জিতেও ফাইনালের অপেক্ষায় পূর্বাঞ্চল
জিতেও ফাইনালে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলকে। আজ সিলেট একাডেমি মাঠে পূর্বাঞ্চল ৪ উইকেটে হারিয়েছে উত্তরাঞ্চলকে। আগে ব্যাট করে উত্তরাঞ্চল ৪৯.৫ ওভারে ২১৬ রানে অলআউট হয়। জবাব দিতে নেমে পূর্বাঞ্চল সেই রান অতিক্রম করে ৩৭.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান করে। লিগ পর্বের খেলা শেষ করে তিন ম্যাচে দুই দলের পয়েন্টই সমান ২ করে। এখানে নেট রান রেটে এগিয়ে পূর্বাঞ্চল। সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল ও বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের ম্যাচের ফলাফলের পর জানা যাবে কোন দুই দল খেলবে ফাইনালে। দক্ষিণাঞ্চল জয়ী হলে এই দুই দলই ফাইনাল খেলবে। আর মধ্যাঞ্চল জয়ী হলে শুধু তারা ফাইনাল খেলবে। বাকি তিন দলের পয়েন্ট ২ করে থাকবে। তখন বাইলজ অনুসরন করে দ্বিতীয় ফাইনালিষ্ট নির্ধারন করা হবে। সে ক্ষেত্রে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকবে পূর্বাঞ্চল। তারাই হবে মধ্যাঞ্চলের ফাইনালের প্রতিপক্ষ।
ফাইনালে যাওয়ার কঠিন সমীকরণে পূর্বাঞ্চলের প্রয়োজন ছিল জয়ের পাশাপাশি নেট রান রেট বাড়িয়ে নেয়া। সে কাজটি তারা যথাযথভাবে করে রাখতে পেরেছে। টস জিতে দলপতি ইমরুল কায়েস বোলারদের হাতে বল তুলে দেওয়ার পর প্রতিপক্ষকে খুব বেশি রান করতে দেননি। ২১৬ রানে সবাইকে সাজ ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নাঈম হাসান, তানভীর ও রুবেল মিলে শুরুতেই ২৫ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন। উত্তরাঞ্চল পড়ে যায় চাপে। এই চাপ সামলে উঠার চেষ্টা করেন চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলপতি মার্শাল আইয়ুব ও জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি দলপতি মাহমুদউল্লাহ। দুই জন মিলে ১২০ রান যোগ করেন ২৬ ওভারে। দুই জনেই ফিফটি তুলে নেন। আগে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ৮৭ বলে ৪ চারে ৬৬ রান করে রানআউটের শিকার হন। মার্শাল আইয়ুব আউট হন ৫৪ রানে তানভীরের বলে নাদিফ চৌধুরীর হাতে ধরা পড়ে। এই দুই জন বিদায় নেয়ার পর পরবর্তিতে আর কেউ হাল ধরতে পারেননি। ফলে এক বল বাকি থাকতেই তারা অলআউট হয়ে যায়। নাঈম হাসান ৪৭ রানে নেন ৩ উইকেট। তানভীর ২ উইকেট নেন ৩৪ রানে। একটি করে উইকেট ছিল রুবেল হোসেন ও আলাউদ্দিন বাবুর। ৩ জন ছিলেন রান আউট।
জবাব দিতে নেমে পূর্বাঞ্চল শুরুতেই উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জাতীয় দলের তামিম ইকবাল ও দলপতি ইমরুল কায়েস মিলে ৭.১ ওভারে ৫৩ রান যোগ করে করে শুরুর চাপ সামলে উঠেন। আগের ম্যাচে প্রথমবারের মতো নেমে তামিম ইকবাল ৯ রান করে আউট হয়েছিলেন। এই ম্যাচ তিনি করেন ৩৮ বলে ৩৫ রান। একটি ছক্কার সাথে ছিল তিনটি চারও। তাকে আউট করেন মাহমুদউল্লাহ। তামিম ইকবাল আউট হওয়ার পর ইমরুল কায়েস তৃতীয় উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে ৫০ রান যোগ করেন। অবশ্য ওভার খেলেছিলেন ১৪টি। আফিফের ইনিংসটি ছিল ধীরগতির। তিনি ৪৭ বলে ২৬ রান করে শফিকুলের বলে মার্শাল আইয়ুবের হাতে ধরা পড়েন। এরপর শাহদাতকে নিয়ে ইমরুল কায়েস ৫৫ রানের জুটি গড়েন ৭.৫ ওভারে। এই দুই জনই ফিরে যান দলীয় ১৭৫ রানে। প্রথমে শাহদাত ২৬ বলে ২৫ রান করে, পরে ইমরুল কায়েস ৮১ বলে ৮ চারে ৭১ রান করে। ইমরুলকে আউট করেন মাহমুদউল্লাহ। শাহদাতকে সানজামুল ইসলাম। আগের ম্যাচও ইমরুল কায়েস ৬৯ রান করেছিলেন। নাদিফ চৌধুরীও (১০) দ্রুত বিদায় নেওয়ার পর বাকি কাজ সারেন আলাউদ্দিন বাবু ও সোহরাওয়ার্দী শুভ। আলাউদ্দিন বাবু ১২ বলে ১৭ ও সোহরাওয়ার্দী শুভ ১১ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। মাহমুদউল্লাহ ৫৬ রানে নেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন সানজামুল শাফিউল ও শফিকুল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইমরুল কায়েস।
এমপি/এএস