসিবি আপাতত জেমি সিডন্সকে নিয়ে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে। দায়িত্ব দিয়েছে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে জেমি সিডন্সের নতুন করে এই দায়িত্ব।
জেমি সিডন্স এর আগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে ২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ভরাডুবি হলে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর তিনি নতুন ভুমিকায় আসেন এ মাসের শুরুতেই। এখানে আসার পর জেমি সিডন্স কাজ শুরু করতে পারেননি। কারণ বিসিবি তাকে নির্দিষ্ট করে কোথায়ও কাজে লাগায়নি। যে কারণে সিডন্স বিপিএলের ম্যাচ দেখেই সময় পার করছিলেন।
জেমি সিডন্সকে দায়িত্ব দেয়া হলো প্রিন্সের পদত্যাগের পরদিনই। জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছে, ‘আমরা জেমি সিডন্সকে জাতীয় দলের পরবর্তি ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিতে যাচ্ছি। কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার ও বোর্ড পরিচালকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে তিনি ভালো কোচ। এই জন্য তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।’
জেমি সিডন্সকে নিয়ে আসা হয়েছিল জাতীয় দলের পাশাপাশি হাইপারম্যান্স, অনূর্ধ্ব-১৯ কিংবা অন্য কোনোভাবে কাজে লাগানো। ডিসেম্বর মাসে তার সঙ্গে যখন বিসিবির চুক্তি হয়, তখন বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, ‘আমরা সিডন্সের সঙ্গে চুক্তি করলেও তিনি কোথায় কাজ করেবেন, তা চূড়ান্ত হয়নি।’ এখন তিনি সরাসরি জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করবেন।
অ্যাশওয়েল প্রিন্সের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি ছিল অস্ট্রেলিয়া অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। নিউ জিল্যান্ড সফর শেষে তিনি অন্য কোাচিং স্টাফদের মতোই বাংলাদেশে না এসে ছুটি কাটাতে নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে তারা বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি ৯ ফেব্রুয়ারি ই-মেইলে বিসিবির কাছে তার পদত্যাহগ পত্র পাঠিয়ে দেন। গুঞ্জন আছে যে জেমি সিডন্স আসাতেই অ্যাশওংল প্রিন্সের এভাবে সময়ের আগেই চলে যাওয়া। বিসিবি সভাপতিও সে রকম বলেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রিন্স থেকে যেতে পারতেন। তাকে আমরা অন্যভাবে কাজে লাগাতে পারতাম। সিডন্স আসাতে তিনি হয়েতো ভেবেছিলেন তার কাজের ক্ষেত্র নিয়ে।’
সিডন্সকে নতুন করে এই দায়িত্ব দেয়াতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। যিনি নিউ জিল্যান্ড সফরে টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আজ মিরপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সিডন্স তো পরিক্ষীত। ব্যাটিং কোচ হিসেবে বেস্ট। এটা অবশ্যই আপকামিং ক্রিকেটারদের জন্য কাজে লাগবে। সে বিপিএলের খেলাগুলো দেখছে। এই ফরম্যাটে কি অ্যাটিচুড নিয়ে ক্রিকেটাররা ব্যাট করছে সেটা ও দেখছে। তামিমদের সঙ্গে ওর ভাল সম্পর্ক আছে। ওরা যখন ছোট ছিল তখন থেকেই। তো ওদের সঙ্গে তো সম্পর্ক আগে থেকেই ভাল এখন নতুনদের সঙ্গেও কাজ করলেও অবশ্যই সবদিক থেকে ভাল হবে আশাকরি।’
ক্রিকেট অপারেশিনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘সব দিক বিবেচনা করেই আমরা সিডন্সকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছি। আশা করি তাকে পেয়ে ব্যাটসম্যানরা অনেক উন্নতি করতে পারবে।’
এমপি
