এই দলটারই উপরই আস্থা রাখতে চান সুজন
খালেদ মাহমুদ সুজন। একাধের বিসিবির পরিচালক। আবার নিউ জিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টরও। তার আরও অনেক পরিচয় আছে। যেখানে উল্লেখযোগ্য হলো কোচ। তার দলে থাকা মানে নানান দিক দিয়ে ক্রিকেটারদের কাজে আসা। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম তিন দিন বাংলাদেশ দল নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। নিউ জিল্যান্ডের ভয়ংকর পেস আক্রমণের বিপক্ষে অনভিজ্ঞ বাংলাদেশ দলের এমন অর্জন ছিল অভাবনীয়। সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই এটি সম্ভব হয়ছে। যেখানে বাইরে থেকে ভূমিকা রেখছেন খালেদ মাহমুদ সুজনও। তিনি সব সময় দলের খেলোয়াড়দের মনোবল চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করে গেছেন। সেখানে কাজও হয়েছে বলে জানান তিনি। নিউ জিল্যান্ড থেকে পাঠানো তার ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি সবার সাথে আলাদাভাবে কথা বলি। চেষ্টা করি প্রেরণা দিতে। দলগতভাবে সবাইকে একটা কথাই বলেছিলাম, ‘আমরা এখানে দশটা ম্যাচ খেলেছি। একবার ৫৯৫ করে ইনিংস ঘোষণা করেও হেরেছিলাম। আমি বলেছিলাম বারবার তো হারতে পারি না।’
অবশ্য বাংলাদেশ দল যে এভাবে ভালো করবে তা ম্যাচ শুরুর আগে অন্য অনেকের মতো খালেদ মাহমুদ সুজন নিজেও ভাবেননি। তার মনেও ভয় ছিল, শঙ্কা ছিল। অকপটে তিনি বলেন, ‘তবে ভয় ছিল সত্যি বলতে। তরুণ একটা দল। সাদমান, জয়, শান্ত, ইয়াসির, লিটন-পাঁচজনই তেমন অভিজ্ঞ না। তবে প্রত্যেকের ভালো খেলার সামর্থ্য আছে। ছেলেরা অনেক মনোযোগী ছিল। অনেক কষ্ট করেছে। ভালো খেলতে যা করা দরকার সবকিছু করেছে। সবকিছু ম্যাচটাতে কাজে লেগেছে।’
দলের অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। অনভিজ্ঞ দল। একমাত্র অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম আর মুমিনুল হক। তো পেছনের রুগাক্রান্ত ইতিহাস মুছে নতুন করে লেখার তাড়না থেকে এই দলটির উপর আস্থা রাখতে চান খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেন, ‘একটা গ্রুপকে তো ভালো করতে হবে। এই গ্রুপটাই করতে পারে। প্র্রক্রিয়া যেন ঠিক থাকে। সাহস নিয়ে খেলতে পারি। এমন কোনো জুজু নেই যে পারব না। আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল আমরা পারব। এই মোটিভেশনই দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
এমপি