দেশকে জেতাতে লড়বেন এবাদত

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের টেস্টের প্রথম দিন ছিল দুই দলের সমান সমান। দ্বিতীয় দিন কিছুটা ছিল বাংলাদেশের। তৃতীয় দিন পুরোটা সময় বাংলাদেশ ব্যাটিং করলেও দিনটিকে পুরোপুরি নিজেদের করে নিতে পারেনি। কিন্তু চতুর্থ দিন এসে দিনটিকে নিজেদের করে নিয়েছে। এটা করে নেয়ার মাঝে তৈরি হয়েছে টেস্ট জেতার স্বপ্ন। আর এই কাজটি করে দিয়েছেন পেসার এবাদত।
মাত্র ৭ বলে কোনো রান না দিয়ে স্বাগতিকদের তিন ব্যাটসম্যান উইল ইয়াং, হ্যানরি নিকোলাস ও টম বান্ডেলকে আউট করেন এবাদত। শেষ দুজন কোনো রানই করতে পারেনি। এর আগে তিনি আউট করেছিলেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়েকে। কনওয়েকে আউট করে গাছের আগা কেটে ছিলেন। আর ৭ বলে তিনজনকে আউট করে গাছের গোড়া কেটে ফেলেছেন। এখন শিকড় উপরে ফেলা বাকি।
এখন মাটি কামড়ে পড়ে থাকা ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস খেলতে নামা রস টেলরসহ বাকিদের ড্রেসিং রুমে পাঠাতে হবে। ক্রিজে বেশি সময় টিকতে না দেওয়া। এবাদত প্রস্তুত। নিউ জিল্যান্ড থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব। আগামীকাল দেশকে জেতাতে লড়ব।’
যে এবাদত নিউ জিল্যান্ডকে ৭ বলে ৩ উইকে নিয়ে বেকায়দার ফেলে দিয়েছেন, সেই এবাদতই সেরা একাদশে জায়গা পাওয়ার অনেক সমালোচনা তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে আবু জাহিদ রাহী বাদ পড়াতে। আবার প্রথম ইনিংসে যেখানে তাসকিন-শরিফুল নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছিলেন, সেখানেও এবাদত কিছু করতে পারেননি। যদিও তিনি একটি উইকেট পেয়েছিলেন। সেই এবাদতই দ্বিতীয় ইনিংসে হয়ে উঠেছেন সাতআৎ যমদূত। নিউ জিল্যান্ডের পতন হওয়া ৫ উইকেটের ৪টির মালিক তিনিই। চতুর্থ বোলার হিসেবে বল হাতে তুলে নিয়ে ১৭ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। যেভাবে বোলিং করেছেন, তা আগামীকাল পঞ্চম দিন ধরে রাখতে পারলে তার নিজেরও যেমন ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নেওয়া হবে তেমনি আবার বাংলাদেশের বাগানেও ফুটবে জয়ের ফুল।
এবাদত বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের সতীর্থ ও সাপোর্ট-সবাই খুব সাহায্য করছে। নিউজিল্যান্ডে আমাদের আগের ম্যাচগুলোতে এতো ভালো করতে পারিনি। এই দলটা চাচ্ছে নতুন কিছু দিতে। নতুনভাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে। দেশের জন্য ভালো কিছু করতে। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো ভালো কিছু দিতে হবে। এই দলের চেষ্টা এটা যে বিদেশের মাটিতে জেতা শুরু করব।’
টেস্ট ক্রিকেটে সাধারণ সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পিচ বোলারদের হয়ে কথা বলতে শুরু করে। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টেও সে রকমটি প্রদর্শিত হচ্ছে। আগামীকাল শেষ দিন আরো বেশি করে বোলার বান্ধব হয়ে উঠতে পারে। জয়ের কাছকাছি পৌঁছেও এবাদত দেখছেন শেখার দৃষ্টিতে। তিনি বলেন,
‘দেশে ও দেশের বাইরে দুই কন্ডিশনে আমি খেলেছি। দেশে আমাদের উইকেট একটু ব্যাটিং সহায়ক থাকে, ফ্ল্যাট থাকে। সেখানেও আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে উইকেট বের করা যায়। বিদেশের মাটিতে প্র্রথম দিন, প্র্রথম দুই ঘন্টা সাহায্য থাকে। তারপর কিছুটা ফ্ল্যাট হয়ে যায়। আমরা এখনো শিখছি কিভাবে দুই জায়গায় বল করা যায়। বল পুরোনো হলে কিভাবে রিভার্স করা যায়। আমরা এখনো শিখছি।’
এমপি/এসআইএইচ
