বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে ফলোঅন এড়ালো ইংল্যান্ড
গত বছর স্বপ্নের মতো গিয়েছে ইংরেজ দলপতি জো রুটের। ৬ সেঞ্চুরি আর ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে ১৭০৮ রান করে ছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। সেই রুট নতুন বছর শুরু করলেন শুন্য দিয়ে। আগেই অ্যাসেজ খুইয়ে বসা ইংল্যান্ড চতুর্থ সিডনিতে চতুর্থ টেস্টেও আছে বাজে অবস্থায়। অজিদের ৮ উইকেটে ৪১৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করার পর ইংল্যান্ড ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েও জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে কোনো রকমে ফলোঅন এড়িয়েছে। তৃতীয় দিন শেষে তাদের রান ৭ উইকেটে ২৫৮। বেয়ারস্টো ১০৩ ও জ্যাক লিচ ৪ রান নিয়ে আগামীকাল চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামবেন নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে।
আগের দিনের বিনা উইকেটে ১৩ রান নিয়ে খেলতে নেমে আবারো বিপদে পড়ে সফরকারিরা। লাঞ্চের আগেই ৩৬ রানে ৪ উইকেটে হারিয়ে অন্ধকারে ছিল। কিন্তু সেখান থেকে দলকে আলোর পথে নিয়ে যান পঞ্চম উইকেট জুটিতে বেন স্টোকস ও বনি বেয়ারস্টো র্ক-বোল্যান্ডে-গ্রিনের কোপ সামলে তারা দলের বিপর্যয় রোধ করে ধীরে ধীরে সামনে এগুতে থাকেন। সফলও হন। জুটিতে ১২৮ রান আসার বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। আউট হন বেন স্টোকস ৬৬ রান করে। ৭০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে তিনি ৬৬ রানে আউট হন নাথান লিয়নের বলে এলবিডবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে।
বেন স্টোকসের এই ইনিংস ছিল ঘটনাবহুল। স্ট্যাম্প বল লাগার পরও বেল না পড়ার কারণে তিনি বেঁচে যান। তাও কি না পেস বোলারের বলে। এটি অবিশ্বাস্যই বটে। এখানে স্টোকসের দিকে ভাগ্য যেন দুই হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে এই বেলে লাগা বলটি নিয়ে অন্য রকম নাটকও হয়ে গেছে। বল স্ট্যাম্পে লেগে বেল না পড়লেও অজি ফিল্ডাররা স্টোকসের প্যাডে বল লেগেছে মনে করে এলডিবিডব্লিউর জন্য আবেদন করেন। আম্পায়ার তর্জনি তুলে দেন। স্টোকস অবাক হন। কারণ তিনি নিজে জানেন বল প্যাডে লাগেনি। অগত্যা নেন রিভিউ। যেখানে দেখা যায় এই বিরল ঘটনা। বল স্টোকসের প্যাডে না লেগে স্ট্যাম্পে লেগেছে। কিন্তু বেল পড়েনি। বেঁচে যান স্টোকস। তার রান তখন ছিল মাত্র ১৬। জীবন পেয়ে তিনি খেলেন ৬৬ রানের ইনিংস। একই সাথে দূর রান খরাও।
বেন স্টোকস হাফ সেঞ্চুরির পর থেমে গেলেও বনি বেয়ারস্টো থেমে যাননি। জস বাটলার দ্রুত বিদায় নিলেও সপ্তম উইকেট জুটিতে জনি বেয়ারস্টো মার্ক উডকে নিয়ে ৭২ রান যোগ করে ফলোঅন এড়ানো হয়। ৪১ বলে ৩৯ রান করে মার্ক উড কামিন্সের শিকার হন। জন বেয়ারস্টো ১৩২ বলে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বোল্যঠহু ২৬ ও কামিন্স ৭০ রানে ২টি করে উইকেট ১টি করে উইকেট ছিল স্টার্ক, গ্রিন ও লিয়ন।
এমপি/এএস