রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সাদা পোশাকে রঙিন বাংলাদেশ

সূর্যোদয় তখনো হয়নি। ভোরের আলো উঁকি দিচ্ছে; কিন্তু বাংলাদেশের আকাশে আজ অন্যরকম এক ভোর হলো। হয়েছে অন্যরকম এক সূর্যোদয়। যা রচিত হয়েছে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে নিউ জিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে। মুমিনুলের হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১১ সেনা মিলে কোটি কোটি দেশবাসীকে উপহার দিয়েছেন অন্যরকম অনুভুতির নতুন প্রভাত। ২১ বছর ধরে অধরা হয়ে থাকা নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ পেয়েছে প্রথম জয়।

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে রঙিন বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়েছে ৮ উইকেটে। নিউ জিল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৪০ রানের টার্গেট বাংলাদেশ পাড়ি দেয় ২ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান করে। সময়ের ব্যবধানের কারণে মুমিনুলরা যখন নিউ জিল্যান্ডকে হারানোর জন্য লড়াই শুরু করেছেন বাংলাদেশে তখন রাত ৪টা। আর মুশফিকুর রহিমের বাউন্ডারি থেকে যখন জয় সূচক রান আসে, তখন ঘড়ির কাঁটা ৬টা অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ দলের এ রকম সাফল্য দেখার জন্য অনেকেই তখন রাতের ঘুম হারাম করে টিভি পর্দায় চোখ রেখে করেছেন বিজয় দর্শন। দেখেছেন বাউন্ডারি মারার পর মুশফিকুর রহিমের বাঘের মতো করে গর্জন। শুনেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ জয়োধ্বনি।

চতুর্থ দিনই বাংলাদেশ জয়ের ঘ্রান পেতে শুরু করেছিল। কিন্তু তারপরও কারো মুখ ফুটে বের হয়ে আসেনি প্রকাশ্যে জয়ের কথা। টেস্ট ক্রিকেট ধৈর্য্যরে খেলা। ২২ গজের পিচে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যেমন নিজেদের অসম্ভব ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছেন, কথা বলার ক্ষেত্রেও ছিল একই রকম ধৈর্য্য। আবেগকে করেছেন নিয়ন্ত্রণ। কারণ নিউ জিল্যান্ডের কঠিন কন্ডিশনে যেখানে বাংলাদেশ হাবুডুবু খেয়েছে গত ২১ বছর, সেখানে জয় হাতের নাগালে–এ রকম শুধু কল্পনাই করা যায়। আবার বাংলাদেশ খেলতে গিয়েছে প্রতিকুল পরিস্থিতিতে। গায়ে চিমটি কেটে যেন উপলদ্ধি করা গেল, না এটি স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। স্বপ্নকে বাস্তবে নামিয়ে আনা যায়। চেষ্টা করলে জেতা যায়। বাংলাদেশ সেই চেষ্টায় ব্রতি হয়ে জয় এনেছে প্রথম সেশনেই। ম্যাচ সেরা এবাদতের বিস্ফোরণ বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ড ১০ ওভার ৪ বল খেলে মাত্র ২২ রান যোগ করে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায়। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৪০ রান পেতে লাঞ্চের সময় হয়ে যায়। আম্পায়ার লাঞ্চের সময় বাড়িয়ে দেন। আর তাতেই অধরা হয়ে থাকা জয়ের সন্ধান পেয়ে যায় বাংলাদেশ ১৬ ওভার ৫ বল খেলে। রচিত হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাফল্যে সেরা পালক। নতুন বছরের শুরুতেই পেল বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পেল আবার প্রথম জয়। দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৮ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চে।

পঞ্চম দিন বাংলাদেশ যে পরিকল্পনা করেছিল, তার অনেক আগেই নিউ জিল্যান্ডকে বধ করে। ভয় ছিল ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস খেলতে নামা অভিজ্ঞ রস টেলরকে নিয়ে। ৩৭ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটসম্যান যদি বাঁধার প্রাচীর হয়ে উঠেন। তা’হলেইতো সব শেষ! কারণ রস টেলর উইকেটে টিকে থাকা মানে বাড়বে টার্গেট, কমবে সময়। কঠিন হবে জয়। কিন্তু জয়ের নেশায় উন্মাতাল হয়ে থাকা বাংলাদেশের যোদ্ধাদের ঠেকায় কে? চতুর্থ দিনই হিংস্র হয়ে উঠা এবাদত আজ আরো বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠেন। সাথে ছিলেন তাসকিনও। এই দুজনে মিলে নিউ জিল্যান্ডের চার ব্যাটসম্যানকেই (একজন অপরাজিত ছিলেন) কোনো রান করতে দেননি। দুজন নেন দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করে। যেখানে শেষ প্রলেপ দেন মিরাজ।

যে রস টেলরকে নিয়ে ভয় ছিল,শঙ্কা ছিল, সেই টেলরকে দিয়েই শুরু হয় আঘাত বাংলাদেশের। এই আঘাত হানতে খুব বেশি সময়ও লাগেনি। দিনের দ্বিতীয় আর নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই টেলরের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন এবাদত। টেলর আগের দিনের ৩৭ রানের সাথে ৩ রান যোগ করতে পেরেছিলেন। পরের ওভারে এবাদত আবারো আঘাত হানেন। এবার তার শিকার হন কাই জেমিসন (০)। মিড উইকেটে অসাধারন ক্যাচ ধরেন শরিফুল।

এবাদত উইকেট নেবেন, আর তাসকিন চেয়ে চেয়ে দেখবেন, এটা কি হতে পারে? তাসকিনও তাল মেলালেন শেখানে। তিনিও মেতে উঠেন উইকেট পাওয়ার নৃত্যানন্দে। তিনিও তার পরের দুই ওভারে দুইটি উইকেট তুলে নেন। প্রথমে আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান রাচিন রবিন্দ্রকে (১৬), পরে টিম সাউদিকে (০)। রাচিনকে উইকেটের পেছনে লিটন ক্যাচ ধরেন। সাউদির স্ট্যাম্পে আঘাত হানেন। রস টেলর দলীয় ১৫৪ রানে আউট হওয়ার পর ১৬০ রানে পড়ে ৩ উইকেট। বাকি থাকে শেষ জুটি। বোল্ট ও ওয়েগনার জুটিকে সাথে সাথেই ভাঙ্গা যায়নি। তাসিকন (৫ ওভার) ও এবাদত (৪ ওভার) মিলে ৯ ওভার বোলিং করার পর দলপতি মুমিনুল দুই জনকেই বিরতি দিয়ে এক প্রান্তে শরিফুল ও অপরপ্রান্তে মিরাজকে নিয়ে আসেন। শরিফুল প্রথম ওভার কোনো রান দেননি। তবে মিরাজ এসে আর দেরি করেননি। বাড়তে দেননি টার্গেট। চতুর্থ বলেই বোল্টকে ফিরিয়ে দেন বদলি ফিল্ডার তাইজুল ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ ধরলে। এবাদত ২১ ওভার বোলিং করে ৪৬ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট। এটি তার ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইনিংসে ৫ বা ততোধিক উইকেট নেয়া। প্রথম ইনিংসে ৭৫ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। তাসকিন ৩৬ রানে নেন ৩ উইকেট। মিরাজের ১ উইকেট ছিল ৪৩ রানের বিনিময়ে।

১৬৯ রানে নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে গেলে তারা এগিয়ে থাকে মাত্র ৩৯ রানে। বাংলাদেশের পরিকল্পনা ছিল এক শ রানের নিচে টার্গেট রাখা। সেই পরিকল্পনা অনেক সহজ যায় বোলারদের কল্যাণে। ইনুজরির কারণে মাহমুদুল হাসান জয় না থাকায় সাদমানের সাথে গোড়া পত্তন করতে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার শুরুতেই ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ও ব্যক্তিগত ৩ রানে সাদমানকে ড্রেসিং রুম দেখিয়ে দেন বোল্ট। শুরুতেই এমন আঘাতে বাংলাদেশ বেশ সাবধানি হয়ে উঠে। নাজমুল ও দলপতি মুমিনুল জুটি বেঁধে কোনো ঝুঁকিতে যাননি। ধৈর্য্য ধরে পড়ে থাকেন ক্রিজে। ধীরে ধীরে আসতে থাকে রান। এভাবেই দুই জনেই পৌঁছে যাাচ্ছিলেন জয়ের বন্দরে। কিন্তু তখনই আউট হয়ে যান নাজমুল (১৭)। জেমিসনের বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে দৃষ্টিনন্দন ক্যাচ নেন অবসর নিতে যাওয়া রস টেলর। দলের রান তখন ৩৪। মুশফিক এসে দলপতির সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর আসে সেই ইতিহাস গড়া গৌরবোজ্জ্বল মুহূর্ত। জেমিসনের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিনি নিউ জিল্যান্ডে মাটিতে প্রথমবারের মতো লাল-সবুজের নিশানা উড়ার লগন এনে দেন।

এমপি/এসএ/

Header Ad
Header Ad

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদে শনিবার (২০ এপ্রিল) এক বিশাল গণবিক্ষোভের আয়োজন করে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড (AIMPLB)।

এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেন সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) দলের প্রধান এবং হায়দরাবাদের প্রভাবশালী মুসলিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি এই আইনকে “সংবিধানের মূল চেতনার বিরুদ্ধে” উল্লেখ করে বাতিলের জোর দাবি জানান।

“এই আইন আমাদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে। যতদিন না এটি বাতিল করা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন চলবে,”— বলেন ওয়াইসি।

তিনি আরও জানান, ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করায় মুসলিম সমাজে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং তা মেনে নেওয়া যায় না।

সম্প্রতি পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুসারে, অ-মুসলিমদেরও ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য করা সম্ভব হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই এই বিরোধের সূত্রপাত। এই আইনকে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন মুসলিম নেতারা।

এই ইস্যুতে ইতোমধ্যেই ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে। আদালতে সরকার জানিয়েছে, মে মাসে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অ-মুসলিমদের ওয়াকফ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।

 

ছবি: সংগৃহীত

ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও বিলটি ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে পাস হয়েছে। আন্দোলন এখন হায়দরাবাদ ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের আহ্বানে এবং ওয়াইসির নেতৃত্বে এই আন্দোলন ক্রমেই সারা ভারতব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয় এবং সাংবিধানিক অধিকার নিয়েও গভীর প্রশ্ন তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, আদালতের রায়ে এবং গণআন্দোলনের চাপে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

Header Ad
Header Ad

ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার (২০ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে গরম পানির গলির একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন- কুলসুম আক্তার (২৫), রিয়াজ হোসেন (২১), কামরুন্নেসা রোজিনা (৪৫)। তাদের সবার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরা উপজেলায়। বর্তমানে ফকিরাপুল এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ইব্রাহিম খলিল বলেন, আজ দুপুরের দিকে রান্না করার সময় বিস্ফোরণে আহত হন তারা। পরে আমরা প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসি। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, আজ দুপুরের দিকে ফকিরাপুল থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ তিনজনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। দগ্ধের পরিমাণ পরে জানাবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

Header Ad
Header Ad

আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা

ছবি: সংগৃহীত

মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে ইহুদি মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা। হিব্রু ভাষার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করছে তারা। বিষয়টি সামনে আসতেই ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ পরিকল্পনাকে তারা ইসলামিক এবং খ্রিস্টান পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে এক ধরনের ‘পদ্ধতিগত উসকানি’ হিসেবে দেখছে।

জেরুজালেমের ‘স্ট্যাটাস কু’ অনুযায়ী, আল-আকসা প্রাঙ্গণে অমুসলিমদের প্রার্থনা নিষিদ্ধ হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে ইহুদিদের প্রবেশ এবং ধর্মীয় কার্যক্রম বেড়েছে। এখন তারা সেখানে থার্ড টেম্পল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যা অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা ছড়াতে পারে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে অন্তত ৬৪ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অধিকাংশই গাজা সিটি ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) বর্তমানে রাফা শহরের কাছে ঘাঁটি গেড়ে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে।

হামাস জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর কোনও অন্তর্বর্তী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। সংগঠনের সিনিয়র নেতা খলিল আল-হায়া শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, তারা একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির ভিত্তিতেই আলোচনা করতে চায়, যার আওতায় গাজা যুদ্ধের অবসান, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি সরকার নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আংশিক চুক্তিগুলো ব্যবহার করছে এবং সব জিম্মিকে বলি দিতে প্রস্তুত।

ইতোমধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত দেড় বছরে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার এবং আহতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজারে পৌঁছেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ অনেকেই এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

এই অব্যাহত মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়ছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও