বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আক্ষেপের হার পিছু ছাড়ছে না

 

 

জয়ের দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ফাখর জামান আর খুশদিল শাহকে পরপর দুই ওভারে ফিরিয়ে দিয়ে সে সম্ভাবনাটা আরও জোরালো করেছিল টাইগাররা।

 

শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন মাত্র ২ রান। বল করলেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। প্রথম বলে শাদাব খানকে কোনো রান দিলেন না। দ্বিতীয় বলটিকে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারলেন শাদাব। বাউন্ডারির বাইরে গিয়ে আছড়ে পড়লো। ফলাফল, ৪ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো পাকিস্তান।

 

প্রায় দুই বছর পর লাল সবুজের দর্শকদের গর্জনে কেঁপেছিল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপের ভরাডুবির পর বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল নিজেদের সামর্থ প্রমাণের। শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে যা এক প্রকার কঠিনও ছিল। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে বাংলাদেশের বোলাররা ম্যাচ জিতিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু, স্কোরবোর্ডে রান না থাকায় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মিছিলে বাংলাদেশ বলি হল আরও একবার।

 

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে আফিফ-মেহেদীরা। টার্গেটে খেলতে নেমে ৪ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। মোহাম্মদ নাওয়াজ ১৮ ও শাদাব ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

 

অথচ টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দিনটি হতে পারতো বাংলাদেশের। তাসকিনের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে মিড উইকেটে দারুণ চার মারেন বাবর আজম। পঞ্চম বলে ব্যাট ছুঁয়ে যায় উইকেটরক্ষক সোহানের গ্লাভসে। কিন্তু বাংলাদেশ বুঝতে পারেনি, রিভিউও নেয়নি। রিপ্লেতে পরিষ্কার বাবর আউট। গ্যালারির গগণ বিদারি গর্জন থেমে গেছে, ছড়িয়ে পড়েছে আক্ষেপ। কিন্তু তাসকিন বেশিক্ষণ আক্ষেপের সঙ্গে রাখলেন না। স্ট্যাম্প ওড়ালেন বাবরের। উল্লাসে যেন ফেটে পড়ে শের-ই-বাংলা। এর আগের ওভারেই আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানের স্ট্যাম্প উড়িয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাবর (৭), রিজওয়ান (১১) জুটি কতটা ভয়ঙ্কর তা দেখা গেছে  সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তাদেরই বাংলাদেশ ফিরিয়েছিল প্রথম চার ওভার না যেতেই। তখন স্কোরবোর্ডে রান মাত্র ২২।

 

পাওয়ার প্লেতে শুধু বাবর-রিজওয়ানের নয়, বাংলাদেশ ফিরিয়েছে হায়দার আলী ও অভিজ্ঞ শোয়েব মালিককেও। দুজনেই ফেরেন ০ রানে। পাওয়ার প্লে-তে পাকিস্তান ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪ রান তোলে। তাসকিনদের দারুণ বোলিং দুর্দান্ত শুরুর পর উঁকি দেয় জয়ের সম্ভাবনা।

 

১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান যখন ২৪ রানেই চারজন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে, তখন তাদের খুব বাজে অবস্থা টের পাওয়া যাচ্ছিল। সত্যিই দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান।

 

কিন্তু তাদেরকে ওই অবস্থা থেকে টেনে তোলেন ফাখর জামান এবং খুশদিল শাহ। ৫৬ রানের জুটি গড়েন এই দু’জন। সবচেয়ে বড় কথা দুর্দান্ত ব্যাট করে ম্যাচকে বাংলাদেশের হাত থেকে বের করে নিচ্ছিলেন তিনি।

 

সেই ফাখর জামানকে অবশেষে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তাসকিন আহমেদ। আউট সুইঙ্গার বলটি ফাখর জামানের ব্যাটে লেগে চলে যায় সোহানের হাতে। ৩৬ বলে খেলা ৩৪ রানের ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটে সেখানে।

 

৮০ রানের মাথায় ফাখর জামান আউট হওয়ার পর ৯৬ রানের মাথায় ফিরে যান আরেক সেট ব্যাটসম্যান খুশদিল শাহও। শরিফুল ইসলামের কোমর পর্যন্ত লাফিয়ে ওঠা বলটিকে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে খুশদিল জমা দেন উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের হাতে। ৩৫ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। এ দু’জন আউট হওয়ার পর জয়ের বাকি কাজ সেরে ফেলেন শাদাব খান আর মোহাম্মদ নওয়াজ।

 

ডেথ ওভারে মোস্তাফিজ মরণ কামড় দিতে পারেননি। আগের দুই ওভারে মাত্র ৩ রান দেওয়ার মোস্তাফিজ শেষ দুই ওভারে দেন ২৩ রান! ১৮তম ওভারে দেন ১৫ রান। দুজনের জুটি থেকে আসে ১৫ বলে ৩৬।

 

বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র তাসকিন নিয়েছেন দুটি উইকেট। পাঁচ নম্বর বোলার হিসেবে বোলিং করেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজে। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব দলে থাকলেও তাকে দিয়ে করান কেবল শেষ ওভারটি!

 

এর আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল ব্যর্থতায় ভরা। ওপেনিংয়ে পরিবর্তন আসে কিন্তু রানে পরিবর্তন আসে না। শুরুটা সেই আগের মতোই হতশ্রী। টানা খেলা মোহাম্মদ নাঈমও ভরসার প্রতীক হতে পারেননি। নতুন মুখ সাইফ হাসানও রাঙাতে পারেননি অভিষেক ম্যাচ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দুটি সেঞ্চুরির মালিক নাজমুল হোসেন শান্তও করেছেন হতাশ।

 

দুই ওপেনার নাঈম-সাইফ ফেরেন ১ রান করে। স্কোরবোর্ডে রান আর উইকেট সংখ্যা প্রায় যেন সমানই ছিল। এরপর শান্তও ফেরেন দলকে বিপদে ফেলে। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে রান আসে মাত্র ২৫টি। বাংলাদেশ উইকেট হারায় ৩টি।

 

দ্রুত তিন উইকেট হারালেও ক্রিজে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থাকায় আশা দেখছিল বাংলাদেশ। আফিফ তার সাবলীল ব্যাটিং করলেও মাহমুদউল্লাহ যেন খোলস থেকে বেরোতে পারেনি। মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে যদিও তিনি আউট হয়েছেন কী না বুঝতে পারেননি। পাকিস্তানের আবেদনে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বাংলাদেশ অধিনায়কের আউটের দৃশ্য। ১১ বলে ৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।

 

আফিফ ১৯ রানে রিভিউ নিয়ে জীবন পেয়েছিলেন। এরপরই তার ব্যাটে দেখা যায় ঝড়। নাওয়াজকে পরপর ২ ছক্কা মারেন। প্রথমটি লং অফে ও দ্বিতীয়টি বোলারের মাথার উপর দিয়ে। বাংলাদেশ প্রথম ছয়ের দেখা পায় এই ১১তম ওভারেই। ঝড় তুলেও বেশিদূর এগোতে পারেননি। দুটি করে চার-ছয়ে ৩৪ বলে ৩৬ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে।

 

আফিফের আউটের পর খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নুরুল হাসান সোহান। প্রথমদিকে তার ব্যাট হাসছিল না। থিতু হতে কিছুটা সময় নিয়েছেন। তিনিও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শুরুতে ১০ বলে ৭ রান করা সোহান থামেন ২২ বলে ২৮ রান করে। তার ইনিংসে ছয়ের মার ছিল দুটি।

 

নুরুল চলে গেলেও ক্রিজে থাকা শেখ মেহেদী দারুণ ইনিংস খেলেছেন। ২টি ছয় ও ১টি চারে করেন ২০ বলে ৩০ রান। একপ্রান্তে উইকেট ধরে রাখার পাশাপাশি স্কোরবোর্ডে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন। সোহান ফেরার পর অপর প্রান্তে কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাননি মেহেদী।

 

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হাসান আলী। দুটি উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ১টি করে উইকেট নেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজ।

Header Ad
Header Ad

আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সিরিয়ার বর্তমান ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল শারা দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উচ্ছেদ অভিযানে শীর্ষ ভূমিকায় ছিলেন এই নেতা। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করার জন্য মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্বও তাকে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে দেশটির সংবিধান।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আলজাজিরা।

এতে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার হাসান আবদুল ঘানি সিরিয়ার ২০১২ সালের সংবিধান বাতিল এবং আসাদ সরকারের সংসদ, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিলুপ্তি ঘোষণা করেছেন।

নতুন প্রেসিডেন্ট শারা জানিয়েছেন, তিনি একটি অন্তর্বর্তীকালীন আইনসভা গঠন করবেন, যা দেশের শাসন পরিচালনা করবে যতক্ষণ না একটি নতুন সংবিধান অনুমোদিত হয়। তিনি আরও বলেন, আসাদবিরোধী সব বিদ্রোহী গোষ্ঠী ভেঙে ফেলা হবে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একীভূত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও গোলাম রাব্বানী। ছবিঃ সংগৃহীত

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এই দাবি তোলেন তিনি। আর সেই পোস্টে কমেন্ট করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এদিকে রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লেখেন, ‘মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।’

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।’

হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতা-কর্মীরও বিচার কার্যকর করা হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার কার্যকর করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সাথে অপমানের শামিল।

অথচ, ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়তো। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়তো অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়নাঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারাদেশে তখন নেমে আসতো নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সাথে করতো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সকল নেতা-কর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের সকল শহীদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে বলছি, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন। পুনরাবৃত্তি করছি: আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের আচরণ ঠিক তেমন হবে, যেমন আওয়ামী লীগের আচরণ আমাদের প্রতি ৫ আগস্ট না হলে হতো।’

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরাইল ও হামাসের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী আরও ১১০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দি মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ৩০ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। পাশাপাশি হামাস ৫ থাই নাগরিকসহ ৮ জনকে মুক্তি দিবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এই বন্দি বিনিময় হতে যাচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে এটিই তৃতীয় বন্দি বিনিময় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আলজাজিরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নিজেদের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তিন ইসরাইলি জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে হামাস। এরা হলেন আরবেল ইয়েহুদ, আগাম বার্গার এবং গ্যাডি মোশে মোজেস।

এই জিম্মিদের বিনিময়ে যে ১১০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দি মুক্তি পাচ্ছেন— সে তথ্যও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩২ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৪৮ জন দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড এবং ৩০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক কারাবন্দি রয়েছেন

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার চতুর্থ বন্দিবিনিময়ে ৩ ইসরাইলি পুরুষকে মুক্তি দেবে হামাস।

এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনী তাদের অভিযান জোরদার করেছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তুম্মাম শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে, আলজাজিরার তথ্যমতে, উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে ৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  
ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  
তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  
মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে রাজনীতিতে কখনোই সফল হবে না : ছাত্রশিবিরকে রিজভী  
যুক্তরাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত  
জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় আজ  
আজ জহির রায়হানের ৫৩তম অন্তর্ধান দিবস  
আজ সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে  
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার : ৩ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ  
ছাত্রশিবির এর দলীয় প্রকাশনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদলের
মসজিদ থেকে জুতা চুরি, পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা, শেষমেশ ধরা যুবক
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি
ব্যক্তি স্বার্থে দলের স্বার্থ নষ্ট করলে ছাড় নয়: তারেক রহমান
তৃতীয় বিয়ে করছেন রাখি সাওয়ান্ত, পাত্র পাকিস্তানি পুলিশ কর্মকর্তা!
চার মাসেও সমাধান মেলেনি, ভবনে তালা দিল বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে এনজিও উধাও, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
অর্থ লুটকারীদের অনেকের কপালে ও নাকে সিজদার দাগ: ধর্ম উপদেষ্টা
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ ভারতীয়সহ ১৫ প্রবাসী নিহত
তেজগাঁওয়ে কুতুববাগ দরবার শরিফের ওরস স্থগিত
মহাকুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু