সিলেটেও প্রথম ম্যাচে রান খরা
কুমিল্লাকে হারিয়ে শীর্ষে উঠে প্লে অফ রাউন্ডে বরিশাল
ঢাকা-চট্টগ্রামের পর সিলেটেও প্রথম ম্যাচ রান খরা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। আগে ব্যাট করে বরিশাল ৫ উইকেটে করে ১৫৫ রান। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে কুমিল্লা-ভিক্টোরিয়ানস করে ৯ উইকেটে ১২৩ রান। ৩২ রানে জিতে কুমিল্লাকে পেছনে ফেলে বরিশাল শুধু পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে আসেনি, একেই সঙ্গে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফ রাউন্ডে খেলাও নিশ্চিত করেছে। ৮ ম্যাচে বরিশালের পয়েন্ট ১১। এক ম্যাচ কম খেলে কুমিল্লার পয়েন্ট ৯।
বরিশালের এটি ছিল টানা চতুর্থ জয়। প্রতিটি জয়ই ছিল লো-স্কোরিংয়ে। সেই রান করেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে বরিশাল ম্যাচ নিজেদের করে নিয়ে নেয়। আগের তিন ম্যাচ তারা জিতেছিল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দুইবার ৯ উইকেটে ১৪১ রান ও ১৪৫ রান করে এবং চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১৪৯ রান করে। এবার তারা করেছিল ৫ উইকেটে ১৫৫।
টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর আবারো ব্যর্থ হন ক্রিস গেইল (১০), নাজমুল হোসেন শান্ত (১)। পরবর্তিতে সাকিবের (৫০) টানা দ্বিতীয় ফিফটির সঙ্গে ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারের ৪৫ ও তৌহিদ হৃদয়ের ৩১ রানে দলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫৫ পর্যন্ত গিয়েছিল। ৪৮ রানে ২ উইকেট হারার্নো পর মুনিম শাহরিয়ারও আউট হয়ে যান দলীয় ৬৯ রানে। তবে আউট হওয়ার আগে তিনি খেলে যান মারমুখি ইনিংস। মাত্র ২৫ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ৪৫ রান করে মঈন আলীর বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়েন। এরপর দলের রানকে লড়াকু পূঁজিতে নিয়ে যান সাকিব ও তৌহিদ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এই দুই জনে মিলে দলের রানকে নিয়ে যান ১৩৬ পর্যন্ত। জুটিতে ৯.১ ওভারে যোগ হয় ৬৭ রান। সাকিব ৩৬ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে হাফ সেঞ্চুরি করার পরের বলেই আউট হয়ে যান করিম জানাতের বলে মুমিনুল হকের হাতে ধরা পড়ে। সাকিব এক ম্যাচে আগে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষেও ৩০ বলে অর্ধশত পূর্ণ করে পরের বলেই আউট হয়েছিলেন। মাঝে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল। সাকিব আউট হওয়ার পর বরিশার্লে ইনিংসের ১৭ বল বাকি ছিল। এই ১৭ বলে তারা মাত্র ১৯ রান যোগ করে ১ উইকেট হারিয়ে। কুমিল্লার হয়ে তানভীর ইসলাম ২২ রানে নেন ২ উইকেট। মোস্তাফিজ ৩০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। সুনিল নারিন ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে থাকেন উইকেট শূন্য।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৫৫ রান তাড়া করা খুব কঠিন নয়। আবার দলে যদি থাকে একাধিক ইনফর্ম ব্যাটসম্যান। তাই বরিশালও শঙ্কায় ছিল। কিন্তু আবার তাদের মনোবল শক্ত ছিল বোলিং আক্রমণের কারণে। অবশেষে আগের তিন ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বরিশালের বোলাররা নিজেদের মেলে ধরলে কুমিল্লার পক্ষে রান তাড়া করে কঠিন হয়ে পড়ে। ব্যাট করতে নামার পরই শুরু হয় উইকেট পতনের মিছিল। যে মিছিল রোধ করা সম্ভব হয়নি কারো পক্ষেই। এমনকি মঈন আলীর (৬) পক্ষেও। নাঈম হাসান, সাকিব, ডুয়াইন ব্রাভোর আগুনে পড়ে জ্বলসে যান কুমিল্লার যোদ্ধারা। সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৩০ রানে আসে মুমিনুলের ব্যাট থেকে। শেষের দিকে তানভীরের ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ২ ছক্কায় অপরাজিত ২১ রান। এ ছাড়া লিটন দাস ১৯ ও করিম জানাত ১৭ রান করেন। নাঈম হাসান ২৯ রানে নেন ৩ উইকটে। সাকিব ২০ ও ডুয়াইন ব্রাভো ২৯ রানে নেন ২টি করে উইকেট। আবারো ম্যাচ সেরা হন সাকিব।
এমপি/