সিলেটকে বিদায় করে প্লে অফ রাউন্ডের পথে খুলনা

প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি সিলেট সানরাইজার্সের। খুলনা টাইগার্সের কাছে আবারো হেরেছে। এবারের হার ১৫ রানে। প্রথমবার হেরেছিল ঢাকায়। আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে করা ১৪৫ রান খুলনা টনের্ডো গতিতে টপকে গিয়েছিল ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪.২ ওভারে। সিলেট এবার হেরেছে নিজেদের মাঠে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনার করা পাহাড় সমান ৩ উইকেটে ১৮২ রান টপকাতে গিয়ে সিলেট আটকে যায় ৬ উইকেটে ১৬৭ রানে। এই হারে ৩ ম্যাচ হাতে রেখেই সিলেটের প্লে অফ রাউন্ডে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেলো। ৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট। এদিকে খুলনা ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে আসার পাশাপাশি প্লে অফে রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে তুলেছে। ম্যাচ সেরা হয়েছেন সৌম্য সরকার.।
খুলনার ইনিংস গড়ায় বড় ভুমিকা ছিল সৌম্য ও মুশফিকের।টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনা শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে। প্রথম ওভারেই হারায় ২ উইকেট।আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় আন্দ্রে ফ্লেচার (১) রান আউট হয়ে যান। মেহেদী হাসানকে (০) আউট করেন সোহাগ গাজী। উইকেটের পেছনে তার ক্যাচ ধরেন এনামুল হক বিজয়।শুরুর এই বিপর্যয় প্রাথমিকভাবে সামাল দেন সৌম্য সরকার ও ইয়াসির আলী ৫.৩ ওভারে ৪৫ রান যোগ করে। জুটি ভাঙ্গে ১৮ বলে ২৩ রান করে ইয়াসির আলী আউট হলে। তাকে আউট করেন ইনজুরির কারণে বিপিএল থেকে ছিটকে পড়া তাসকিনের পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েই সেরা একাদশে জায়গা পাওয়া স্বাধীন।
এরপরই গড়ে উঠে সৌম্য ও মুশফিকের ১৩৬ রানের। ওভার খেলেন ১৪টি। অনেক চেষ্টা করেও এই জুটি ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। সৌম্য চলতি আসরে প্রথম ফিফটি তুলে নেন ৪৩ বলে। মুশফিকের ফিফটি আসে ৩২ বলে। সৌম্য ৬২ বলে ৪টি করে চার ও ছয় মেরে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৩৮ বলে ৬২ রান করে।তার ইনিংসে ছিল ২টি ছক্কা ও ৬টি চার।শেষ ৫ ওভারে রান আসে ৫৭।
জবাব দিতে নেমে লিন্ডল সিমন্স ও এনামুল হক বিজয় পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান এনে দেন। পাওয়ার প্লের শেষ বলে সিমন্স আউট হন। তার অবদান ছিল মাত্র ১০।
এনামুল-কলিন ইনগ্রাম ৪.৩ ওভারে যোগ করেন ২৯ রান এনামুল ৩৩ বলে ৩টি করে চার ও ছয় মরে ৪৭ রান করে আউট হওয়ার পরই দলের বিপর্যয় শুরু হয়।দ্রুতই বিদায় নেন মোহাম্মদ মিঠুন (২)ও নতুন অধিনায়ক রবি বোপারা (০)।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে কলিন ইনগ্রাম ও সৈকত ৫ ওভারে ৫৮ রান যোগ করে দলকে জয়ের ক্ষীন আশায় রেখেছিলেন। ইনগ্রাম ২ ছক্কা ও ১ চারে ২৮ বলে ৩৭ রানে আউট হওয়ার পরই অলোক কাপালিও (২) ফিরে গেলে সিলেটের সব আশা শেষ হয়ে যায়।শেষের দিকে আলাউদ্দিন বাবু ৭ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে অপরাজিত ২৫ রান করে শুধু দলের হারের ব্যবধানই কমিয়ে আনেন। নেতৃত্ব হারানো মোসাদ্দেক ২২ বলে ৭ চারে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। থিসারা পেরেরা ২৩ ও সৌম্য ২৭ রানে ২টি করে উইকেট নেন
