চেষ্টা নয়, করে দেখাতে চান এবাদত
ছিলেন টেস্ট খেলোয়াড়। হলেন মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের নায়ক। তারপর সতীর্থদের ইনজুরিতে কপাল খুলে যায় ওডিআই দলে। আগেও ছিলেন। কিন্তু সেরা একদাশে খেলার সুযোগ পাননি।
এবার জিম্বাবুয়ে সফরে সেই সুযোগও মিলে যায়। খেলেন সিরিজের শেষ ম্যাচ। নজরও কাড়েন। এক ওভারে জোড়া আঘাত হানেন। যেখানে ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে রাজা হয়ে উঠা সিকান্দার রাজার উইকেটও। রাজার তিন স্ট্যাম্পের দুইটিই তিনি ছত্রখান করে দেন। তিনি হলেন পেসার এবাদত হোসেন।
অভিষেকে আট ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। মেডেনও ছিল এক ওভার। অভিষেকে এই কীর্তি তার উপর নির্বাচকদের দৃষ্টিভঙ্গি আরও প্রসানিত করে দেন। এবার সুযোগ মিলে যায় প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপেরর টি-টোয়েন্টি দলেও।
ওয়ানডে আর টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টিতেও এবাদত চেষ্টা নন, করে দেখাতে চান।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) মিরপুরে তিনি সাংবাদিকদেন বলেন, ‘আমি মনে করি চেষ্টা এক জিনিস, আর আমি করে দেখাব আরেক জিনিস। আমার জীবন থেকে আমি চেষ্টা করব এই জিনিসটা শেষ, আমি করে দেখাব, আমরা করব ইনশাআল্লাহ। আমরা দল হিসেবে ভালো খেলছি না মানে এই না যে আমরা টি-টোয়েন্টি খেলতে পারি না। আমরা অদূর ভবিষ্যতে ভালো দল হয়ে দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য এবাদত আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর কাছে শোকরিয়া। টেস্টে দেখেন সারাদিন বল করার করতে হয় আর টি-টোয়েন্টি হল শর্টার ফরম্যাট। এখানে মানিয়ে নেওয়ার মতো ব্যাপার হলো বুদ্ধি খাটিয়ে বল করতে হব।, যেহেতু উইকেট ভালো থাকবে, ব্যাটসম্যানরা আগ্রাসী থাকবে। তো পরিকলনা করে বল করাটাই মূল বিষয় আমার কাছে মনে হয়।’
এবারের এশিয়া কাপ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বর্তমানে গোটা বিশ্বে এমনিতেই গরম একটু বেশি। মরুর বুকে সব সময়ই গরম বেশি থাকে। এমন তপ্ত আবহাওয়াতে খেলা যে কোনো দেশের খেলোয়াড়দের জন্যই একটু বেশি কস্টকর। তবে এটাকে তিনি কোনো কারণ হিসেবে দেখতে চান না।
এবাদত বলেন, ‘গরম কোনো এক্সকিউজ না। আমাদের দেশেও অনেক গরম। গরম আমার কাছে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। উইকেটটা ওখানে ভালো থাকবে বুদ্ধি করে বল করতে হবে।’ তিনি বলেণ, ‘আমরা বোলাররা যদি কম রানে আটকে দিতে পারি তাহলে আমাদের ব্যাটারদের জন্য কাজ সহজ হয়ে যায়। বাড়তি দায়িত্ব সবারই থাকবে, ব্যাটসম্যান হোক বোলার হোক। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব।.
এমপি/এমএমএ/