রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

জাতীয় অ্যাথলেটিকসে সুসমিতার ২টি স্বর্ণ জয়

সুসমিতা ঘোষ। জাতীয় অ্যাথলেটিকসে দলীয় আসরে ২টি স্বর্ণ জয়ের খবরে তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের রামগোপালপুরে চলছে আনন্দ-উল্লাস। তার মাতা শিবানী ঘোষ আর বাবা সাধন ঘোষ।সুসমিতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত সদস্য হিসেবে এ খেলায় অংশ নেন। তার সঙ্গে অংশ নেন বর্ষা খাতুন, লিবিয়া খাতুন ও মুন্নি কর্মকার।

সুসমিতা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, গেমসে একক স্বর্ণ জয় ছিল মূল লক্ষ্য। শারীরিক সমস্যার জন্যে তা সম্ভব হয়নি। তবে দলীয় ২টি স্বর্ণ জয়ে তিনি আনন্দিত।

সুসমিতা ২০১৩ সালে জুনিয়র থেকে সিনিয়র হয়ে আসেন বাংলাদেশ গেমসের বড় মঞ্চে। প্রতিভার পূর্ণ বিকাশে বদ্ধপরিকর হয়ে ট্র্যাকে আসেন। নিজের সঙ্গে নিজের যুদ্ধে জয়ী হওয়ার বাসনাকে বাস্তবে রূপদান করতে প্রতিশ্রুতিশীল এই অ্যাথলেট এই ট্র্যাক অ্যান ফিল্ড থেকে অর্জন করেন দুইটি স্বর্ণপদক। পাশাপাশি জেতেন একটি ব্রোঞ্জ পদক। এরপর আরেক স্বর্ণালী অধ্যায়ের শুরু। খেলাধুলায় দেশ সেবার পাশপাশি রণক্ষেত্রেও দেশ সেবার ব্রত নিয়ে ২০১৪ সালে যোগদেন বাংলাদেশ সেবাবাহিনীতে।

সেনাবাহিনীর পদক জয়ের যুদ্ধে নামেন ২০১৩ সালের ১৩তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকসে জেতেন ৪০০ মিটার রিলেতে স্বর্ণ, ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ আর ১৬০০ মিটার রিলেতে জয় করেন রৌপ্য।

১৪ তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকসে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে জয় করেন ব্রোঞ্চ, সমান দুরত্বের রিলেতে পান রৌপ্য, এছাড়া ১৬০০ মিটার রিলেতেও জয় করেন আরেক রৌপ্য পদক।

জাতীয় অ্যাথলেটিকসেও তার ছিল সমান পদচারণা, সেনাবাহিনীর হয়ে ৪১তম জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে ১০০ মিটারে স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ, ২০০ মিটারে রৌপ্য, এছাড়া ৪০০ ও ১৬০০ মিটারেও জয় করেন রৌপ্য পদক। ৪২তম জাতীয় অ্যাথলেটিক্সেও তার হাত ধরে সেনাবাহিনীর ঘরে আসে দটি পদক, ২০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ আর ৪০০ মিটার রিলেতে আসে রৌপ্য পদক। সব মিলিয়ে সেনাবাহিনীর হয়ে জাতীয় পর্যায়ে এ পর্যন্ত জিতেছেন ২৪টি পদক।

সুসমিতার বাবা মা জানান, সুসমিতা হারিয়ে গেলে খুঁজে পাওয়া যেত রামগোপালপুর পি.জে.কে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি প্রবল ঝোঁক তাকে এগিয়ে নিয়েছে। স্কুল জীবনে উপহার আর সার্টিফিকেট সব ছিল ওর দখলে। সব খেলাধুলায় ছিল অপরাজিত। হারতে না শেখার হাতে খড়ি সেখান থেকেই, হারাতে শেখার প্রথম পাঠটা এখানেই পাওয়া।’

ক্লাস সেভেন থেকে জাতীয় পর্যায়ে উঠে আসার মিছিলে ছিলেন সুসমিতা। স্কুল, কলেজ, উপজেলা, জেলা, উপঅঞ্চল, পদঅঞ্চল, বিভাগীয়, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, কর্মচারী কল্যাণবোর্ড, বিকেএসপি কাপ, জাতীয় জুনিয়র, সিনিয়র পর্যায়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন স্বগর্বে।

অ্যাথলেটিকসের পাশাপাশি মাঠ মাতিয়েছেন ভলিবল, কাবাডি, ব্যাটমিন্টন এমনকি ফুটবলেও। ব্যাডমিন্টনে ২০১০ সালে শিরোপা জেতেন নিজ জেলা ময়মনসিংহের হয়ে।
২০১১ সালে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ফুটবল প্রতিযোগিতায় নিজ দলকে এনে দেন রানার্সআপের সম্মাননা। ২০১২ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে ২টা লিগে দলকে এনে দেন রানার্স আপ ট্রফি। ক্রীড়া ক্ষেত্রে দুর্দান্ত সম্ভাবনাময় এই অ্যাথলেট ২০১১ সালে সুযোগ পান বিকেএসপিতে ৩ মাসের অ্যথালেটিকস ট্রেনিংয়ের। এরপরই সুযোগ মেলে জাতীয় পর্যায়ে জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স হিসেবে পথ চলার। ২০১২ সালে জাতীয় জুনিয়রে ১০০ মিটারে দ্বিতীয়, ২০০মিটার তৃতীয় স্থান অর্জন করে সবার নজরে আসেন সুসমিতা।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি)বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ শেখ কামাল ৪৫তম জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হয়।

একে/এএন

Header Ad
Header Ad

দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে ভটভটির ধাক্কায় জায়েদা বিবি (৬৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের বিজয়পুর মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জায়েদা বিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজীগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মনসুর রহমানের স্ত্রী।

নিহতের ছেলে আল মামুন বলেন, তাঁর বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রহিদুল ইসলাম রোববার সকালে উপজেলা সদরের প্রসাদপুর বাজার থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ভাইয়ের দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে তাঁর মা জায়েদা বিবি ভটভটিতে চড়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথে বিজয়পুর মোড় এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় একটি ভটভটি ধাক্কায় তিনি পাকা রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান জানান, অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত জায়েদা বিবির মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!

ছবি: সংগৃহীত

নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্রমাগত দুশ্চিন্তা শরীরের স্ট্রেস-রেসপন্স সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্রনিক স্ট্রেসের জন্ম দেয় এবং এমনকি অকাল মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, ফলে সংক্রমণ ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো মারাত্মক কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার সঙ্গেও এটি সরাসরি সম্পর্কিত।

বিশেষজ্ঞরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে কর্টিসলসহ বিভিন্ন স্ট্রেস হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণ হজমজনিত সমস্যা, পেশির টান, অনিদ্রা ও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

এছাড়া, অনিয়ন্ত্রিত বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ ধূমপান, অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ বা মাদকাসক্তির মতো ক্ষতিকর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে, যা আরও ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।

তবে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমানোর জন্য সচেতনতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসরণ করলে এ সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, মেডিটেশন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পেশাদার সহায়তা নেওয়া এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর হতে পারে।

সূত্র: আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন

Header Ad
Header Ad

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না।

রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, "জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে।"

তিনি আরও লিখেছেন, "এই সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নাই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।"

 

তরুণ এই বিএনপি নেতা তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনায় স্থানীয় নির্বাচন থাকতে পারে। কিছু নতুন দল বা ছোট দল নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করতে পারে। তবে তার মতে, "এই মার্কাবিহীন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে এই ব্যাপারে। এর বাইরে, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী বা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে, বা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, যে অবস্থানেই বিবেচনা করা হোক না কেন, আমি জানিয়ে দিচ্ছি—ঢাকার অলিগলির রাজনীতি কীভাবে চলে তা আমি জানি।"

ইশরাক হোসেন তার পোস্টের শেষ অংশে বলেন, "ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে। হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কিভাবে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটাও আমাদের মুখস্থ।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি