বিসিএল ফাইনাল শুরু
শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি দক্ষিণনাঞ্চল
শুরুর সাথে শেষের মিল হয়নি। বিসিএলের ৫ দিনের ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বিরূপ কন্ডিশনে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল দারুণ সূচনা করেছিল। উদ্বোধনী জুটিতেই রান আসে ১৩৭। সেখান থেকে দলের সংগ্রহ আরো স্ফিত হওয়ার কথা। কিন্তু প্রতিপক্ষ ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল খেলায় ফিরে আসলে দক্ষিণাঞ্চল দিন শেষ করে ৫ উইকেটে ২৬১ রানে।
দক্ষিণাঞ্চল যেভাবে শুরু করেছিল, তা ধরে রাখতে পারলে তাদের সংগ্রহ তিনশ পার হয়ে যেতো। কুয়াশার কারণে খেলা শুরু হয় এক ঘন্টা বিলম্বে। খেলা শুরু করতে হয় ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে। এমন কন্ডিশনে যে দল টস জিতবে তারাই বোলারদের হাতে বল তুলে দিতে এক মিনিটও ভাববে না। মধ্যাঞ্চলের দলপতি শুভাগত হোমও টস জেতার পর সে রকম সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই সিদ্ধান্তকে অকার্য করে দেন দক্ষিণাঞ্চলের দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও এনামুল হক। দুজনের জুটিতে শতরান পার করে ১৩৭ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। মজবুত সূচনা। বোলারদের মনোবল ভেঙ্গে যাওয়ার কথা। তখন ব্যাটসম্যানরা আরো বেশি করে চড়াও হবেন। কিন্তু না এসবের কিছুই হয়নি। পিনাক ঘোষকে ৬৫ রানে আউট করে হাসান মুরাদ শুধু জুটিই ভাঙ্গেননি বোলারদের চিড় ধরা মনোবলও ফিরিয়ে আনেন। এখানে বেশি বলীয়ান হয়ে উঠেছিলেন তিনি নিজেই। কারণ পরবর্তীতে একের পর এক তিনি শুধু উইকেটই পেয়ে গেছেন। আরকে ওপেনার এনামুল হকসহ (৭৬) আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তৌহিদ হৃদয়কে (০) একই ওভারে ফিরিয়ে দেন তিনি।
মেহেদী হাসানকেও (৯) দুই অংকের রান করতে দেননি। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের মিডল অর্ডার ভেঙ্গে পড়ে। কারণ তৌহিদ হৃদয়ের মতো আগের দুই ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান অমিত হাসানকেও মাত্র ১০ রানে ফিরিয়ে দেন আবু হায়দার রনি। যে কারণে বিনা উইকেটে ১৩৭ রান থেকে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৮১। মানে ৪৪ রানে হারায় ৫ উইকেট।
এই অবস্থার সামাল দেন ষষ্ট উইকেট জুটিতে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা জাকির হাসান ও দলপতি ফরহাদ রেজা। দুজন মিলে আর কোনো উইকেটের পতন না ঘটিয়ে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন। তাদের জুটিতে রান যোগ হয় ৮০। ফরহাদ রেজা ৪৬ ও জাকির হাসান ৪৪ রানে অপরাজিত আছেন।
২১ ওভারে ৭০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। ১৮ ওভারে ৫২ রান দিয়ে আবু হায়দার রনির ছিল ১ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল: ২৬৮/৮০ ( এনামুল হক ৭৬, পিনাক ঘোষ ৬৫, ফরহাদ রেজা ৪৬*, জাকির হাসান ৪৪*, অমিত হাসান ১০, হাসান মুরাদ ৪/৭০, আবু হায়দার ১/৫২)।
এমপি/এসআইএইচ