নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র
বাংলাদেশের সাথে স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ড একাদশের বৃষ্টিবিঘ্নত দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র হয়েছে। বৃষ্টির বাঁধা স্বত্ত্বেও ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই নিজেদের প্রস্তুতিটা ভালোই করে নিয়েছে সফলকারীরা। স্বাগিতকদের ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। নিউ জিল্যান্ড একাদশ ১৪৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করার পর ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ করে ৮ উইকেটে ২৬৯ রান।
আগেরদিন মঙ্গলবারই নিউ জিল্যান্ড একাদশকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। বৃষ্টির কয়েকদফা বাঁধার পর ২৭.৩ ওভার খেলে নিউ জিল্যান্ডে একাদশের রান ছিল ৫ উইকেটে ৭১। সেখান থেকে তারা আজ ২ উইকেট হারিয়ে যোগ করে আরো ৭৫ রান। তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৪৬। এরপর তারা ইনিংস ঘোষণা করে। আজ স্বাগতিকদের পতন হওয়া দুইটি উইকেটই নেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। জ্যাকব ভুলা সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে আবু জায়েদ রাহী ৩৬ রানে ৩টি, তাসকিন ২৬ ও মিরাজ ১৪ রানে ২টি করে উইকেট। তাইজুল ৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৪ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। শরিফুল ৭.৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে উইকেট শুন্য ছিলেন। ।
বোলিংয়ে বোলাররা নিজেদের প্রস্তুতি মোটামুটি ভালোাই সেরে নিয়েছেন। নিউ জিল্যান্ড একাদশষ ইনিংস ঘোষণা করাতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামনেও চলে আসে নিজেদের পরখ করে নেয়ার সুযোগ। সেই কাজটাও মন্দ হয়নি। মাশফিক-মাহমুদুল হাসান জয় তুলে নিয়েছেন ফিফটি। লিটন ৯ রানের জন্য ফিফটি করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। নাজমুল হাসান শান্ত, ইয়াসির আলীও রান করেছেন। যদিও নিজেদের প্রস্তুতিটা ভালোভাবে করতে পারেননি ওপেনার সাদমান ইসলাম ও দলপতি মুমিনুল।
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই কোনো রান না করে বিদায় নেন ওপোর সাদমান ইসলাম। শুরুর এই ধাক্কা বড় হতে দেননি দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই জনে জুটিতে ৫০ রান যোগ করেন। জুটি ভাঙ্গে নাজমুল হোসেন ২৭ রান করে আউট হলে। নাজমুল হোসেনের বিদায়ের পর মুমিনুলও দ্রুত ফিরে যান ৯ রানে। এই তিন জনে শতরানের আগে বিদায় নিলেও ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় অর্ধশত রান পূর্ণ করে আউট হন ৬৬ রানে র্যান্ডেলের বলে। তার ১৩১ বলের ইনিংসে ছিল ১১টি চার। মাহমুদুল হাসান জয় ফিরে যাওয়ার পর পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিক ও লিটন ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। জুটিতে রান আস ৭৪। মুশফিক ৯১ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৬৬ রান করে আউট হন প্রিঙ্গেলের বলে। তিনি আউট হওয়ার পর দেখার বিষয় ছিল লিটন তার ফিফটি করতে পারেন কিনা? কিন্তু ৪১ রানে তিনি ফিরে যান ক্লার্কের বলে। তার ইনিংসে ছিল সাতটি বাউÐারি। পরাবর্তিতে ইয়াসীর আলী ২১, মেহেদী হাসান অপরাজিত ২০, তাসকিন ১০ রান করেন। বাংলাদেশের রান যখন ৮ উইকেটে ২৬৯ রান, তখন ম্যাচ অফিসিয়ালরা ড্র ঘোষণা করেন। স্বাগতিক দলের র্যান্ডেল ২৭, ক্লার্ক ৫৩ ও প্রিঙ্গেল ৫৮ রানে ২টি করে উইকেট।
এমপি/