মিঠুনের ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চলের লিড
শিরোপা নির্ধারিন ম্যাচ। প্রতিপক্ষ বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংসে করেছে ৩৮৭ রান। সেখানে ব্যাট করতে নেমে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের শুরুতেই ১৬ রানে নেই ৪ উইকেট। সমূহ বিপদ সামনে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় মধ্যাঞ্চল। মোহাম্বমদ মিঠুনের (২০৬) ডবল সেঞ্চুরির সঙ্গে দলপতি শুভাগত হোমের (১১৬) সেঞ্চুরিতে উল্টো দক্ষিণাঞ্চলই চাপে।
মধ্যাঞ্চলের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৩৮ রানে। এগিয়ে থাকে ৫১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণাঞ্চলের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৩। এখনো তারা পিছিয়ে আছে ৮ রানে। পিনাক ঘোষ ২২ ও অমিত হাসান ২০ রান নিয়ে আগামীকাল ব্যাট করতে নামবেন।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে শুভাগত মিলে আগের দিনই ধস ঠেকিয়ে ছিলেন। ১৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দুই জনে জুটিতে দ্বিতীয় দিন পার করে দেন ১৮৪ রান করে। দুই জনে পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেছিলেন ১৬৮ রান। আজ মিঠুন ১০২ ও শুভাগত ৬৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। মিঠুণ ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শুভাগত করেন সেঞ্চুরি। দুই জনে যখন বিচ্ছিন্ন হন, তখন জুটিতে যোগ হয়েছে ২৮৩ রান। জুটি ভাঙে শুভাগত আউট হলে। তিনি আউট হন কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে পিনাক ঘোষের হাতে ধরা পড়ে। ২১৯ বলের ইনিংসে ছিল ১৬টি চারের মার। শতরান করেন নাসুমের বলে ২ রান নিয়ে ১৮৬ বলে। মিঠুন ডাবল সেঞ্চুরি করতে বেশি বল খেলেননি। ২৮৭ বলে পূর্ণ করেন ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথম দুই শতক। ডাবল সেঞ্চৃুরি করার পর খুব বেশি দূর এগুতে পারেননি। ২০৬ রানে তাকে বিদায় করে দেন রিশাদ হাসান এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে। তার ৩০৬ বলের ইনিংসে ছিল ২৭টি চার ও ৩টি ছক্কা। চলতি আসরে মিঠুনের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে প্রথম ম্যাচে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ইনিংসের উদ্বোধন করতে এসেই খেলেছিলেন ১৭৬ রানের ইনিংস। মিঠুনের ডাবল সেঞ্চুরি এই আসরে আবার দ্বিতীয়। প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন বিসিবি উত্তরাঞ্চলের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য কৌহিদ হৃদয়। তিনি করেছিলেন ২১৭ রান।
শুভাগত আউট হওয়ার পর মিঠুন উইকেটকিপার জাকের আলীকে নিয়ে ৭৫ রানের জুটি গড়ে প্রতিপক্ষের রান ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেন। সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে নামিয়ে আনেন জাকের আলী ও রবিউল হক ৩৭ রান যোগ করে।
জাকের আলী ১২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর আউট হয়ে যান ৫৩ রানে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে পিনাক ঘোষের হাতে ক্যাচ দিয়ে। রবিউল ৩৪ রান করে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। আগের দিন মধ্যাঞ্চলের ইনিংসে ভীতি ছড়ানো ফরহাদ রেজা এ দিন আর কোনো উইকেট পাননি। এ দিন সফল বোলার ছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। তিনি ৭০ রানে নেন ৪ উইকটে। ফরহাদ রেজা ৪ উইকেট নিতে খরচ করেন ৫৩ রান।
৫১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংসের মতো মজবুত শুরু করতে পারেনি। একেবারে বিপরীত শুরু করে। কোনো রান না করেই বিদায় নেন এনামুল হক। তখন তিনি কোনো রানই করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে তিনি পিনাক ঘোষের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ১৩৭ রান এনে দিয়েছিলেন। শুরুর এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন পিনাক ঘোষ ও অমিত হাসান। দুই জনে পরে আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি। ১১ ওভার খেলে ৪৩ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল: ৩৮৭ ও ৪৩/১, ওভার ১১ (পিনাক ঘোষ ২২*, অমিত হাসান ২০*, এনামুল হক ০, হাসান মুরাদ ১/৯)
ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল: ৪৩৮/১০ (আগের দিনের ১৮৪/৪) ওভার ১২৭.৪ (মোহাম্মদ মিঠুন ২০৬, শুভাগত হোম ১১৬, জাকের আলী ৫৩, রবিউল হক ৩৪, ফরহাদ রেজা ৪/৫৩,কামরুল ইসলাম ৪/৭০)
এমপি/এমএমএ/