১১৩ রানে জিতে এগিয়ে গেল ভারত
সেঞ্চুরিয়ান টেস্টের চতুর্থ দিনের সঙ্গে পঞ্চম ও শেষ দিনের হিসেব ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। চতুর্থ দিন উইকেট পড়েছিল ১৮টি। ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ৬ উইকেট। আগের দিনের হিসেবে যতোটা সহজ মনে হয়েছিল, ততোটা সহজ হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ উইকেট নিতে ভারতের বোলারদের রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট হয়েছে ১৯১ রানে। তার জন্য ভারতের বোলারদের বোলিং করতে হয়েছে ২৭.২ ওভার। অবশেষে ১১৩ রানে জয় পায় ভারত। ম্যাচ সেরা হয়েছেন লোকেশ রাহুল।
এই জয়ে তিন টেস্টের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। সেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ হওয়াতে ১২ পয়েন্ট পেল তারা। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৩ জানুয়ারি জোহানেসবার্গে।
৯৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে খেলেতে নেমে প্রতিরোধের দেয়াল গড়ে তুলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। কারণ ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া ৩০৫ রানের টার্গেট অতিক্রম করার মতো অবস্থানে তারা ছিল না। কাজেই টিকে থাকার মন্ত্রে তারা নিয়োজিত হয়। সেখানে বেশ ভালোভাবে ভুগাচ্ছিলেন ভারতীয় বোলারদের। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ওপেনার এলগার ৫২ রান নিয়ে খেলতে নেমে নতুন করে জুটি বাঁধেন বাভুমার সঙ্গে। দুজনের জুটিতে যোগ হয় ৩৬ রান। এলগার ৭৭ রান করে ফেরেন বুমরার বলে বোল্ড হয়ে। এরপর বাভুমা ও ডি কক মিলে ষষ্ট উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৩১ রান। ডি কক ২১ রান করে মোহাম্মদ সিরাজের শিকার হন। ডি কক আউট হওযার পর মল্ডারও দ্রুত ফিরে যান মোহাম্মদ সামির বলে। বাভুমা ও জানসেন মিলে লাঞ্চ করতে যান।
প্রথম সেশনে যেভাবে স্বাগতিকদের ব্যাটসম্যানরা প্রতিরোধ গড়েছিলেন, তাতে করে মনে হয়েছিল দ্বিতীয় সেশনেও তা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু লাঞ্চের পর সব প্রতিরোধ বালির বাঁধের মতো ভেঙ্গে যায়। মাত্র ২ ওভারে শেষ হয়ে যায় ইনিংস। পতন হয় ৩ উইকেটের। যদিও লাঞ্চের পর সামির করা ওভারের প্রথম দুই বলকে সীমাো পার করিয়েছিলেন জানসেন। কিন্তু ওই শেষ। সেই ওভারের শেষ বলে জানসেনকে ফিরিয়ে দেন সামি। পরের ওভার করতে আসেন অশ্বিন। তিনি তার ওভারের শেষ দুই বলে আউট করেন রাবাদা ও এনগিডিকে। মাত্র ৭ বলে ১ রানে হারায় ৩ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে করেছিল ১৯৭ রান। ভারতের সংগ্রহ ছিল ৩২৭ ও ১৭৪ রান।
এমপি/এসআইএইচ