বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা যুবাদের ম্যাচ পরিত্যাক্ত
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার যুবাদের ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারের করোনা রেজাল্ট পজেটিভ আসার সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। এ সময় বাংলাদেশের রান ছিল ৩২.৪ ওবারে ৪ উইকেটে ১৩০। ম্যাচ বাতিল হওয়াতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে দুই দল। দুই দলের পয়েন্ট সমান ৫ করে। দুই দল আগের দুই ম্যাচ জয় পেয়েছিল। কিন্তু নেট রান রেটে বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও শ্রীলঙ্কা গ্রুপ রানার্স আপ হয়েছে।
সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ ভারত। শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষ ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। দুইটি সেমিফাইনালই অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার।
ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার আগে শারজাহতে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম ও ইফতেখার হাসানকে হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশের যুবারা। কুয়েতের বিপক্ষে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মাহফিজুল মাত্র ৪ রান করে আউট হন। ইফতেখার করেন ৩ রান। কিন্তু শুরুর এই বিপদ বেশ ভালোভাবেই সামাল দেন নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান প্রান্তিক ইমরোজ নাবিল ও আইচ মোল্লা। দুজনে মিলে ৫৫ রান যোগ করেন ১৩.২ ওভারে। জুটি ভাঙ্গে প্রান্তিক নওরোজ আউট হলে। তিনি ৬৪ বলে এক ছক্কা ও তিন চারে ৪৫ রান করেন। প্রান্তিক আউট হওয়ার ২ রান পরই আইচ মোল্লাও আউট হয়ে যান ৪৫ বলে দুই চারে ২৪ রান করে। ২ রানের ব্যবধানে এই দুই ব্যাটসম্যান বিদায় নেয়ার পর আবার নতুন করে জুটি বাঁধেন আরিফুল ইসলাম ও প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে আহত হয়ে মাঠ ছাড়া মো. ফাহিম। কুয়েতের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। ফিরে এসে আবারো নিজেকে রানের মাঝেই রেখেছেন।
আরিফুলের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে জুটি বেঁধে আর কোনো উইকেটের পতন হতে দেননি খেলা বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত। জুটিতে তারা যোগ করেন ৪৭ রান। ওভার খেলেন ৯.৪টি। আরিফুল ৩৪ বলে এক চারে ১৯ ও ফাহিম ২৯ বলে এক ছক্কায় ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুনিথ ভেলালাজে ১৭ ও থ্রীভান ম্যাথিউ ১৮ রানে দুইটি করে উইকেট।
এমপি/এসআইএইচ