আগামীকাল বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট
করোনার কারণে এক বছর পর আবার মাঠে গড়াতে চলেছে বিপিএল। আগামীকাল হবে মাঠের বাইরের লড়াই। মানে প্লেয়ার্স ড্রাফট। এর মাধ্যমে জানা যাবে কোন দল কেমন হয়েছে। মাঠের লড়াই কেমন হবে।
রাজধানীর পাঁচ তারকা মানের একটি হোটেলে বেলা ১২টায় শুরু হবে এই খেলোয়াড় কেনা-বেচার হাট। গাজী টিভি ও টি-স্পোর্টস সরাসরি সম্প্রচার করবে এই অনুষ্ঠান।
অষ্টম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটে থাকছে দুইটি ঘটনা। একটি প্রতি আসরে আইকন বা অটো চয়েজ হিসেবে থাকা তিন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ ও মাশরাফির প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল। তাই নিলামে উঠছে তাদের নাম। ছয় দলের কোনো ফ্রাঞ্চাইজি আগ্রহ প্রকাশ না করাটা ছিল যেন তিন ক্রিকেটারের বেলা শেষের গান! তাদের পারিশ্রমিক ৭০ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। দেখার বিষয় এই তিন ক্রিকেটারকে কোনো ফ্রাঞ্চইজি দলে ভেড়ায় কি না!
অপর ঘটনা হলো শেষ মুহূর্তে ফ্রাঞ্চাইজি বদল। শর্ত পূরণ করে নির্ধারিত সময়ের মাঝে ৫ কোটি টাকার
পে-অর্ডার জমা দিতে না পারায় বাতিল করা হয়েছে ঢাকার ফ্রাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠান রুপা-মান গ্রুপকে। এখন এই দলটির ফ্রাঞ্চাইজি বিসিবিই থাকবে। পে-অর্ডার জমা দিতে না পারলেও লোগো উন্মোচন করে ঢাকার নাম দেওয়া হয়েছিল ঢাকা স্টার্স। দলটির খেলোয়াড় সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নির্বাচক কমিটির সদস্য সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনকে। বিপিএল মানেই যেন বিতর্ক। শেষ মুহূর্তে ফ্রাঞ্চাইজি বদল যেন সেই বিতর্কেরই অংশ হয়ে থাকল।
এবারের আসরে প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজির একজন করে দেশি ও তিনজন করে বিদেশি ক্রিকেটার নেয়ার সুযোগ ছিল। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেই সুযোগকে বিদেশি ক্রিকেটার নেয়ার ক্ষেত্রে সব ফ্রাঞ্চাইজি কাজে লাগাতে পারেনি। শুধুমাত্র কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোটা পূরণ করতে পেরেছে। দেশি ক্রিকেটার হিসেবে মুস্তাফিজ এবং বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার ডু প্লেসি, ইংল্যান্ডের মঈন আলী ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনিল নারিনকে দলে নিয়েছে। সিলেট সানরাইজার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দেশি ক্রিকেটারের পাশাপাশি দুজন করে বিদেশি ক্রিকেটার নিয়েছে। সিলেট তাসকিন এবং লঙ্কান দিনেশ চান্দিমাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পেসার সিরাজকে। চট্টগ্রামের ডেরায় আছেন নাসুম আহমেদ এবং কেনার লুইস ও বেনি হাওয়েল। এছাড়া দেশি ক্রিকেটার হিসেবে বরিশাল সাকিবকে, ঢাকা সৌম্য সরকারকে এবং খুলনা মুশফিকুর রহিমকে দলে ভিড়িয়েছে।
ফ্রাঞ্চাইজিগুলো বিদেশি ক্রিকেটার নেওয়া প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন,
‘এই মুহূর্তে আমি নামগুলো বলতে পারছি না। কারণ এখনো সময় রয়েছে। আজকের মধ্যে আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কাদের রিটেইন করেছে এবং কারা ড্রাফটে থাকবে এই বিষয়ে একটি ক্লিয়ার পিকচার পাব। যে দলগুলো অংশ নিচ্ছে আমরা তাদের মধ্যে এটা সার্কুলেট করে দেব।’
ড্রাফটে এক একটি ফ্রাঞ্চাইজি সর্বনিম্ন তিনজন ও সর্বোচ্চ ৮ জন বিদেশি ক্রিকেটার এবং দেশি ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে ১০ জন থেকে ১৪ জন ক্রিকেটার নিতে পারবে।
এবারের ৪২৫ জন বিদেশি ক্রিকেটারের নাম উঠবে প্লেয়ার ড্রাফটে। কিন্তু সেখানে নেই কোনো নামী-দামী উল্লেখযোগ্য ক্রিকেটার। এ বিষয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়টা বের করাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের ইন্টারন্যাশনাল কমিটমেন্ট যেটা হয়েছে, সেটাকে এফটিপি বলি আমরা, সেই অনুযায়ী আমাদের স্লটটা খুব লিমিটেড। আমাদের কোনো অপশন ছিল না। এগুলোকে এডজাস্ট করতে হয়েছে। কিছু লিমিটেশন থাকবেই।’
ড্রাফটে দেশি ক্রিকেটারদের জন্য ৭০, ৩৫, ২৫, ১৮, ১২ লাখ টাকা করে রাখা হয়েছে। বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ডলার। এরপর ৫০ হাজার, ৩০ হাজার, ২৫ হাজার, ২০ হাজার রাখা হয়েছে।
এমপি/এসআইএইচ