সৌম্যের পর শুভাগত হোমের সেঞ্চুরি
ফাইনালের উঠার লড়াইয়ে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। রাজশাহীতে বিসিবি উত্তরাঞ্চলকে ৩১০ রানে অলআউট করে দ্বিতীয় ইনিংসে বড় সংগ্রহের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে করেছে ১৭ রান।
প্রথম ইনিংসে পূর্বাঞ্চল ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে ১৪৪ রানে পিছিয়ে ছিল। চট্টগ্রামে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল সৌম্য সরকার (১৫০) ও শুভাগত হোমের (১৫২) জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪৮১ রানের বড় পূঁজি গড়েছে। জবাব দিতে নেমে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল ১ উইকেটে করেছে ৯২ রান।
রাজশাহীতে উত্তরাঞ্চলের লিডকে বেশি হতে দেননি ইফরান হোসেন। ৫৬ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। দিনের প্রথম আঘাতও হানেন তিনি। বিনা উইকটে ৭১ রান নিয়ে খেলতে নেমে ৭৯ রানেই জুটি ভাঙ্গেন জুনায়েদকে (৩৭) আউট করে। ইফরানের ৫ উইকেটের পরও উত্তরাঞ্চল ৩১০ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছিল ওপেনার তানজিদ হাসানের ৯১, শরিফউল্লাহর ৪৯, মাহিদুলের ৪৮ রানের সুবাদে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণাঞ্চল বিনা উইকেটে ১৭ রান করেছে। এখনো তারা পিছিয়ে আছে ১২৭ রানে।
চট্টগ্রামে আগর দিনের সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকার তার ১২৭ রানের ইনিংসকে বেশি দূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। ১৫০ রানে থেমে যান নাহিদুলের বলে এলবিডব্লির ফাঁদে পড়ে। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান শুভাগত সেঞ্চুরি করে সৌম্য সরকারকেও ছাড়িয়ে যান। ৬২ রান নিয়ে খেলতে নেমে ১৫২ রান করে তিনি আউট হন ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া রিসাদ হোসেনের বলে। মধ্যাঞ্চল অলআউট হয় ৪৮১ রানে। রিসাদ ১২৫ রানে নেনে ৫ উইকেট। দক্ষিণাঞ্চল ব্যাট করতে নেমে ভালোই জবাব দিচ্ছে। ১ উইকেটে করেছে ৯২ রান। পিনাক ঘোষ ৬৭ ও অমিত হাসান ২৫ রান নিয়ে আগামীকাল ব্যাট করতে নামবেন।
ইসলামী ব্যাংক বনাম পূর্বাঞ্চল বনাম বিসিবি উত্তরাঞ্চল
পূর্বাঞ্চল: ১৬৬ ও ১৭/০, ওভার ৫ ( মোহাম্মদ আশরাফুল ১৪*, ইমরুল কায়েস ১*)
উত্তরাঞ্চল: ৩১০/১০, (আগের দিনের ৭১/০) ওভার ১০১.১ ( তানজিদ হাসান ৯১, শরিফউল্লাহ ৪৯, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৪৮,জুনায়েদ সিদ্দিক ৩৭, শফিকুল ইসলাম ২৩, ইফরান হোসেন ৫/৫৬, তানভীর ইসলাম ৩/৮৭, নাঈম হাসান ২/১০০ )।
ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল বনাম বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল
মধ্যাঞ্চল: ৪৮১/১০ (আগের দিনের ২৯৩/৪) ওভার ১৪৭.৫ ( শুভাগত হোম ১৫২, সৌম্য সরকার ১৫০, সালমান হোসেন ৭০, নাজমুল ইসলাম ২৫, জাকের আলী ২৪, রিসাদ হোসেন ৫/১২৯, নাসুম আহমেদ ২/১৪১)।
দক্ষিণাঞ্চল: ৯২/১, ওভার ৩০ ( পিনাক ঘোষ ৬৭*, অমিত হাসান ২৫* নাজমুল ইসলাম ১/১৭)
এমপি/এমএমএ/