পারল না মোহোমেডান, ফাইনালে রহমতগঞ্জ

সেমিফাইনালে উঠে আসা দলগুলোকে দলশক্তির নিরিখে বিভাজন করা যায় না। কারণ একটি আসরের সেরা দলগুলোই সেমিতে উঠে আসে। সেই হিসেবে ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিতে মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে রহমতগঞ্জের ফাইনালে উঠে আসাকে আর চমক বলা যাবে না। যোগ্যতাই প্রধান মাপকাঠি।
২০১৯-২০ সালের পর আবার এই আসরের ফাইনালে উঠে আসল পুরান ঢাকার ক্লাবটি। বিপরীতে মোহামেডান অনেকদিন পর ফাইনালে উঠার সুযোগ পেয়েও হাত ছাড়া করল। সর্বশেষ তারা ফাইনাল খেলেছিল ২০০৯ সালে।
মোহোমেডানের জন্য এই হার ছিল দুভার্গ্যজনক। প্রথম গোল করা ছাড়াও অনেক সুযোগ নষ্ট করে তারা। খেলার শুরুতেই ৫ মিনিটে গোল করে এগিয়ে থেকে ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ধরে রেখেছিল। কিন্তু এরপর আর শেষ রক্ষা হয়নি। ৭৮ মিনিটে রহমতগঞ্জ গোল পরিশোধের পর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ফাইনালে উঠে যায়। মোহামেডান যখন এই গোল হজম করে তখন আর পরিশোধের সুযোগ ছিল না!
খেলার ৫ মিনিটে গোলের দেখা পেয়ে যায় মতিঝিল পাড়ার দলটি। আলমগীরের কর্নার থেকে অ্যারন জনের মাথা ছুঁয়ে রক্ষণের রাজীবের কাছে বল গেলে নিখুঁতভাবে পা লাগিয়ে মোহামেডানকে ১-০ গোলে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। এই গোলের পর ৩, ২২ ও ৪০ মিনিটে মোহামেডানের হয়ে তিনটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন সাহেদ। ৩৫ মিনিটে রহমতগঞ্জের ফিলিপ আজাহর শট বার কাঁপিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধে মোহামেডান ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে মোহামেডানের জন্য কালো অধ্যায় নেমে আসে ৬৭ মিনিটে, যখন তাদের মেসিনেভিকি হলুদ কার্ড দেখেন। তাকে হারানোর পরই মোহামেডান রক্ষণে চলে যায়। আর চেপে ধরে রহমতগঞ্জ। এই চাপ ধরে রেখেই তারা গোল পরিশোধ করে ৭৮ মিনিটে। আশরাফুলের রং পাসে থেকে অফসাইড ট্র্যাক ভেঙ্গে ফিলিপ আজাহ তীব্র শটে জালে বল পাঠান। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ১-১। এই গোলের পরও রহমতগঞ্জের চাপ অব্যাহত থাকে। ৮৭ মিনিটে সানডে চিজোবার বাইসাইকেল শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। এরপর খেলা গড়ায় যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে। ফিলিপ আজাহর পাস থেকে সানডে চিজোবা গোল করে দলকে ফাইনলে তুলে দেন।
এমপি/এসআইএইচ
