গাজী গ্রুপকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রূপগঞ্জ
বৃথা গেছে গাজী গ্রুপের রেজা তাভির ১০৩ রানের ইনিংস। সফল হয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের আল আমিনের ৫৭ রানে ৫ উইকেট।
ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে দুই দলের ম্যাচটি ছিল হাই স্কোরিং। যেখানে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে মাশরাফির দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপ ৪৮.১ ওভারে ২৭৭ রান করে অলআউট হয়।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৪৭.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২৮০ রান করে ম্যাচ নিজেদের করে নেয়ার পাশাপাশি লিগে শতভাগ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে মাশরাফির দল। ৬ ম্যাচে তাদের পয়্এট ১২। সমান ম্যাচে গাজী গ্রুপের পয়েন্ট ৫।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপের হয়ে রাভি তেজা ও মাহমুদুল হাসান ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। রাভি সেঞ্চুরি আর মাহমুদুল হাসান হাফ সেঞ্চুরি করেন। ১৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর এই দুই জন চতুর্থ উইকেট জুটিতে ২৩ ওভারে ১১৫ রান করেন। ৭৪ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কা মেরে মাহমুদুল ৫৫ রান করে নাঈম ইসলামের শিকার হন।
এরপর আকবর আলী (২১) ও জুবায়েরুল ইসলামের (২০) সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে রেজা তাভি ১১১ বলে ২ ছক্কা ও ৮ চারে ১০৩ রান করে সোহাগ গাজীর বলে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন। এরপর মোহাম্মদ এনামুল ১৯ বলে ২২ ও কাজী অনিক ২৩ বলে ২৮ রান করলে ২৭৭ রানে অলআউট হয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
আল আমিন ৫৭ রানে নেন ৫ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন চেরাগ জানি ও সোহাগ গাজী।
বড় সংগ্রহের পেছনে ছুটে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে সহজ জয় এনে দেন সাব্বির রহমান, ইরফান শুক্কুর ও চেরাগ জানি। তিন জনেই পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেন।
দলীয় ৫২ রানের মাঝে দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও পারভেজ হোসেন ইমন ফিরে যাওয়ার পর ক্রমান্বয়ে আসেন সাব্বির ,ইরফান ও চেরাগ জানি। সাব্বির ও ইরফান তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০৩ রান যোগ করেন ১৮.৪ ওভারে। ২ ছক্কা ও ৮ চারে ৭৪ বলে ৬৬ রান করে জুবায়েরুল ইসলামের বলে রাভি তেজার হাত ধরা পড়েন।
সাব্বির আউট হওয়ার পর ইরফান ও চেরাগ জানি চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৬.২ ওভারে ১০৯ রান করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। ৫২ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে রান করে চেরাগ জানি আউট হলেও ইরফান ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৯৭ বলে ৭৭ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলে ফিরে আসনে। ম্যাচ সেরা হন চেরাগ জানি। গাজীর হয়ে একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ এনামুল, কাজী অনিক,নাহিদুজ্জামান ও জুবায়েরুল ইসলাম।
এমপি/এমএমএ/